কতকাল নিজেকে নিজে দেখি না…
অথচ, শতাব্দী পেরিয়ে গেলো বঞ্চিত রাস্তায়!
নন্দন উদ্যানে অসীম ধৈর্যে দাঁড়িয়ে আছি কতকাল নিজেকে নিজে দেখবো বলে।
আমার আর দেখা হয় না কিছুই!
প্রাণের স্পন্দন ক্ষীণ হতে হতে গুটিয়ে নিয়েছি শুকনো নদীর মতো।
বাবা বলতেন, যদি মানুষ হতে চাও, তবে নিজেকে নিজে দেখো।
আমার আর মানুষ হওয়া হয়নি আজও!
তীব্র বসন্তে রহস্যের আঁকাবাঁকা রাস্তার শুনেছি কত হৃদয়প্লাবী গান…
দেখেছি কত সুন্দরীর রঙিন চুম্বন।
অথচ, নিজেকে নিজে দেখা হয়নি আজও!
বিকেলের চায়ের কাপে প্রফুল্ল চুমুকে পৃথিবীর ঠোঁটে দেখেছি উত্তপ্ত কিশোরীর আগুন,
নত মুখে ফিরে যাওয়া দেখেছি বেকার প্রেমিকের কথোপকথন !
বহু রাত জেগে লিখেছি আমার অভদ্র পদ্য…
দুরন্ত দুপুরে আলিঙ্গণের তৃষ্ণায় নগ্ন ভঙ্গিমায় দেখেছি আমি কামার্ত সাগর।
অথচ,বহুকালব্যাপী নিজেকে দেখবো বলে দাঁড়িয়ে আছি নন্দন উদ্যানে…
রূপান্তরিত জীবনের কালদীর্ণ কোকিলের মতো।
Leave a Reply