সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

সিকিম, দার্জিলিং : বরফ, নদী আর পাহাড়ের দেশে-লতিফুর রহমান প্রামাণিক

সিকিম, দার্জিলিং : বরফ, নদী আর পাহাড়ের দেশে-লতিফুর রহমান প্রামাণিক

তৃতীয় পর্ব
চোখ কচলাতে কচলাতে ঘুম মাখা চোখে যদি বাহিরে এসে দেখেন আপনার চারপাশে মখমলের মতো সবুজ ঘাস আর পাইন ঝাঊ গাছের ঘনো সারি বনের উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আকাশ ছোয়া পাহাড় আর পাহাড়ের চূড়ায় চকচক করছে বরফের স্তুপ। আর পাহড়ের গা বেয়ে নামছে বরফ গলা জলের প্রসবন। আর কুল কুল করে বয়ে চলছে তিস্তা নদীর টলটলে সবুজাভ জল।এবার চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন। কেমন লাগবে? পাহাড়ের বুকে আর কোলায় রঙিন ছাদের বাড়ি গুলো লাচুং এর রূপ কে নিয়ে গেছে অন্য মাত্রায়। সকালে ঘুম থেকে খুব সকালে উঠে পড়ি। চরাতের বেলা হোটেলে এসে পড়ায় পুরো এই লাচুং গ্রামের রূপ বুঝতে পারি নি। আমাদের হোটেলের রুম থেকে মাত্র পঞ্চাশ ফুট সামনে যে দৈত্যের মতো যে কালো পাহাড় টা দাঁড়িয়েছিল দেখা মাত্র বুকের ভিতর আঁতকে উঠে। এত খাড়া আর উঁচু, পাহাড়ের চূড়ায় চকচক করছে বরফে। পাহাড়ের সকাল যে কত সুন্দর হয় চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। পাশেই সেনাবাহিনীর একটা ক্যাম্প। সেনা সদস্য রা ক্যামেরা দিয়ে লাচুং এর ছবি তুলে নিচ্ছে। রাতে আসার সময় বুঝতে পারি নি যে, আমরা যে পাহাড়ে রাতে ঘুমিয়েছিলাম তার চূড়ায় রঙিন ছাদের বাড়ি গুলো যেন স্বপ্নের মতো লাগে।

বিভিন্ন রঙের রডোডেনড্রনে, সঙ্গে প্রিমুলা ও অন্য নানান প্রজাতির ফুলও শোভা বাড়ায় সেই অসাধারণ সৌন্দর্যে। বছরের বাকি সময় চোখ জুড়োনো সবুজ উপত্যকা, তার বুক চিরে বয়ে যাওয়া নীল নদী, তুষার মুকুট মাথায় পড়া পাহাড়শ্রেণি দারুণ ভাবে আকর্ষণ করে। আমাদের ড্রাইভার নাম দর্জি। ২৭/২৮ বছরের নেপালী গুর্খা যুবক। আমাদের সাথে থাকা মিঠুনের সাথে তার সখ্যতা যে কত গভীর হয়ে গেছে তা খানিকটা বাদ টের পেয়েছি। মিঠুন মোটামুটি হিন্দি জানে, আর দর্জি ও টুকটাক বাংলা বলতে পারে। এমন মাদক প্রিয় ড্রাইভারের গাড়িতে আমাদের দেশের কোন যাত্রী চড়ে বসবে না নিশ্চিত। অথচ দর্জি মাতাল নয়, এই মৃত্যুকুপের রাস্তায় মাত্র একবার পড়ে যাওয়াই যথেষ্ট। দ্বিতীয় বার আর সুযোগ পাবেনা। পাহাড়ের উপর থেকে নিচের দিয়ে তাকিয়ে থাকা ভয়ংকর। এর গভীরতা নিয়ে কল্পনা করাই যায় না। আর এই জন্য হয়তো, যেখানে ভয়ংকর, সেখানে ই সুন্দর।

তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরে প্রায় সকাল সাতটা নাগাদ গাড়ির ভিতর চেপে বসি। এবার ছুটে চলছি ইয়ামথাম ভ্যালির দিকে। আর চায়না, ভারতের বর্ডার বলে খ্যাত জিরো পয়েন্ট।
ছুটে চলছি পাহাড়ের চূড়ায়। রাস্তায় মাঝে মাঝে ইংরেজিতে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে পর্যটকদের। পর্যটক রা কত গুরুত্বপূর্ণ তাও বলা আছে কোথাও কোথাও। পর্যটকদের জন্য সর্বোচ্চ দিতে এই পাহাড়ের মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। প্রায় সব খানের বাসিন্দারা নেপালী বা গুর্খা। তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। তারা যখন তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলতো, চুপচাপ তার মর্মকথা উদ্ধার করার চেষ্টা করতে থাকি। মাঝে মাঝে দর্জি কে জিজ্ঞেস করতাম এটা মানে কি ওটা মানে কি। সরল দর্জি ভীষণ আনন্দ পাচ্ছিল আমাদের কথা শুনে। যতটা এগুচ্ছি আমাদের শরীরে শীত যেন আরও জেঁকে বসে যাচ্ছে। হাত গুলো পকেটে গুজে স্থির হয়ে দেখতে থাকি পৃথিবীর এই অমূল্য রুপ। আমার ক্যামেরা সব চেয়ে বেশী প্রস্তুত আছে বলে ফাহিম, তারেক আর রায়হান মাঝে মাঝে চোখ মুদে অপেক্ষা ঘুম পেড়ে নেয়। আর আমি যেন কোন সুন্দর হারাতে চাইনি। এই লাচুং টু জিরো পয়েন্ট রাস্তাটা একদম ই ভালো নয়, মাঝে মাঝে ভাংগা আর কোথাও কোথাও ঝর্নার পানি রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ঝর্না চোখে পড়ে। এত পাহাড় আর ঝর্না দেখে দেখে একসময় ছোট ছোট ঝর্না গুলো আর ততটা আকর্ষণ করে না। ড্রাইভার দেখিয়ে দেয় কোথায় কোথায় কি আছে। সেভেন সিস্টার ফলস। ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ঝর্না। অনেক উপর থেকে ভীষন তেজী ভাবে পানি নিচে পড়ছে, এই শুস্ক সময়ে পানির প্রবাহ দেখে ভড়কে যেতে হচ্ছে তাহলে বর্ষাকালে এটা আরও কত তীব্র হয় কল্পনা করা যায় না। এখানে মোটামুটি একটা টুরিস্ট স্পট মতো। প্রায় সব গাড়ি এখানে থামে। পাশেই রয়েছে ফাস্টফুড এর বেশ কিছু দোকান। প্রায় কুড়ি মিনিট এখানে ঘুরে দেখি তবে এই সময়ে বৃষ্টি ভীষণ বিগড়ে দেয় আমাদের। সিকিম কে যদি মেঘ বৃষ্টির দেশ বলি ভুল হবে না তবুও। কিছুটা পর পর আবহাওয়ার এই খেলা সহজে কোথাও মিলবে না। কিছুদুর এগুতে মং ফলস আর নাগা ফলসের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। রাস্তার দু পাশে পাহাড়ের চূড়ায় বরফ যেন আরও বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে এখন। সিনেমায় দেখা এই বরফ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছি চিরকাল, সেই স্বপ্ন যেন আজ হাতের মুঠোয় এখন। লাচুং থেকে ইয়ামথাম ভ্যালির দূরত্ব 26 কিলোমিটার প্রায়। ইয়ামথাম ভ্যালি ঢোকার আগে কয়েক কিমি রাস্তার দু পাশে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। এখানে ফটো তোলা বে আইনী। কোন ভাবে যদি সেনাবাহিনীর কোন সদস্য দেখে ফেলে তাহলে মোবাইল বা ক্যামেরা সিজ করে নিয়ে যাবে নির্ঘাত। সিকিম হলো নিয়মের রাজ্য। হাজারো সুন্দর নিয়ম প্রচলিত আছে এখানে। এই ইয়ামথাম ভ্যালির পথে রয়েছে দু একটা চেকিং ইউনিট। এখানে যেতে হলে পানির প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে যেতে পারবেন না ধরা পড়লে দশ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে। আমরা সেই নিয়ে সতর্ক হয়ে যাই আগে থেকে। ইয়ামথাম ভ্যালির