বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

লালন নূর এর ৩টি কবিতা

লালন নূর এর ৩টি কবিতা

১. কৃষ্ণ সহোদর
তোমাকে বয়ান করি হাবিবি-স্বভাবে
কানাই বাজালো বাঁশি রাধিকার ভাবে
আঁজলা ভরিয়া তুলি তোমার বদন
লোহা ও পাথরে ভাসে ফুলের রোদন
শাঁখের বাজনা তুমি যে মতে বাজাও
চাঁদের কাজলে চোখ রাঙিয়ে সাজাও
কাজলের হাসি যেন রঙিলা কিরিচ
রাধিকা-রাবেয়া একে অপরের বীজ
মানুষেরা পাশাপাশি সাঁকো-সরোবর
রঙের দুনিয়া ভরা কৃষ্ণ সহোদর

২. রঙিলা কানাই
তুমিও তো নিমগাছে ফুটে থাকা ফুল,
তুমিও তো লালরঙ ডালিমের দানা;
ডানার স্বভাব নিয়ে কাকেদের ঘরে
ঠিক ঠিক বেড়ে ওঠা কোকিলের ছানা।
কোকিলের কুহু কুহু সুমধুর বাণী –
তুমিও তো ফুলেদের অনুসন্ধানী
চোখে দেখো পৃথিবীর পুরাতন শোক;
তুমিও তো গণিতের যোগ ও বিয়োগ!
আনারস হয়ে ফোটা টানা টানা চোখ,
পাশাপাশি অতি চেনা-পরিচিত লোক।
বাঁশি শুনে ফুটে ওঠা রাধিকার ফুল –
দেহ-নদী ছুটে ছুটে মথুরা-গোকুল।
যমুনার ঘাটে দেখে বিনোদিনী রাই
তুমি আমি মিলে মিশে রঙিলা কানাই।

৩. বিরামচিহ্নের গাছ
গুহাচিত্রের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে
সব মহামানবের প্রাচীনতম পূণ্যের গান;
সেই থেকে মানুষের টেরাকোটা গুণ।
কাজল ভোমরা হলো আসল নাটের গুরু,
যে তোলে বাঁশিতে কলহের সুর;
বাদবাকী সব দাঁড়ি-কমা আর
সেমিকোলনের অবাঞ্চিত ব্যবহার।
এসবের ভীড়ে গজিয়ে উঠেছে
বিধি ও নিষেধের অতি স্বার্থপর
বিরামচিহ্নের গাছ – ব্যাকরণ, ব্যাকরণ!

শেয়ার করুন ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge