মাহাবুবা লাভীন এর ছড়া
১. কুয়োর ব্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
হাঁটতে গিয়ে উল্টে পড়ে
তাহার সরু ঠ্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
কথায় কথায় খুলে ধরে
মস্ত জ্ঞানের ট্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
ট্যাঙ্কি খুলে ঠিক চেনা যায়
আস্ত কুয়োর ব্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ
পড়লে চাপে তখন করে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
ঢ্যাঙ ঢ্যাঙা ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ।
২.
কেয়ার করি
পেয়ার করি
মনের কথা শেয়ার করি
ভরসা করি
চরচা করি
ক্রীম দিয়ে মুখ ফরসা করি
ফাইট করি
রাইট করি
ভুল পথে তাও গাইড করি
রুক্ষ করি
দুঃখ করি
অভিনয়টা সুক্ষ্ম করি
দীক্ষা করি
শিক্ষা করি
হাত পেতে তাও ভিক্ষা করি।
৩. গাছ লাগান, অক্সিজেন পান, জীবন বাঁচান
লোকটা বেজায় খারাপ ছিলো কাটতো কেবল গাছ
অক্সিজেনের অভাবে তার কী হাল হলো আজ
পকেট ভরা টাকা আছে ব্যাংকে হাজার ডলার
টাকার জোরেও মিলছে না তো ভরসাটুকু চলার
এই মুহূর্তে বাঁচতে হলে অক্সিজেনই চাই
সবই আছে অক্সিজেনের সিলিন্ডার তো নাই
লোকটা আগে জানতো যদি অক্সিজেনের দাম
গাছ না কেটে গাছ লাগাতো ঝরিয়ে দেহের ঘাম
তোমরা যারা গাছের দেয়া অক্সিজেনেই চলো
একটি হলেও গাছ লাগাবে শপথ নিয়ে বলো।
৪. মফিজের করোনা ভাবনা
মুই তো থুতনিত থুচুং মাস্ক
মোক বাঁচাইবে মাবুদ
করোনা এটে আসলে
হইবে নাস্তানাবুদ
তোমরা ফাকের করেন ভয়
করোনা কিচু নয়
মুই হনুং গরীব মানসি
মোর কিচুই হবার নয়।
৫. ভূতের ভয় পাচ্ছি…
সন্ধ্যা হলে গা ছম ছম
শেওড়া গাছের তল
ভূত দেখিয়ে মা বলে রোজ
পড়বি কিনা বল
ভূতের ভয়ে পড়তে বসি
কত্তো কঠিন অংক কষি
মায়ের মুখে ফোটে হাসি
ধরতে পারি পড়তে আমায়
মায়ের করা ছল।
একটা ছিলো ভূত
সংসারে তার বউ ছিলো আর
ছিলো দুটো পুত
একটা ছিলো ভূত
সারাদিন সে অলস বসে
ধরতো বউয়ের খুঁত
একটা ছিলো ভূত
আচ্ছা মতো বউ পেটাতো
পেলে কোনো ছুঁত
একটা ছিলো ভূত
বউয়ের আয়ে খাওয়া পরা
তাহার ছিলো জুত।
Leave a Reply