বছর ঘুরিয়ে
কেতন উড়িয়ে
এসে পৌঁছলো পহেলা বোশেখ।
কম্পিত কণা বাতাসে বাতাসে আনন্দের এক বন্যায় ভাসে।
শান্তির সেই পরম দিবস
এসেই পড়েছে আজ।
বনদেবী আজ উপহার দেয়, মিষ্টি পাখির গান, মিষ্টি বাঁশির সুর,
সেই সুর আজ কানে কানে বলে, “চল্ যাই বহুদূর।”
ফুলগুলো আজ –
করছে ওরা শান্তি মেশানো মিষ্টি রঙেতে সাজ।
প্রকৃতির সব গাছের প্রতিটি পাতার মুখেতে হাসি,
মিষ্টি একটি হাসি।
নতুন দিগন্ত উন্মোচিত আজ।
অদম্য এক চেতনা।
যেন পেয়েছি ফিরে নতুন এক জীবন,
নতুনত্বের পথে চলার অনন্ত এক আহ্বান।
বলতে পারো আমায় ?
মানব মনটা এত আনন্দ কোথায় রাখিবে আজ?
খুঁজে তো পাইনা আমি।
ঠিকানা আমায় বুঝিয়ে দেবে, এমন কে আছো ভাই?
‘নাই, নাই, নাই।
উপায় তো নাই’, কে যেন বলে আমায়।
আজকের দিনলিপি –
বৈশাখী মেলায় আজ মানুষের ঢল।
আনন্দের এক দৃপ্ত আভায় আলোকোজ্জ্বল প্রতিটি মুখ।
দোকানে-দোকানে হালখাতাতে মিষ্টি মুখের সে এক আয়োজন!
সৌন্দর্য আজ করছে রাজ,
রাজ করছে রঙ।
প্রকৃতি সে আজ নিজেকে সাজায়।
রূপের আলো চারিদিকে আজ তুলিয়াছে আলোড়ন।
এত আনন্দ মানুষ কীভাবে সহ্য করিবে হায়!
কবির কপালে চিন্তার ভাঁজ। শান্তির দিন,
ক্লান্তি বিহীন,
বৈশাখ মাসের জাদুমিশ্রিত পহেলা দিবস আজ।
Leave a Reply