মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

স্মরণীয়-বরণীয় : কবি রোমেনা চৌধুরী-নাহিদ শারমিন শান্তা

স্মরণীয়-বরণীয় : কবি রোমেনা চৌধুরী-নাহিদ শারমিন শান্তা

(০২ জুন ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে)

১৯৪০ সালা ১লা জানুয়ারি পৌষ মাস কনকনে শীতে নবান্ন উৎসবের সাথে জমিদার পরিবারে শ্যামপুর চন্দনপাট ইউনিয়নের খইল্লা পাড়ায় জন্মগ্রহণ হয় ফুটফুটে এক শিশু সন্তানের। যাঁর নাম রাখা হয় অনেক ধুম-ধাম করে রোমেনা চৌধুরী। বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, মা- সাহেলা চৌধুরী। বড় ভাই ইসাহাক চৌধুরী, কারমাইকেল কলেজের ছাত্রনেতা। ছোট ভাই মিন্টু চৌধুরী অল্প বয়সেই মারা যান।
ছোটবেলা থেকেই রোমেনা চৌধুরীর মনে প্রকৃতি বাসা বেঁধে ছিল। বাড়ির পাকা বাঁধান দেয়াল ভেদ করে চুপি চুপি স্কুল থেকে বান্ধবীদের সাথে ফসলের মাঠে ছুটে যেতেন। তখন তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়েন। হঠাৎ একদিন (চাচাত) বড় ভাই কালসার চৌধুরীর চোখে পড়ে যান। লাঠি নিয়ে পিছনে দে ছুট তোর এত বড় সাহস কৃষানিদের বাচ্চাদের সাথে মেলামেশা, ফসল তুলতে যাস। ভয়ে জরসর হয়ে মায়ের আঁচলের তলে স্থান নেন। এর পরেই বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী রংপুর নুরপুরে চলে আসেন। গার্লস স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয় তৃতীয় শ্রেণীতে। সে সময় রিক্সা ছিল না, বড়লোকদের ঘোড়া গাড়ী ছিল। আর জমিদারদের হাতি। রোমেনা চৌধুরী হাতির পিঠে চড়ে প্রতিদিনি স্কুলে যেতেন। দেখতে খুব সুন্দর ছিলেন। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সকলে তাকে দেখতেন। পড়া-লেখায় খুব ভাল ছিলেন। পাশাপাশি নাচ-খেলাধুলায়ও পুরস্কার পেয়েছেন। গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পর ইঞ্জিনিয়ারপাড়া নিবাসী ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেনের সাথে তাঁর বিয়ে হয়ে যায় এবং পড়ালেখা চালিয়ে যান। নিজের চেষ্টা ও স্বামী ডাঃ মোঃ মোশারফ হোসেনের ইচ্ছায় কারমাইকেল কলেজ থেকে এম.এ পাশ করেন। পাশাপাশি লেখালেছিরা চর্চা চালিয়ে যান। এ সময়ে তিনি আসামের সাময়িক বার্তা গণ চাবুক, ঢাকার বেগম পত্রিকায় নিয়মিত লিখে যান। ডাকযোগে কুষ্টিয়া, রংপুরসহ বগুড়া, রাজশাহী সবখানেই তাঁর লেখা প্রচার পেতে থাকে। লেখা যেন তাঁর জীবনের ছন্দ, ভাব, ভাষা। স্বামীর কর্মস্থানে চলে যান লেখাপড়া শেষ করে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক হিসেবে পেশা বেছে নেন। পড়ালেখা চালিয়ে যান দেশে বিদেশে। নিয়মিত লেখা ছাপা হতে থাকে। লেখা তার জীবনের একটি নেশা ছিল। অনেক বই পত্রিকা তাঁর সংগ্রহে ছিল। দুপুরে মহিলারা ঘুমাতেন কিন্তু তিনি চেয়ারে-টেবিলে বসে লিখে যেতেন।
কোন লেখা পড়ে প্রথমে লেখককে উৎসাহ দিতেন, বেশি বেশি করে লিখতে বলতেন। অফুরন্ত সময় ছিলো তার লেখকদের জন্য, ধৈর্য্য সহকারে পুরো লেখা পড়ে মতামত দিতেন। তার বাড়িটি ছিলো যেন ‘কবি ভিলা’। কবি-সাহিত্যিকদের সমারোহে ভরপুর ছিল কি দিন, কি রাত। মাঝে মাঝে তার বাসায় আসর বসতো, কবিতা-গানে ভরে উঠতো সেই আসরগুলো। তার মাঠে মঞ্চ হতো নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছড়াকার সৈয়দ আবুল হাসনাত লাভলুর ভাষায় ‘সোনালি দিন’, শাহ্ আব্দুল মজিদ বুলুর ‘রঙিন দেশ রংপুর’ গ্রন্থে তাই তাঁকে ‘কবিতা কন্যা’ উপাধীতে ভূষিত করেন।
তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে অসুস্থ্য শরীরে ভালোভাবে হাঁটতে পারেন না, তবুও হাত ধরে ধরে ‘লেখক সংসদ, রংপুর’-এর সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে উপস্থিত হয়েছিলো (২০১০খ্রি.)। এটি ছিল তাঁর শেষ কবিতার আসর। রংপুর প্রেসক্লাব তৈরি হবার সময় ২৪জন সাংবাদিকদের মধ্যে তিনি ছিলেন একমাত্র মহিলা সাংবাদিক। আর বাকী ২৩ জন পুরুষ সাংবাদিক। অনেক সংগ্রাম করে তাকে টিকে থাকতে হয়েছে। সে সময়ে মহিলা সাংবাদিক রংপুরের মতো ছোট শহর থেকে গড়ে উঠ কম কষ্টকর ছিলো না। সাহিত্যের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ছিল তার বিচরণ। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, গান, ছড়া, ফিচার, সংবাদ, সমাজসেবা ছিলো জীবনের ব্রত। তবে তিনি কবিতায় বেশি সাচ্ছন্দ অনুভব করতেন। রংপুর বেতারে নিয়মিত প্রচার হতো তার স্বরচিত কবিতা ও গান। উচ্চারণ ভঙ্গি ছিলো বলিষ্ট ভরাট। দেশ, প্রকৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ছিলো লেখকের লেখার বিষয়বস্তু। বঞ্চিত অবহেলিত নারীদের নিয়ে চিন্তা করে গড়ে তুলে ছিলেন ‘মুসলিম নারী কল্যাণ সমিতি’। এত বড় মাপের মনের মানুষ আজ আর চোখে পড়ে না। যিনি ছিলেন সকলের প্রেরণকারী অনেক লেখকের তৈরি হওয়ার পেছনে তার প্রেরণা, উৎসাহ, সুচিন্তিত মতামত ছিলো। সকলের জন্য ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাস। কবি নুরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ প্রতিদিন সকালে খালি পায়ে হেঁটে এসে দেখা করতেন, লেখা শোনাতেন, শুনতেন এবং আলোচনা করতেন। বিকেলে আড্ডা বসতো কবি মতিউর রহমান বস্নীয়া কাব্যনিধির ডাক্তারী চেম্বারে, যেটি তখন ছিলো বর্তমান ডাকঘরের সম্মুখে। তিনি ভাষাসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ইসাহাক চৌধুরী একমাত্র আদরের ছোট বোন। ১৯৫৪ সালে ইসাহাক চৌধুরীর সম্পাদনায় ‘উত্তরের বার্তা’ সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হতো, সেখানে সহ-সম্পাদক ছিলেন মতিউর রহমান বস্নীয়া কাব্যনিধি। বড় ভাইয়ের পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে তার লেখালেখির প্রধান উৎসাহ জন্মায়। বাংলাদেশের-ভারতের অনেক কবি-সাহিত্যিক-রাজনীতিবিদ এসেছেণ তার বাসায়, যেমন- শামসুর রহমান, মায়া সিন্হা, ঝর্ণা দাস, আসাদ চৌধুরী, আল-মাহমুদ, দিলারা মেসবাহ, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, জিএম কাদের, নীলা চৌধুরী, শফিকুল গণি স্বপন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বড় ভাই হিসেবে লেখালেখির জগতে সহযোগিতা পেয়েছেন কবি নুরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ, কবি মতিউর রহমান বস্নীয়া কাব্যনিধি, মহফিল হক ও মোনাজাত উদ্দিনের। বোন অভিভাবক হামিদা সরকার তাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। কবি রোমেনা চৌধুরী যাদের সন্তানতূল্য ভাবতেন, তারা হলেন- এম.এ বাশার টিপু, আফতাব হোসেন, রশিদ বাবু, সৈয়দ আবুল হাসনাত লাভলু, তৈয়বুর রহমান বাবু, মাহবুব হোসেন, আ.সা.ফা সেলিম, খলিল বাবু, মানিক সরকার মানিক, সোহরাব আলী দুলাল, এম.এম শোয়েব দুলাল, বাদল রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মোহাম্মদ শাহ আলম, রানা মাসুদ, লিটন, ডাঃ নুরুল আখতার হাসু, মৌসুমী শঙ্কর ঋতা, লিজি, নাসিমা আক্তার, বলাকা, পারুল, রিক্তা, আক্তার বানু বেলু, সওদা খানম মিনু, জি.এম নজু, গ্লোকি, আনজিনা, রিপা, মাহবুব বেলাল, বেলায়েত হোসেন, দিলরুবা শাহাদৎ ও আরো অনেকের প্রিয় খালা ছিলেন তিনি।
১৯৭১ সাল তাঁর জীবনের নেমে এলো কষ্ট, বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক চৌধুরী ভারত থেকে অস্ত্র গ্রেনেড সরবরাহ করত অসুস্থ হয়ে পড়ে ভর্তি হয়ে রংপুর সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ শোক তার বাবা সহ্য করতে পারেননি, অসুস্থ হয়ে বছর দু-একের মধ্যে মারা যান। প্রিয় মানুষগুলোকে হারিয়ে রোমেনা চৌধুরী ভেঙ্গে পড়েন, হাতে তুলে নেন কলম। লিখে যান মনের ব্যথা-কষ্ট। লেখার জগতে খুঁজে পান বড় ভাই নুরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ ও মতিউর রহমান বস্নীয়া কাব্যনিধিকে। এনাদের পাশে থেকে কাব্যচর্চা করে যান। কিশোর বয়স থেকেই তার লেখালেখির সূচনা। ১৯৫৮ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত লেখার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাহিত্যজীবন। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, গানসহ সাহিত্যের সকলধর্মী লেখায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এছাড়া সমাজসেবামূলক কাজে প্রচুর অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস সূর্যের সেতু ১৯৮৪ সাল। বাংলায় চুয়াত্তর ১৩৮৫ বঙ্গাব্দ সালে। ১৯৮৪ সালে হে মাধবী দ্বিধী কেন, ২০০৬ সালে ভেজা মাটির গন্ধ। ১৩৮৪ সালে কাঁটাতার। সমাজ সচেতন রোমেনা চৌধুরী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা, রাজনীতি, সমাজসেবা এব সাহিত্য সাধনায় সক্রিয় ছিলেন। তিনি বেগম রোকেয়া, মহাকাল, দাবানল, যুগের আলো, রাঙাপ্রভাত পত্রিকাসহ স্থানীয় ও ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতেন। তিনি বিচ্ছিন্ন শব্দায়ন, মহিয়সী ও জননী পত্রিকার সম্পাদনায় ছিলেন। রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্য, বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত গীতিকার হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। স্থানীয় দাবানল ও দৈনিক যুগের আলোয় নিয়মিত লিখতেন তিনি। দৈনিক দাবানলে বহুদিন ‘দৃষ্টিকোণ’ দেশদশী ছদ্মনামে সমাজের চিত্র তুলে ধরতে লিখনির মাধ্যমে। তিনি রংপুরকে ভালোবেসেছেন বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবদান রেখে গেছেন। কখনও প্রাপ্তির আশা করেননি। রংপুর বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেন, তন্মধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা-১৯৯৪, রংপুর নাগারিক সংবর্ধনা ও পদক-১৯৯৫, কবি বন্দে আলী সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৫, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার-১৯৯৬, উত্তরবঙ্গ নাট্যজগৎ ও গুণীজন সংবর্ধনা-১৯৯৬, রংপুর থিয়েটার সংবর্ধনা-১৯৯৬, রংপুর বইমেলা সুধীজন সংবর্ধনা-১৯৯৬ (রংপুর জেলা প্রশাসন), বেগম রোকেয়া সম্মাননা পদক-২০০৭, জাফরী জোবায়েদ রংপুর সাহিত্য পুরস্কার-২০০১, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় পদক (রংপুর সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ)- ২০০৬, ইউনোস্ক ক্লাব-২০০০, খাতুনিয়া সার্কুলেটিং লাইব্রেরি কর্তৃক বিশিষ্ট গুণী মহিলা সম্মাননা-২০০৩ উল্লেখযোগ্য। গীতিকার হিসাবেও তিনি সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন সাউন্ড টাচ্ এর পক্ষ থেকে ২০০৮ সালে। সেখানে তাঁর রচিত গানগুলি বিভিন্ন সময়ে পরিবেশন করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। নিজ হাতে রান্না করে খাইয়েছেন। অর্থ দিয়ে, স্থান দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নীরবে। ২০১০ সাল ফেব্রুয়ারি মাস অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি। ভর্তি হন রংপুর মেডিকেলে। ডাক্তার চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করেন ঢাকায়। সন্তানদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলেছেন, এবার আমি আর বাঁচবো না সোনারা আমার, তোমরা কষ্ট পেয় না-ভালো থেকো। তিনি অনুভব করেছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন এখন তার সময় শেষ। দুু’চোখ দিয়ে অনেক জল ঝরে পড়ছে, অনেক কথা বলতে চেয়েও বলতে পারেনি তিনি তখন।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বারডেম-এ বিশ তলায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। জি.এম কাদের সাহেব দেখতে আসেন। এরশাদ সাহেব আর তাঁর বড় ভাই ইসাহাক চৌধুরী বন্ধু ছিলেন। কারমাইকেল কলেজে একসাথে লেখাপড়া করতেন। পারিবারিকভাবে একটা সুসম্পর্ক ছিল। ফিরে এলাম ফেব্রুয়ারির ২৭/২৮ তারিখ রংপুরে। তিন মাস একদিন মৃত্যুযন্ত্রণায় কষ্ট করেন। মাছ, ভাত আর ফলের জুস খেতেন এ কটা দিন। সেদিনটি ছিল ২০১০ সালের ১লা জুন রাতে ছটফট করছেন। সকালে ঠিক ৮টার দিকে হালকা আত্মগোংগানি বা চিৎকার দিয়ে সবশেষে হয়ে গেল, চারিদিক নিশ্চুপ, ততক্ষণে আজরাইল এসে তাঁর জানটাকে নিয়ে গেলেন। তাঁর চার ছেলে, চার মেয়ে। পাশে ছিল ছোট মেয়ে শান্তা। হাতে ছিল তাঁর হাত। প্রিয় সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার বড় পরিচয় মমতাময়ী, স্নেহময়ী, নিঃস্বার্থ, আকাশের মতো বড় হৃদয়ের উদার একজন মানুষ। কোন কালিমা তাকে স্পর্শ করেনি। সবশ্রেণীর মানুষ তাঁকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। প্রিয় ও শ্রদ্ধার ব্যক্তি ছিলেন তিনি। আলোর দিশারী বেগম রোকেয়ার যোগ্য উত্তরসূরী রোমেনা চৌধুরী। তাঁর আদর্শ ও চিন্তা-চেতনাকে আমরা ধারণ করবো।

[লেখক: সাধারণ সম্পাদক, লেখক সংসদ, রংপুর]

শেয়ার করুন ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge