মোহিত মিঠুর ৩টি কবিতা
১. সূর্য পুরাণ
সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে। সূর্য বন্দনায় আনন্দে গেয়ে উঠছে পাখিরা। পাখিরা দেবতা না বুঝলেও, প্রকৃতির নিয়ম শৃঙ্খলার আশু মঙ্গলকাব্য ভালই বোঝে।
ভালোবাসা মরে যাচ্ছে। বেদনায় ডুকরে কেঁদে উঠছে মনের পাপিয়ারা।
মানুষ ভালোবাসা বুঝলেও, স্বার্থের ক্রোধানলে জ্বালিয়ে দিচ্ছে বিশ্বভরা প্রাণ।
২. প্রভুত্বের পালাবদল
চাঁদের ঠোঁটে চুম্বন এঁকে চাঁদ কলঙ্কিত করলাম।
কলঙ্কিত চাদের জোসনা সবার প্রিয় হলো, প্রিয়জন অধিক!
কাব্যদেবী, তোমার ঠোঁটে চুম্বন আঁকতে যেয়ে ঘৃণিত হলাম-
অসম্মতির কোন লাইট নিভা ঘরে তুমিও ব্যবচ্ছেদ হবে।
অথচ তারা সবাই প্রশংসিত।
প্রথা, সম্মতি গ্রাস করে শাসনের পথ চালু রাখলো।
কিছু মানুষ প্রথার দাস হলো, কিছু মানুষ প্রভু।
৩. শুভ শব্দে অশুভের আভাস
তোমার সীমানা জুড়ে ব্যস্ততার ঘাঁটি।
ত্রি-সৈন্যে পাহারা রেখেছো মনের সংসদ।
আবার মাঝে মাঝে পর্যটন নগরী খুলে আমন্ত্রণ করো পর্যটক,
অথচ আমার আগমন দেখলেই গুটিয়ে নাও বন্দর,
বন্ধ ঘোষণা করো পর্যটন কেন্দ্র!
মায়াবতী আমার পায়ের পাতা কি এতটাই সূচালো?
তোমার হৃদয় জমি ক্ষত-বিক্ষত করে আমার বিচরণ?
বলো নি কেন?
আবেগের দোহাই দিয়ে নিরাবেগে দূরে চলে যাও,
পিছনেও কারোতো পুড়তে পারে সেটা কি ভাবো?
যে শুভ শব্দে অশুভের বার্তা আনে
কেন জোর করে সেই শব্দের সমাবেশ ঘটাও?
শুভের বার্তা তোমার বদলে যাওয়ার ধ্বনি
ভুলে যাওয়ারও,
আমার অশুভের বার্তা অনাদরেরও…
Leave a Reply