পবিত্র মহন্ত জীবন এর একগুচ্ছ কবিতা
১. তোমাকে বারংবার
রাতের অন্ধকার জেগে থাকা
বাস্তব স্বপ্ন পুরণের আশায়…
এখনো অনা অহেতুক জটলাগুলো
ভ্রান্তির ভাবনা আমাকে কাঁদায়;
এতোটা কঠিন কল্পনাও করিনি-
বাস্তব ঝুলে থাকা ত্রিসীমানায়।
রাতের অন্ধকার ছুটে যাওয়া নক্ষত্র
মনেহয় দূরত্বের বিষয়;
খুঁজে না পাওয়া আজ কষ্ট গুলো-
এখনো সময়ের অপেক্ষায়।
তুমি চন্দ্রাবতী যতোদিন নিজেকে লুকিয়ে
নিস্তব্ধ সে আমাবস্যা অন্ধকারে?
তবুও আমার শরীরের শিরা-উপশিরা
এখনো ডাকিবে বারংবারে।
২. নবরূপ আঙিনায় পৃথিবী
সাতসকালে পাখিরা যখন গান গায়,
ঠিক তক্ষুনি ফেটিয়ে উঠে সূর্যকিরণ-
ক্লান্তি-জীর্ণতা অশুভ গুলো মুছে যায়
পাল্টে দেয় নবরূপ প্রকৃতির আবরণ।
শুভদৃষ্টি তাকিয়ে মূহুর্তে স্বপ্নের হাতছানি
সন্ধিরূপ মিলাতে চায় বাস্তব সম্ভাবনা-
দ্বেষ-বিচ্ছেদ গ্লানি ধুয়েমুছে পরিস্কার;
এবছরে নবসৃষ্টি পৃথিবীর আঙিনায় ।
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নবনীতায় শুভক্ষণে-
ফুলে সুবাসিত গন্ধ বিলয় মাধবী,
তৃষ্ণা মিটাতে চায় নতুন ক্ষুধার্তগুলো
নবরূপ আঙিনায় সাজিয়েগুছিয়ে পৃথিবী।
৩. সূর্যের শুভসূচনা
এতদিনে কষ্টে ছিলাম-
নিপীড়নের মধ্যেও কাটাতে হয়েছে রাত,
সুখ নেই,শান্তি নেই, যেখানে তুমি নেই
মনেহয় কূলভাঙা সেও বরর্বাত।
তুমি এসেছো বলেই তাকায়ে রয় প্রকৃতি
প্রভাত,পাখিরাও গায় গান উল্লাসে-
ফুলে ফুলে সুগন্ধি ঘ্রাণ সেও ভাসে বাতাসে
পূর্বদিক সূর্যকিরণ সেও হাসে আকাশে।
চারিদিক শুভ-আনন্দের উল্লাস মুখরিত
নিজেও একমুহূর্ত সামলাতে পারিনা আর
তোমার আগমনে হাসি-গানে দিনগুলি-
পূর্বদিক দৈনন্দিন উঠুক সূর্য বারবার।
৪. গুণকীর্তন
প্রকৃতির ভিতরে আজো-
কৃতিত্বে ডাক দেয় বাংলায়,
বিজয়-স্বাধীনতা চিরন্তরে –
ভাবাতে থাকে মুক্তির চেতনায়।
আজো কৃতিত্বের গুণকীর্তন –
ভুলেনি বাঙালি তোমাদের অবদান
নক্ষত্রের প্রদীপ্ত সলিতা যেন তা
দিয়েছ তাঁর প্রমাণ।
দেশপ্রেম তোমার ঘনিষ্ঠতায় –
দ্যাখ মাতৃত্বের বাংলাভাষায় ,
প্রকৃতির বিশুদ্ধ বায়ুতায়
অক্ষয় তোমাদের পরিচয়।
Leave a Reply