প্রমথ রায়’র দুটি কবিতা
১. আমি জুতো কিনেছি
পায়ের ধুলো মুছতে মুছতে আমি মূর্তি হয়ে গেছি
শরীরে মেখেছি গম রঙ চাদর তোমার দেয়া শেষ উপহার
আমি আমার চামড়ার রঙ বদলে ফেলেছি
নতুন করে লিখেছি আমার বেদনা, তোমার পবিত্র নাম
এবং সনাতন মুচির সহমর্মিতা।
সনাতন মুচি আমার পা মেপে অনুমান করে
আমিও কোনো রাজবংশের রাজকুমার ছিলাম
আমি আমার নতুন জুতো পরে নিজেকে রাজকুমার ভাবি
হয়তোবা দ্রাক্ষালতায় তুমিও চুমু দিবে
কোনো এক পান্থশালায় রাজবধু হয়ে।
২. আমার আহত হাত
আমার আহত হাতে অন্য হাত রেখে ভাবি
চামড়ার মলাট মর্মভেদ করে এ হৃদয়ে
একটি শুকনো পাতার ভরাডুবি
নৌকোর গল্প করতে করতে মৃত্যুর গল্প করে
কখনো কখনো মৃত্যু অনেক সহজ
সাদা কাগজে কিছু আত্মস্বীকৃত কথা লিখেও কেউ মরে যেতে পারে সহজে
অথচ আমার একদম মরতে ইচ্ছে করে না
মরার মতো সব উপকরণ সাজিয়ে ভাবি
বেঁচে থাকাটাই ধ্রুব সত্য
হয়তোবা খড়কুটো শুকিয়ে যাবে
তবুও তো কুটিরের কৃচ্ছতা দূর করে
জোছনায় মোড়ানো স্বর্ণ হয়ে রবে।
Leave a Reply