আমি কাঁটাতারের স্বপ্ন দেখতে দেখতে তলিয়ে যাচ্ছি গরুপাচারের গল্পে। চতুষ্পদীর ব্যারিকেডও নেই, আধারকার্ড ও নেই। শুধু এক ষাঁড় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কেবল। ষাঁড়ের টিকি না টুপি চতুষ্পদী জানেনা। জানে শুধু ষাঁড়ের ধম্মো ওই, থাক, অন্তত মুখে তো লাগাম থাক। ক্রমাগত ভারী বুট, ভিসা আর উদ্বাস্তু শিবির। দু একটা খেঁকশিয়ালের নাচনকোঁদন তো থাকেই। শ্বাদন্তে গুঁজে দেওয়া ঘুষ। এসবই দেখে আর জাবর কাটে চতুষ্পদী। চারটে পাকস্থলীর একটায় এপারের ঘাসমন্ড, অন্যটায় সীমান্তের খড়বিচালি। বাকি দুটো ফাঁকা। সেখানে দু’দেশের মানচিত্র গুঁজে দিয়ে যাবে কেউ। কাঁটাতারে ভনভন করে মাছি, কাকের শরীর। “মুংলী, আয় বাছা আয় ” ভেসে আসে গতজন্ম থেকে। পরজন্মের নাম লাশকাটা ঘর, চপারের অ আ ক খ। দিগন্তে সূর্য ডোবে সীমান্তে ঘুম…
এখন ঘুমের পাশে বয়ে যাচ্ছে দু টুকরো নদী
Leave a Reply