রুপা জানালার পাশে বসে বসে কিছু ভাবছে
ঠিক সেই সময় রুপা যাকে ভাবছে
সে তার পাশে এসে বসলো
রুপা তাকে দেখে আবাক হয়ে বললো
তুমি?
;তুমি এখানে কিভাবে?
রুপা চিমটে কেটে বলে
হুম তুমিই তো!
শুভ- আমি তোমার জন্য সব পারি।
দুজন দুজন কে দেখে মন ভরে
রুপা-এই জানো
তোমাকে খুব মনে পরছিলো
শুভ-তাইতো চলে এলাম
রুপা-
আচ্ছা তোমার কি মনে আছে
সেইদিন বৃষ্টির কথা
তুমি জোর করে যখন আমার হাত টা ধরে ছিলে
আমার সারা শরীর তখন শীতল হয়ে গিয়েছিল।
আমি লজ্জায় লাল হয়ে গেছিলাম।
তুমি সেই পুরুষ যে কিনা আমায় প্রথম স্পর্শ করেছিলে।
শুভ তোমার কি মনে পরে, বৃষ্টিতে যখন আমরা হাটছিলাম
সে সময় আকাশের কি গর্জন, ভয়ে আমি তোমাকে জরিয়ে ধরছিলাম।
তোমার কি মনে পরে শুভ,
;আমি যখন বৃষ্টিতে ভিজে একাকার তখন আমার খুব
শীত করছিল।
তখন তুমি আমায় আলতো করে আমার কপালে কিস করেছিলে।
মনে কি পরে সেই দিনগুলোর কথা।
শুভ-, হুম কেন মনে পরবে না
তুমি আমার প্রথম প্রেম।
প্রেমের প্রতিটি দিন; প্রতিটি সময় আমার মনে আছে আর মনে থাকবে অজীবন।
রুপা আমি তোমায় পেয়ে অনেক অনেক হ্যাপি।
তোমার মতো রুপা কজনের ভাগ্যে জুটে
তুমি আমায় যেভাবে আকরে রেখেছো,
সে ভাবে হয়তো অন্য কোন মেয়ে তা করতো না।
তুমি আমার সুখে, দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছো।
আমি তোমার এই ঋণ দিন বাড়ি যায় ব্যানার্জি শোধ করতে পারবো কিনা জানিনা
তবে তোমাকে ছারা আমি থাকতে পারবো না
রুপা-
একটু বেশি বলে ফেললে না।
অনেক হইছে চলো
আর আমার গুন গাইতে হবে না।
তোমার কি সময় হলো বিয়ে করার?
আমার কিন্তু মোটেও আর ভালো লাগছে না।
আমি তোমায় নিয়ে ঘর বাঁধতে চাই।
শুভ-
রুপা চোখটা বন্ধ করোতো
তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
বাধ্য মেয়ের মত চোখ বন্ধ করে রুপা।
শুভ তার গলায় একটা স্বর্ণের চেইন পরিয়ে দেয়
বলে এবার চোখ খুলো।
রুপা আনন্দে আত্বহারা
শুভ এটা আমার জন্য?
হুম তোমার জন্য
আর আমরা নেক্সট মাসে বিয়ে করছি
তুমি খুশিতো?
রুপা-
কেন তুমি খুশি না?
শুভ-
হুম অনেক অনেক খুশি
এতদিন শুধু স্বপ্ন দেখেছি
এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষা। শুভ চলে যায়। আর রুপা জানালা দিয়ে দেখতে থাকে তার চলে যাওয়া। রুপা আনন্দে আত্মহারা হয়ে তার মার সাথে কথা বলে যদিও পারিবারিক ভাবে তাদের রিলেশনটা মেনে নিয়েছিল। এখন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা সেই দিনটির জন্য।
কবে যাবে শশুর বাড়ি এসব চিন্তাই রুপার মাথায় ঘোর পাক করছে।
শুভ পেশায় ব্যাংকার নতুন চাকুরী হয়েছে তার তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছিল। তাদের রিলেশন প্রায় ছয় বৎসর ধরে চলছে এখন শুধু বিয়ের আয়োজন।
অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন
পূর্ণ হলো তাদের মনের ইচ্ছে ও স্বপ্ন গুলোর
একধাপ এগিয়ে গেল তারা দুজন।
Leave a Reply