টিকা সমাচার
জসিম মল্লিক
আ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ইউরোপ থেকে এই বিতর্কের শুরু। বিতর্কের বিষয় হচ্ছে ব্লাড কল্ট। কিন্তু হেলথ কানাডা বারবার বলছে এই টিকা এক্সট্রিমলি সেফ। হেলথ কানাডার রিভিউ সিস্টেম ওয়ার্ল্ডক্লাস। সুতরাং দ্বিধাদ্বন্দের কোনো কারণ নাই। তা সত্বেও কানাডায় অনেকেই আ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা নিতে চায়নি। এপয়নমেন্ট করেও টিকা নেয়নি অনেকে। পায়লট প্রোগ্রাম হিসাবে টরন্টোতে ৬০ থেকে ৬৪ যাদের বয়স তাদের প্রথম আ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেওয়া শুরু হলো। এখন ৪০ প্লাস থেকে দেওয়া হবে। হটস্পটগুলোতে পপ আপ ক্লিনিক করে ১৮ প্লাস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ফাইজার, মর্ডানার টিকাও আছে এর মধ্যে।
ইতিমধ্যে কানাডার প্রায় এক চর্তুথাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়ে গেছে। আ্যস্ট্রেজেনেকার টিকা নিয়েছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন, জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল, বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগফোর্ড, টরন্টোর মেয়ের জন টরি সহ অনেকেই। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফিও নিয়েছেন।
আ্যস্ট্রেজেনেকার টিকা আমি যখন নিয়েছি তখন এই টিকা নিয়ে তুমুল বিতর্ক। আমার ফ্যামিলির সবাই আস্ট্রেজেনেকার টিকার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিল! জেসমিনতো বারবার বলছিল পরে নিলে হয় না! ফাইজার বা মডার্না নাও। কিন্তু আমি ডিটারমাইন্ড ছিলাম যে আ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাই নেবো।
আমি ১৬ মার্চ সুপারস্টোরে যাই টিকা দিতে। আগেই অরিত্রি এপয়নমেন্ট করে দিয়েছিল। টাইম ছিল দুপুর একটা। মনে করেছিলাম বিশাল লাইন হবে। এখন যেমন হচ্ছে। মানুষ তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও চার পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা দিচ্ছে। অনেক সময় ফিরেও আসতে হচ্ছে টিকা স্বল্পতার জন্য। এখন টিকা পাওয়াই প্রধান ইস্যু, কোন টিকা সেটা ব্যাপার না। সেদিন আমি সুপারস্টোরে গিয়ে দেখি কোনো মানুষ নাই। দুটো বুথই খালি। নির্দিষ্ট সময়ের দশ মিনিট আগেই আমার টিকা দেওয়া শেষ। সুদর্শন নার্সটি শুধু বলল, কোন হাতে নিবা! এবং বলল, তোমাকে আ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর আমার কোনো সাইড এফেক্টও হয়নি। সুতরাং টিকা নিন। নিরাপদ থাকুন। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের টিকা পাওয়া নিশ্চিত করুন।
টরন্টো ২৩ এপ্রিল ২০২১
Leave a Reply