কাছাকাছি আসতেই জীবনের প্রথম দেখলাম ইয়াক। চমরী গাই; তিব্বতের বৃহত্ লোমশ গরুজাতীয় প্রাণী; ইয়াক। ইয়াক বড় ক্লোভেন-খুরানো প্রাণী, খুব বিদেশী প্রজাতি। একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত বৈশিষ্ট্য যার দ্বারা এটি বংশের অন্যান্য প্রতিনিধিদের থেকে আলাদা করা যায় এটি একটি দীর্ঘ এবং কুঁচকানো কোট, প্রায় মাটিতে ঝুলন্ত। একসময় বন্য ইয়াকগুলি হিমালয় থেকে সাইবেরিয়ার বৈকাল লেক পর্যন্ত বাস করত এবং 1800 এর দশকে এখনও তাদের অনেকগুলি তিব্বতে ছিল। বড় ইয়াক গুলো খাবারের অভাবে স্বাস্থ্য হারিয়ে শীর্ন শরীরে রডোডেন্ড্রোনের পাতা ফুল, ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছে যা পথে যেতে যেতে প্রচুর চোখে পড়ে। ইয়াকের সাবকের রুপ খুবই আকর্ষণীয়।
ইয়ামথাম ভ্যালির সামনে প্রচুর দোকান। বিভিন্ন ধরনের জিনিস পেয়ে যাবেন। দাম ও কম নয়। তবে নেপালী নারীদের হাসি মাখা মুখ ঠিকই আপনাকে জিনিস দিয়ে ছাড়বে। এখানে নেমে আমরা বুট জুতো ভাড়া করে নিলাম। তখন প্রায় সকাল নয় টা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আগে আমরা জিরো পয়েন্ট ঘুরে তারপর ইয়ামথাম ভ্যালির দিকে প্রবেশ করবো। এখন আর মাত্র অল্প কিছু পথ বাকি। রডো ড্যানড্রন ফুলে যেন নিজ হাতে সেজেছে ইয়ামথাম ভ্যালির চারপাশে। দূরে সারি সারি পাহাড় আর পাহাড়ের চূড়ায় চকচক গলিত বরফ দেখলে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো মনে হয়। দেখতে দেখতে আমরা জিরো পয়েন্ট চলে এসেছি। গাছের মগডালে, পাতার টুপি মতো সাবানের ফেনার মতো জমে আছে বরফ। প্রথম দিকে চোখে পড়ে একটা রেস্টুরেন্টের ছাদে ভর্তি হয়ে গেছে বরফে। অপরুপ সেই দৃশ্য। কি অসাধারণ সৃষ্টি মহান সৃষ্টিকর্তার। কল্পনাই করা যায় না আমরা সত্যিই এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫৩০০ ফুট ওপরে রয়েছি। ইউমে সামডং নামেও পরিচিত, জিরো পয়েন্ট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 15,300 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি সভ্যতার শেষ ফাঁড়ি এবং এমন জায়গা যেখানে তুষার-ঢাকা পাহাড় এবং মনোরম পরিবেশের একটি মনোরম দৃশ্যের মধ্যে তিনটি নদী মিলিত হয়। যেহেতু এটি ভারত ও চীনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত, তাই দর্শনার্থীদের এখানে আসার অনুমতি প্রয়োজন। 25 কিমি দূরে অবস্থিত ইয়ুমথাং উপত্যকা থেকে এখানে পৌঁছাতে পর্যটকদের প্রায় 1.5 ঘন্টা সময় লাগে এবং লাচুং থেকে প্রায় 3 থেকে 3.5 ঘন্টা লাগে। এখানে পৌছার পর আর কোন বেসামরিক রাস্তা নেই তাই একে জিরো পয়েন্ট বলা হয়। যদিও রাস্তাগুলি বিশ্বাসঘাতক হতে পারে, এখানে গাড়ি চালানো সুন্দর এবং আদিম পর্বত দর্শনের পুরষ্কারের মূল্যবান। আপনি ভাগ্যবান হলে, আপনি তুষার মধ্যে একটি ইয়াক স্পট করতে পারেন. জিরো পয়েন্টে কোনো সবুজ প্রসারিত জমি নেই। শত শত মানুষের পদভারে গিজগিজ করছে পুরো পাহাড়ের চূড়ায়। সাদা বফফের মানুষের রঙিন পোশাক যেন এক অন্য রকম আবহ সৃষ্টি করেছে। যেখানেই চোখ যায় শুধু পাহাড় আর বরফে ঢাকা। এই পাহাড় ভীষণ ভয়ংকর। ভয়ংকর তার রাস্তা। আর তেমন সুন্দর। এই রাস্তা থেকে নিচে পড়ে যাওয়া মানে মৃত্যু অনিবার্য। তবুও মানুষের ভয় নেই, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ছুটে আসছে দলে দলে। বয়স্ক, শিশু আর নারীর জন্য নিরাপদ নয়।

