দেবাশিস দত্ত এর দুটি কবিতা
১. পা
একদিন তোমার পা ছুঁতেই পা বলল আতর
পায়ের সাথে যেতে যেতে পৌঁছে গেলাম মাছের দেশে
মাছ যুবতীর শীতলতায় শরীরে নামে সন্ধ্যাপোকা।
পোকার সঙ্গে কথা বললাম
ওরা বলল গভীরে যাবে
সন্ধ্যা দেশে ওদের নিয়ে কাঁচের বাড়ি
তোমার পায়ে মুখ ঠেকালাম
রহস্য ঘর পা বলল
স্বর্গে চলো , স্বর্গে চলো
পায়ের মধ্যে কাঁকরা শহর
হাত মেলেছি,বুকের উঠোন বিলিয়ে দিয়ে
করুণ পাতার গানের ভাষায় বলেছি
আমি
এই কবিকে পিঙ্গলা আর ইড়ার
বুকের পদ্য বলো
কাঁকড়া শহর সেইখানেতে
রাতের ফেরি,
কাব্য লিখি তোমার চুলে রাতের স্টেশন মায়া ভরা
বুকের মধ্যে মুখ রাখতেই জ্বলে উঠল মিথের গিটার
ট্রাফিক চিহ্ন মেঘ কুয়াশা
আমি তখন লাল আলোতে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রাবণ যুবক, কাহ্ন পাদের
বাংলা ভাষা
বলো তবে কোথায় যাব কাঁটাতারের
বিষণ্নতা
পা বলল যাও ডুবে যাও বুনো গাথায়
পায়ের কাছে পৌঁছে যেতে বৃষ্টি নামল ধান শহরে ,
তাকিয়ে দেখি বর্ষা খামার সঙ্গে কবি, অভিশাপ আর রাত যুবতী
লালন যাচ্ছে পায়ের ঘরে অভিসারে।
পায়ের কাছে পৌঁছে যেতে বৃষ্টি নামল
ধান শহরে,ধান শহরে।
২. ঘুম না আসা রাতে কবির জীবনী
যে রাতে আসে না ঘুম সে সময় লিখ তুমি
সমুদ্রের ঢেউয়ে লিখে যাওয়া ব্যর্থ কবির জীবনী
যে কবি বলেছিল রাষ্ট্র
কখনো কবিতা বোঝে না ।
যে কবি ধর্মকে বলেছিল কসায়ের সুখ,
ভাতের অক্ষরে যে লিখেছিল ঘুমের গল্প,
ঘাম আর রহস্য স্নান,
তোমার ঘুম না আসা রাতে একবার
সেই কবিকে ডেকে বলো
দাও কর্ষণ সুখ আগুনপাখিকে রাখো জলকথা ঠোঁটে,
আলে আলে রোপন হোক রাধিকা বৃক্ষ।
সমস্ত বাউল অক্ষর থাক চোখে,
যে কবি চেয়েছিল পতাকার নাম বসন্ত, রাতের নাম বৃষ্টি,
যে কবি রোদ্দুর সমাজ চেয়ে বলেছিল
ফুল নগর গড়তে হবে, প্রতিটি চুম্বন হবে সনেট যুবতী।
সে কবিকে ডাকো তার মাথায় লিখে দাও নদীর জীবনী।
কবির জন্য রাখো এক আঁচল চাঁদ
চাঁদের বর্ণ দিয়ে মেয়ে তোর বুক থেকে কবি
তুলে নেবে বিষাদের জল।
ঘুমিয়ে পড়বে তুমি
শুধু একবার যন্ত্রণার ভাষা দিয়ে,অশ্রুর অক্ষরে লিখ তুমি কবি জীবনী ।
Leave a Reply