মিলি সুলতানার দুটি কবিতা
১
জ্ঞানহীন নির্বোধরা বুঝে চলেনা
সততার মানদণ্ড বোঝেনা
হিংসুটে বালিহাঁস ঝাঁপ দেয়
ডাঙার শ্যাওলামাখা কাদাজলে।
বিদঘুটে নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়,
আকাশে ভাসমান মেঘের দিকে
দয়া বিলাও এসব পদার্থহীন জীবকে
ন্যায়ের বাটখারায় তুলে ধরো।
সততাকে ধর্ষকের হাতে সমর্পণ করে দাও ;
সমাজপতিদের গায়ের চামড়া
সে-তো গন্ডারের মত পুরু!
যত্রতত্র অসভ্যতার নাগরদোলা।
কালো ঢেউয়ে নিমগ্ন শয়তানেরপূজারী
আর কত বলি হবে নিরপরাধের ভ্রুণ!!
সামাজিক সভ্যতার চৌকাঠে
যতবার পদচিহ্ন পড়বে জানোয়ারদের
ততবার ভুকম্পনে জর্জরিত হবে
পঙ্গু বোবা বধির অচল সমাজ।
২
মৃত্যুনদীর দু’ধারে অচিন পাখির ছুটোছুটি।
বেগুনি পোশাকের বোতাম
টিমটিমে বাতিঘরের কাছে গিয়ে থামে ;
ঘরময় ছড়িয়ে আছে সুদূরপন্থী হাওয়া।
চোখেমুখে সীমাহীন আলস্য নিয়ে
পৃথিবী লিখেছে চন্দ্রিমার উপাখ্যান।
জীবিকার পথে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুরি,
চোখের আড়ালে হারিয়েছে শরৎ হেমন্ত।
প্রভাতের নতুন দৃশ্য দেখব বলে
ক্লান্তিহীনভাবে রাতের পর রাত পার করি।
মৃত্যু? সে তো প্রেয়সীর মত আদর করে
বাতাসে সুগন্ধি নিয়ে সন্ধ্যারতি আরম্ভ হয়।
শিল্পের শিরায় শিরায় আসে উত্তেজনা;
মোহময় মিথ্যেগুলি চঞ্চল দৃষ্টির মতো,
তাজা জোনাকির মতো উড়ে যায়।
Leave a Reply