মৃত-মুনিয়া’র বিছানা-চাদর
সালেম সুলেরী
যে বিছানায় সঙ্গ দিলে, সেই বিছানায় লাশ,
হে মুনিয়া পাখি আমার, প্রেম-নিয়তির দাশ।
যখন ছিলে সোহাগবদন, দেহতোষণ আদর,
প্রেমের পিঠে প্রণয়-বিয়ে চাওয়ায় ভরা-ভাদর,
তারা কেবল পেতেই জানে– সাগর সেঁচা রূপ,
দিতেই জানে রুপখনিতে বিনোদনের ডুব,
স্বার্থ হাসিল কার্য শেষে
কী নিয়তি ধার্য শেষে,
দেহ নিথর হত্যাঘুমে প্রাণপাখি নিশ্চুপ।
চাদর জানে সব ঘটনা, তাতেই লীলা চাষ,
দে বলে দে ও বিছানা হত্যা-ইতিহাস!
স্বাক্ষী মেনে বলছি তোকে পা ধরে,
ঢাকিস না সব খুনকাহিনি চাদরে,
প্রেমের নামেই প্রতারণার চলছে উপন্যাস,
প্রেমিক-পুলিশ-প্রশাসনে তথ্যে অবিশ্বাস।
সত্যে এখন মহামারী, করোনা সন্ত্রাস!
অভাব বড়ো অক্সিজেনে
ভুল প্রেমিকের– প্রক্সি জেনে হয়তো গলায় ফাঁস,
‘টপ টু বটম– পচন’ হলে
কাজের বদল বচন হলে
উম্মোচনের বদল নাটক ঝুলবে শত মাস,
মুনিয়া কি ‘সাগর-রুনি? প্যাকেট করা তাস?
ঘটনাকে গোপন করার শীর্ষ উপহাস,
সুখ-বিছানার স্বপ্ন-বধুর রত্নজীবন নাশ!
হে খুনীরা– মুনিয়াকে বেশ পাড়ালে ঘুম,
হে মিডিয়া– চোখ মুদিয়ে বার্তা করো গুম!
জনগণও আজ বসে নেই, সোস্যাল মিডিয়াতে
নিজের প্রচার করছে নিজে, খবর দিনে রাতে।
কে অচেতন? সব সচেতন— বিচার চেয়ে খাড়া,
এক মুনিয়া পাপ দিয়ে পায় পাপমোচনের সাড়া!
আর হয়ো না– হে বিছানা লাশের কোনো ভেলা,
আর নিও না পরকীয়া’র পাতানো প্রেমখেলা।
তোমার দোকান শুদ্ধ হলে,
অবৈধতা রুদ্ধ হলে
সুনাম পাবে চাদর বালিশ ঘর,
আর খেলো না মন্দ খেলা তোমরা পরস্পর।
Leave a Reply