ত্রিপুরা ভ্রমণ পর্ব-৭
সুশান্ত নন্দী
সিপাহিজলা:
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ২৫ কিমি দূরে সিপাহিজলা অভয়ারণ্যের অবস্থান। এর খ্যাতি মূলত চশমা বাঁদরের জন্য। ভাগ্য ভালো থাকলে তা চাক্ষুষ দেখতে পাবেন। তবে এই অভয়ারণ্যের আয়তন মাত্র ১৯ বর্গকিমি। তা হলেও জীব জন্তুর জন্য এই অভয়ারণ্যের একটা আলাদা খ্যাতি আছে। আগরতলা থেকে সিপাহিজলা যাবার পথটি ঘন সবুজে মোড়া। যেন এক রোমাঞ্চকর জার্নি। রাস্তার দুদিকে বেশির ভাগ রবার গাছের সারি। ত্রিপুরায় যথেস্ট রবার চাষ হয়। রয়েছে শাল, ও সেগুনের ঘন জঙ্গলও। তবে জীব জন্তুদের মধ্যে চশমাবাঁদর ছাড়াও লেঙ্গুর, বাকিং ডিয়ার, বুনো শুয়োর, বন মোরগ, শেয়াল, খরগোশ প্রভিতি প্রানি বেশ নজর কাড়ে। এই অভয়ারণ্যের মধ্যে রয়েছে এক ছোট্ট চিড়িয়াখানা। সেখানে রয়েছে একটা কৃত্রিম হ্রদও। প্রতি বছর শীতের সময় প্রচুর পরিযায়ী পাখি ভিড় করে সিপাহিজলার হ্রদে। সেই মুহূর্ত গুলি ক্যামেরাবন্দি করে নিয়ে আসেন পর্যটকরা। তবে বন দপ্তরে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে সেটি হবে এই ভ্রমণের বাড়তি পাওনা। কারণ যেভাবে রংবাহারি করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাতে পর্যটক দের ভালো না লেগে উপায় নেই। সেখান লেকের জলে বোটিং করারও সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতি শুক্রবার কিন্তু বন্ধ থাকে সিপাহিজলা অভয়ারণ্য। সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তবে সেখানে না থাকলেও হয়, কেননা আগরতলা থেকে দিনে দিনে দেখেও ফেরা যায়। তবে প্রকৃতির কোলে নির্জনে রাত্রিবাসের মজা কিন্তু একটু আলাদাই বটে। সকালটাও বেশ সুন্দর।
Leave a Reply