১. জোড়ায় জোডায় খট খটানি
হাটতে গেলে উষ্ঠা খাই
রাইতে দিনে টানে ঘানি
বলদের জান দেয় দোহাই।।
পার হইয়াছে সত্তুরের ঘর
আদম শরীর কাঁপে থরথর
উঠতে গেলে বইতে নারি
বাকী জানে মালিক সাঁই।।
বিষ খাইয়া বিষ লড়া চড়া
পাড়া পড়শী ডাকে বুড়া
খিজিরে কয় দিন ফুঁড়াইলে
দেখতে যেন তারে পাই।।
২. বুকের পাঁজর ভাইঙ্গা গেলে
তারে তো আর কেউ দেখেনা
যে জন দেখব বলে ভাবি আমি
সে তো রে ভাই দিনের কানা।।
কাইন্দা কাইন্দা বিলাপ করি
শুনব ভাবি আহাজারী
কানেতে কাল সে শুনে না।।
আমি বুঝাইতে যে চেষ্টা করি
বুঝে না সে আনাড়ী।
কান্দে খিজির দিন রজনী
নদী লালা চক্ষের পানি
সে দেখল না শুনল না কানে বুঝল কিনা।।
৩. যে জন আন্ধার রাতে
চোখে দেখে নিরজ্ঞন
সে আজব সিঁদেল চোরা
ঘুমায় না রাত পাগল মন।।
আয়শীরা ঘুমায় সুখে
রং বেরংয়ের স্বপ্ন দেখে
সিঁদেল চোরা পাইতে বসা
মহারাজের দরশন।।
কে ছোট আর কেবা বড়
থাকতে সময় হিসাব কর।
সিঁদেল চোরা চুরি করে
পায় কিরে ধন বলে নারে
কলবে লুকায় গুপ্তধন।।
৪. আমারে করিয়া পাগল
হইল না কি রে সে পাগল
পাগল হইলাম কার লাগিয়া
আমি পাগল হইলাম কার লাগিয়া।।
তার পীড়িতে মন মজাইয়া
কান্দি আমি রইয়া রইয়া
দেখে না প্রান বন্ধে মোরে আইয়া।।
গলায় লাগাইয়া ফাঁস
দিবা নিশী হাহুতাশ
কি সুখ পায় কলঙ্কিনী বানাইয়া।।
৫. ফেলে আসা দিন গুলো কেন বার বার
চোখের সমুখে এসে করে হাহাকার
হারানোর বেদনায় চোখ দুটো উছলায়
সূর্য্যটা বৃষ্টি হয়ে ঝরে।।
দিন নাই রাত নাই হায়রে সময়
স্মৃতি গুলো কানে কানে কত কথা কয়।
অতীত আমারে রোজ চেনে নিয়ে যায়
যেখানে তুমি ছিলে সেই খানটায়
ভাবনার আকাশ জুড়ে বেদনার পাখী গুলো উড়ে।।
Leave a Reply