কতকাল চেনা চেনা শব্দ জড়াইনি
আকুতি মাখিয়ে?
যদি বিপ্লব হও
আমি বাঁশি হয়ে ঝরি সুরে সুরে
কতকাল বয়নি আরোগ্য বাতাস
জানাশোনা নদীর উপরে
তবু সেই নদী ঢেউবুকে জড়িয়েছে অনন্তকাল
পাথরের কোনায় কানাচে লিখেছে
অমল রূপকথা
আমি তার সাঁকো হতে পারি
সব বাঁধ ভেঙে
জোয়ারের নদী বইতো যখন তখন
বৈঠার তালে তালে পেরোতো নিষিদ্ধ জল
সে কি দেখেছে সেই বালুকাবেলায়
চাঁদের গোপন ছোঁয়া?
অলৌকিক মনভাঙা বাতাসে
শুনেছে বাঁশীর ডাক?
রঙের আভাস মেখে করতলে
কে কোথায় দিয়েছে হাতছানি
তারপর চলে গেছে চৈত্রের আনজানা পথে
রোদমাখা দিন জেনে রেখো
ঝরাপাতা বুকে নিয়ে
আমি অন্ধ প্রজাপতি
তিলে তিলে গড়ে দেবো
পাথরের সাঁকো অশ্রান্ত জলের উপর
এখনো তো ধুলো সরিয়েই শুনি লাবডুব
কি আশ্চর্য জোছনাগন্ধে ভরে থাকে রাতের বাতাস
দাওয়ায় লুটিয়ে থাকে একফালি আলো
চাঁদের আভাস থেকে,
জোছনা বাতাস থেকে বেমক্কা বইতে থাকে বসন্তকাল
Leave a Reply