এই যে বেঁচে আছি, এই যে অশান্ত সরোবর ঘুমিয়ে আছে জয়জয়ন্তি ফুলের মতো, চারপাশে ঘন ছায়া ইমনকল্যাণ রাগ বাজায়, পতঙ্গের অন্ত:পুর, ভেসে থাকা ধারালো চকচকে প্রশ্ন আর তার অসমাপ্ত সমাধান, জীয়ল মাছের ডুবে থাকার ইচ্ছা নাকি অভিমান, সব কিছু সরিয়ে দেখি প্রায় বারবার, ঠোঁটের কৌশলের অপ্রাপ্তির লালার মাঝে লাল লাল স্বপ্ন ভাঙছে বুদবুদ দিয়ে, বাতাসের পৃষ্ঠায় লাল কাঁকড়ার তেলচিটে পায়ের ছাপ , এর মাঝে তুমি, যার চোখের কালি’তে আমারই প্রেমের সপ্তডিঙা ডুবে গেছে প্রায় নর্তকির মতো, বলেছিলে এই বেঁচে থাকার নাম ‘ অহংকার ‘!
এ কথার ভাঁজে লুকিয়ে আছে গোটা গোটা অক্ষরে আকাশ, সোণালী রঙের কিছু স্তব, ডিম ফোটার আশায় পেরিয়ে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখির দল সভ্যতা’কে ভাসিয়ে! চোখের ওপর ভাসছে অসংখ্য মৈথুনের স্বপ্ন , তীব্র ধার ছুরির এধারেরই প্রাপ্তবয়স্ক যত গদ্য , আমার বিস্মৃতির অতল থেকে উঠে আসে স্বনামে পরিচিত প্রিয় যত নারীর নাম , অপ্রাপ্তির উপাখ্যান , কারো ঈশারা আজও কচ্ছপের মতো কামড় দেয় বৃষ্টি আর না ঝরার ঈঙ্গিতে! আমি সে’সব গল্পের নামের আদ্যাক্ষরে লিখি ‘ প্রাপ্তবয়স্ক স্মৃতিভার ‘!
আরম্ভের প্রতিশ্রুতি’র ভেতর অপ্রাপ্তির সব প্রাপ্তবয়স্ক উপাখ্যান গুলো নেড়েচুরে দেখি ‘ সব অদলবদল ‘!আজকের এই প্রৌঢ় জাতকের গল্পে রক্তের ভেতর কান্না চুঁইয়ে নামে! আজও দেখি বুকের ভেতর সেই সরোবর , তার ওপরে ঢেউ , ভাসছে চন্দ্রশাবকের দল, ডুব দিলেই পাঁকাল আর কচ্ছপের ভরা মৈথুন! এই ছবিটাকে শীতল বাক্যের মৃত বেগুনী গোলাপ দিয়ে ঢেকে রাখি ! সংক্ষিপ্ত সংলাপ আর মুহূর্মুহূ ডুব দেওয়ার বিরুদ্ধে উপন্যাসের কারন হিসাবে লুকিয়ে রাখি আজও! থুথু ছিটিয়ে দিই সেই সব সুন্দর আর কুৎসিতের স্থূল বন্দনায় যার বিরুদ্ধে আজও একবার নোঙর হতে চাই!
Leave a Reply