এসেছো! না এসে উপায় আছে, বড় বেশি অত্যাচার করছো।
অত্যাচার? না তো কি? এত বলি ফোনকল, টেক্সট, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার এসবে নক দিও না। বেহায়ার মত নক দিয়েই যাচ্ছ দিয়েই যাচ্ছ।
বেহায়া? এর চেয়ে তীব্র শব্দ বলতে পারলে আরো ভালো লাগতো। কেন বোঝনা আমার একটা সংসার আছে।
সংসার ভাঙার এত ভয়? দেখো ও আমাকে সন্দেহ করছে, আমি চাইনা বাবা মার কানে এসব যাক। তুমি ছেলেমানুষ, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে ভুলে যাও।
ভুলে যেতে বলছ? মনে আছে, অচেনা আইডি থেকে কেউ একজন বলেছিল-আপনি কি মোহিত, আপনার কবিতা আমার বেশ লাগে। হয়তো আপনাকেও। এরপরের ঘটনা তোমার জানা। দীর্ঘ দশ দিন পর আমার সাথে কথা বলেছিলে। বলেছিলে আমার এক তিল অংশ কারো হলে, আমার শরীর থেকে সেই অংশ ছিঁড়ে ফেলে দেবে।
আর এখন তোমার পুরো শরীর কারো গরম তেলে বেগুনি ভাজা হয়। শুধু শরীর বলছি কেন
মনটাও কুয়াবদ্ধ ব্যাঙের মতো কারো মনের ভেতর ঘ্যা ঘ্যা করে।
কাব্যিকতা রাখো, কবিতার যুগ উতরে গেছে।
কাব্যিকতায় প্রেমিকার পেট ভরলেও বউয়ের চাই অন্য কিছু। কি ভাবছো কবিতা গুলিয়ে বউয়ের পেট ভরাবে? কবিরা রাজসভার নর্তকী আসরে কেবল মনোরঞ্জন দিতে পারে, পেট+রন্ধন নয়। প্রেম একসময় পুঁজির কাছে হার মানে। কবিরাও হার মানে বিরহের কাছে। তুমিতো বিরহই চেয়েছিলে তাই না? জীবনের সমস্ত ক্রিড়া ফেলে এখন বিরহকেই ভালোবাস।
অনুগ্রহ করে অহেতুক আবর্জনা হয়ে আমার সুখের আঙিনা নোংরা করোনা।
যার বুকের আঙিনা-ই নোংরা তার সুখের আঙিনা নোংরা করার কি আছে। সত্যিইতো কবিদের বিরহই প্রাপ্য কারণ তারা ভালোবাসা বিক্রি করে ছলনা কেনে। সুখ বিলিয়ে দিয়ে যাতনার মজুদ বাড়ায়।
এই বুকেও একদিন ঘাসফুল গজিয়েছিল, সেখানে আলতো করে পা রেখে বলেছিলে,
এই ফুল যেন কারো পায়ের চাপায় পিষ্ট না হয়।
আর আজ কারো শ্বাসরুদ্ধ তলিয়ে যাওয়া মাথায় পা রেখে, নিজের সুখ-নিশ্বাস খুঁজছো অক্সিজেনে।
Leave a Reply