ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপহারগুলো
হেলেন আরা সিডনী
ইতিটা টেনে গেলেও সম্পর্কটা শেষ হয়নি আজো
দু:খ-কষ্টের নাগরদোলায় স্পন্দিত হৃদয় কথা বলে
আজো জীবনের গভীরে একটা শূণ্যতা
আর হাজার দু:খকে ধারণ করে চলছি আপনার ঘরে।
বারবার জাগে মৃত্যুর আকাঙ্খা ; কিন্তু পাপী হয়ে মৃত্যু চাই না
একবারেই আলিঙ্গন করতে চাই তোমার মৃত্যুর বৃত্তে
আকণ্ঠ ভালোবাসার পিপাসায় আমি মরে মরে বেঁচে যাই
ব্যর্থতার পরাকাষ্ঠে অন্তর নিবাস আলোকিত হলো না আর
দীর্ঘ আঠারো বছর শেষেও রয়ে গেলো মন ভালোবাসাহীন অবহেলার কারাগারে
পৃথিবীর আয়ুতে মাত্রাহীন লোভ না রেখে নিজেকে দেখি ঘুমহীন চোখে
কে জানে তুমি কি কখনো আসো তোমার চৈতন্যের পরিমাপক যন্ত্রে
এসো না…কষ্ট পাবে…ভালোবাসার জীবনকথায়
ফোঁটা ফোঁটা জল গড়িয়ে পরবে বাস্তবতার চরম সত্যের গল্পে।
তুমি আমায় জানছো না ; আমিও তোমায় না
বেশ আছি নিষ্ঠুরতার কথোপকথনের অন্তর দহনে পুড়ে পুড়ে
দু’জনে একাকী বাসিন্দা – ইচ্ছে হলেও নেই যাওয়া – আসা, নেই দেখা
শত কষ্ট – দু:খ, বিপদ – ঝড় – ঝাপটায় কেউ নেই কারো পাশে
দূর থেকেই বলি – শান্তি খুঁজে নিও, করুনাময় তোমায় ভালো রাখুন
বুক পৃষ্টায় আজো শুধু তুমি ; তোমাকেই আমি ভালোবাসি
তোমার শত কোটি স্মৃতির উপহারে আমি পূর্ণ আমার স্মরণিকার পন্জিকায় সবসময় এখন সাধ্যমতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপহারগুলো তোমায়
পাঠিয়ে দেই,
জানি না পাও কি না সাধ্যের সহী ও শুদ্ধতার দোয়া – দরুদের আমলখানি
পরম সাহায্যকারী মহান দয়াময় তা তোমার আত্মার শান্তিতে
জমা করেন কিনা জানা নেই
সেই পরম মহা মহিম ক্ষমাশীল দয়াময়ের কাছে দু’হাতে প্রার্থনা রাখি –
তোমাকে যেনো শান্তিতে রাখেন ; জান্নাত দান করেন
তোমার পাশেই যেনো আমায় ঠাঁই দেন পরম করুনাময়
এতোটুকুই চাওয়া মহান দানকারী আল্লাহতালার কাছে।
তুমি খুশি থেকো….শান্তিতে থেকো… ভেবো না কিছু….
আমি ভালো আছি….শান্তিতে আছি..বিদায়ী প্রতীক্ষায় আছি।
(২৯ এপ্রিল। এপারে আমি ওপারে তুমি….মাঝখানে অথৈ অশ্রুজল। নিয়তির বিধান কে না মানে তাই বিদায় জানাতে হয়েছে তোমাকে না ফেরার দেশে। তোমার জন্য আমার উৎসর্গীকৃত লেখনী )
Leave a Reply