অনামিকা ফেরদৌস এর দুটি কবিতা
১. মুখ ঢাকা মুখোশে
সমাজের অলিতে গলিতে নর্দমার
কীটেদের বারোমাসি অবস্থান-
প্রকৃত ভালোমানুষদের চলাচল করাই
যেন এখন একটা ভান।
কেন নর্দমার কীটেদেরই সমাজে
এত ভালো অবস্থান?
ভদ্রতার মুখোশে মুখ ঢাকা এই
শয়তানদের সমাজের সর্বত্র আনাগোনা-
মানুষের এত অনিষ্ট হলেও কেন
তাদের যায় না চেনা?
মুখোশের পরে মুখ ঢেকে আছে
তারা-
মানুষ তাদের ফাঁদে পড়ে ইচ্ছেয় হোক আর
অনিচ্ছেয় হোক দেয় যে ধরা!
ফাঁদের থেকে বের হবার নেই যে
কোনো উপায়-
আমরা যেন সবাই তাদের
কাছে নিরুপায়-!
এই মুখ ঢাকা মুখোশের পিশাচদের আর সহ্য
করব না এই নিই শপথ-
প্রকৃত মুখোশবিহীন মানুষেরা প্রতিবাদ
জানাই এই হোক আগামীর পথ।
২. ভালোবাসা একটি মিষ্টি শব্দের নাম
ভালোবাসা একটি মিষ্টি শব্দের নাম
যা মানুষের হৃদয়ে বাস করে।
ভালোবাসা মানে মায়ের শরীরের গন্ধমাখা
শাড়ীর আঁচল।
ভালোবাসা মানে বাবার বটবৃক্ষের মতো
সুশীতল ছায়ার আশ্রয়।
ভাইবোনেদের সাথে অকারন খুঁনসুটি আর
আড়ির নাম ভালোবাসা।
সন্তানের প্রতি অকারন তীব্র ধাবমানতাই
ভালোবাসা-
যে ছেলেটি অথবা যে মেয়েটির জন্য হৃদয়ের
ভেতরে আজীবন চাপা কষ্ট তার নামই
ভালোবাসা-
উদার নীল আকাশ, আমার মৈশবের নদীটা
যার বুকে বন্ধুদের সাথে অবাধ সাঁতার কাটতাম
তার নাম ভালোবাসা।
সেই পাখিটা যে আমার জানালায় বসে প্রতিদিন
ঘুম ভাংগাত, মন কেমন করে তারি জন্য তার
নাম ভালোবাসা।
ভালোবাসার কত রং! কত রুপ! কতই না তার
বিচিত্রতা!
আমাকে জড়িয়ে রেখেছে এই ভালোবাসা-
যা আমাকে পথ চলতে সাহায্য করে;
আনন্দে অথবা বেদনায়!
Leave a Reply