অক্সিজেন লেভেলের মাত্রা খুবই কম আর দুপুর বারোটার আগেই আপনাকে নেমে আসতেই হবে। নয়তো অক্সিজেনের অভাবে কেউ বাচতে পারবে না। উচ্চ রক্তচাপ আর হার্টের অসুখে যারা ভুগছেন তাদের জন্য এখানে অনুমতি নেই। আমাদের যেন আর তর সইছে না। আমরা নেপে পড়লাম বরফে। প্রায় হাটু সমান বরফে আচ্ছাদিত এই পাহাড়ের চূড়া। যেন জয় করলাম, এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে তখন। আমি শুরু থেকে বাকিদের সাবধান করে দিচ্ছিলাম। বেশি লাফালাফি করা নিষেধ সত্বেও কে শোনে কার কথা। প্রায় মাইনাস ৫/৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আমাদের পক্ষে বেশি সময় টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করা সহজ নয়। প্রায় কুড়ি মিনিট পর ঠান্ডা ভীষণ অনুভুত হতে থাকে। গিয়ে গাড়ির ভিতর বসে যাই। পায়ের তলা দিয়ে অসহ্য ঠান্ডা উঠে যেতে থাকে। আর মাথার ব্যথায় কুকড়ে যাচ্ছিলাম। তাড়াতাড়ি ফাহিম, রায়হান দের ডাকতে গিয়ে উল্টো তাদের রোষানলে পড়তে হয়। আমি ও জানি, খানিকটা বাদ তারা মজা টা বুঝতে পারবে, তাই আর কিছু না বলে চুপচাপ জড়োসড়ো হাত গুটিয়ে বসে আছি। এবার আমাকে এসে পালা করে কথা শোনাচ্ছে সবাই, আপনার জন্য তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া হচ্ছে। আরও থাকি। আমি আর কিছু না বলে আগের মতো চুপ করে আছি। তারপর গাড়ির ভিতর বসে পড়ে সবাই। দেখছি তারেক মাথা চেপে ধরে আছে। এরপর রায়হান, ফাহিম, মিঠুনের ও একই অবস্থা। আমি মনে মনে হাসতে থাকি। ব্যথায় কুকড়ে যেতে থাকে তারা। ইতোমধ্যে তুষার পড়তে শুরু করে দিল। আর তুষার পড়ার সেই সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। পাহাড় থেকে নিচে নামতে থাকে আমাদের গাড়ি। যেতে যেতে সেনাবাহিনীর রেস্টুরেন্টে বিখ্যাত জিলিপি খেলাম। আমরা ফিরে যাচ্ছি লাচুং এর হোটেলের দিকে। রাস্তায় প্রচুর ইয়াক ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছে। ফিরে যাওয়ার সময় আর নতুন কোথাও নেমে যাব সেই আগ্রহ আর থাকে নি। পথে অমিতাভ বচ্চন ফলসের সামনে দাঁড়িয়ে ক টা ছবি নিলাম। পরায় দুটো বেজে যায় হোটেল যেতে। ক্ষুধার্ত সবাই। খাদ্যের মান অনেকটা জীবন রক্ষার চেষ্টা মতো। রায়হান হোটেলে এসেই কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে। কারো খেতে ইচ্ছে করছে না। ছুটে চলছি এবার গ্যাংটকের দিকে।
মোটামুটি ক্লান্ত সবাই।
আর

মাঝে মাঝে দর্জি বলতে থাকে,
আপ চাহে ত ফটো খিচিয়ে।
কই জরুরত নেহি দর্জি আপ চলিয়ে, আগে বাড়িয়ে।

আর আমার ক্যামেরা চলছে। আমরা আনুমানিক রাত ৯ টায় গ্যাংটকের হোটেলে এসে পড়ি। আরেক টু ঘুরে নিলাম এম জি মার্গ ধরে। রাতের এম জি মার্গ সত্যিই এক রূপসী নগরীর গল্পের মতো।

সুত্র: উইকিপিডিয়া, পত্রিকা ও জার্নাল থেকে।
লেখক: লতিফুর রহমান প্রামাণিক, লেখক ও আইনজীবী।

২য় পর্বে লিংক:

https://pataprokash.com/2023/05/20/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%ab-%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%80-%e0%a6%86-2/

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge