১. স্বপ্ন
কারো চোখের স্বপ্ন হতে পারিনি…
চেয়েছিলাম কারও চোখের কাজল হয়ে থাকবো।
অন্তত কেউ একজন আমার অপেক্ষায় থাকবে-
দীর্ঘ প্রতীক্ষায় আমার সাথে কথা না হলে
অভিমানে চোখ দুটো অশ্রুসজল হবে।
ছোট ছোট চাওয়াগুলো কোনও এক ফাল্গুনে
ফুটবে কৃষ্ণচূড়া হয়ে।
তিল তিল করে লালন করা স্বপ্ন,
ধরা দিবে আমার চির বসন্তহীন শহরে।
নক্ষত্রের মত অপেক্ষা করে দেখেছি
যে কখনও কারও কাঙ্খিত স্বপ্নই
নয়…
সে কী করে কোন মায়াবী চোখের কাজল হয়?
২. প্রত্যাশা
বারবার ভুল করে প্রত্যাশা করি
একটি গোধুলী রাঙ্গা বিকেলের
তাকিয়ে থাকি , প্রতীক্ষায় থাকি-
তোমার ফিরে আসার ।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়
সন্ধ্যা পালিয়ে যায় রাতের গভীরে ,
প্রতীক্ষার সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
কষ্ট ছোঁয়া হৃদয়ে বেজে উঠে
যে যায়, সে ফেরার নয়।
৩. একা
ফিরে যাবার জায়গা কোথায়
ঘুম ভেঙে যায়, ভাবনারা জাগে
কে দিয়েছিলো প্রতিশ্রুতি, কে শিখিয়েছিলো প্রেম
স্মৃতিরা দরজায় কড়া নাড়ে , কোনও জায়গা নেই,
কোনও মানুষ নেই, কিচ্ছু নেই।
একটি বার দেখার প্রত্যাশায় –
আমার অপেক্ষায় কেউ নেই
কেউ দাঁড়িয়ে নেই, ভোরের সোনালী রোদে
অথবা নির্জনতম সন্ধ্যায়
প্রহর গুণেনা শব্দিত ঘরে।
ঠোঁট থেকে সৌন্দর্য্যবিন্দু চুষে নেয়ার মত
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত –
দিনান্তের শেষ থেকে রাত্রির শেষ প্রহর অবধি
আমাকে পাবার ব্যাকুল প্রতীক্ষায়
নির্জনে কেউ নেই
কেউ পথ চেয়ে থাকেনা ।
আমার জন্য
কারো হৃদয় মাতম তোলেনা
গোপন সুখে কেউ শিথানের বালিসে অশ্রু ফেলেনা
আমি ততটাই একা,
যতটা একা হলে –
কেউ তাকে নিয়ে ভাবেনা।
৪. ঠিকানা
পথেই খুঁজে পাই অচেনার ঠিকানা;
পথেই হারাই সব জানা অজানা।
ভাবি, এ জীবনে কী পেলাম, আবার
কিইবা হারালাম।
দিগন্তহীন এই পাখিমন
তবুও করে চলে
অন্তহীন গন্তব্যের অন্বেষণ।
৫. নামহীন বরষায়
চৈতি শ্রাবণে,কখনও বা ঋতু নামহীন প্রবল বরষায়
ভিজে ভিজে হেঁটেছি বহুকাল
আর পদস্বরের ছন্দে ভিজেছি দু’জন।
দেখেছি একই সাথে প্রাচীন সূর্যের ঐশ্বর্যিক উদয়াচল।
শুধু ভালোবাসাটাই একলা দাঁড়িয়ে দূর কোনো বনে।
পাশাপাশি হাঁটার অনুভবে কিছু কি ছিলো
হয়তোবা প্রাত্যহিকতার
নিত্য যাপন।
রোজ ভোরে গোলাপের টবে
জল ঢালা অভ্যেসের মতো কিছু ভুল
যাকে গাঢ় স্বরে বলি-
ভালোবাসা, ভালোবাসা।
Leave a Reply