পাকিস্তান ভ্রমণ-১
মাহাতাব লিটন
জীবনের প্রথমবারের মতো বায়ুযানে উঠিবার সুযোগ! ইহা জানিবার পর দারুণ শিহরিত হইয়াছিলাম।
অফিস হইতে পাসপোর্ট তৈরি করিয়া দেয়া হইল। সহকর্মী ও বন্ধুরাও জানিল পাকিস্তান ভ্রমণের খবর। কিন্তু একজন নাখোশ হইলেন তবে তাহা প্রকাশ্যে।
রংপুরের তিনি এখন শীর্ষ ব্যবসায়ী অগ্রজ ভ্রাতা বেশ রাস ভারি কন্ঠে জিজ্ঞেস করিলেন “কি হে এতো দেশ থাকিতে তুমি পাকিস্তান যাইবে কেন?” সেদিন অফিসের ট্যুর বলিয়া রক্ষা পাইয়াছিলাম। বুঝিলাম অন্য দেশ হইলে কেহ বিরাগভাজন হইত না। মে মাসের শেষ সপ্তাহে অতি উৎসাহ লইয়া ঢাকা গমন। গুলশানে-২ পাকিস্তান দূতাবাসের লাইনে দাঁড়ানো। কি আশ্চর্য দূতাবাসের সাথেই ঢাকা সেনানিবাসের দেয়াল সেই দেয়ালের উপর দুই তিন হালি আমাদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদিগকে দেখিয়া দাঁত কেলাইতেছিল আর পায়চারি করিতেছিল। সে যাইহোক ভিতরের প্রবেশের পর এক ব্যক্তিকে দেখিয়া চক্ষু আমার কপালে উঠিল তাহাকে দেখিতে সাক্ষাৎ বাংলা ভাই। ভাবিলাম সেকি তিনিও কি পাকিস্তান যাইবেন এবং একই দিনে সাক্ষাৎ কার। উল্লেখ যে
২০০৪ সনে বাংলা ভাইয়ের সংবাদ প্রতিদিনই খবরের কাগজে থাকিত।
ধবল দেহের অধিকারী পাকিস্তানী চাকুরে জিজ্ঞেস করিলেন কেন যাইব? কোথায় যাইব? আমিও নিমন্ত্রণ পত্রটি প্রদর্শন করিলাম। নাহ্ আমাকে ভিসা দিলেন না।
সেকি তিনি আমাকে কিছুই বলিলেন না। হতাশ হইলাম বৈকি। বাহিরে আসিয়া বানরগুলিকে আবারও দেখিলাম তাহারা দন্ত বাহির করিয়া উল্লাস করিতেছে। গাড়িতে উঠিবার পর আমার সাথে ছিলেন আমার সফরসঙ্গী গুণী মানুষ বাংলাদেশের Early Child Development (ECD) বিশেষজ্ঞ মাহমুদা আক্তার। মূলতঃ তিনি ও ডাঃ সেহ্ লিনা আহমেদ আপা ( বর্তমানে UK Aid Health & Population Adviser কর্মরত) দুইজনে মিলিয়া আমাকে পাকিস্তান যাইবার জন্য মনোনীত করিয়াছেন। সে যাই হোক আপা বলিলেন “মন খারাপের কিছু নাই তাহারা আগামীকাল্য তোমার ভিসা দিবেন। সম্ভবত নতুন পাসপোর্ট দেখিয়া তাহারা একটা দিন বেশি ঘুরাইবে। কি হইবেক তাহা বুঝিবার সাধ্য আমার নাই। (চলবে…)
Leave a Reply