অজস্র বানানের ভিড়ে মিশে যাই আমরা
ধোঁয়া লেগে জলে থৈথৈ চোখ, তবু সন্ধ্যার উনুনে ফুঁ দেয় গ্রাম্যবধূ।
চৈত্রের সন্ন্যাসী ভুলে যায় সমগ্র ব্রত,
এই তো মানুষের জীবন খাবি খায় অল্প জলে –
দূরে বসে আমি তুমি ভাবি না জানি কত জলে পড়ে আছে ওই জীবন।
আর যে প্রেমিকেরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভেঙে দেয় প্রেমিকার নির্ভরতা ,
একটা আস্ত হৃদয়ের ধুকপুক- তাদের পাপের শাস্তি তোলা থাকে কুচকুচে দীর্ঘশ্বাসে।
যেদিন স্টেশনে শিশু দুটিকে পাঁচ টাকা চাইতে দেখে-
কিনে দিয়েছিলাম পাউরুটি, সিদ্ধ ডিম,
বাকিটা শিশুর দেবতুল্য হাসি।
বেকার যুবক ঠিকই তবু
পুজোয় একটা পাঞ্জাবি একটা শাড়ি কিনি বৈশাখের বুলবুলির মত,
জানি বাবা মা খুশি হতে পারবে না,
এভাবেই আমাদের টানাপোড়েনের হাঁড়িতে ফুটতে থাকে ভাত।
ভিতরের শুকনো কাঠ জড়ো করে রাখি –
আগুন জ্বালাবো ঠিক কোন একদিন-
যেভাবে চিল আর কাকেরা বিকেলের খেলায় মেতে ওঠে সেভাবে নয়!
Leave a Reply