শম্ভু সরকার এর দুটি কবিতা
১. যে মেয়েটি অবাক হয়েছিল
প্রথমবার অবাক হয়েছিলাম প্রজাপতির জন্ম বৃত্তান্ত জেনে পাড়ার এক কাকুর কাছে,গল্পের সঙ্গে লজেন্স ফ্রী আর কিছু খুচরো অস্বস্তিকর আদর———–
আমরা সবাই মানুষ হয়েই জন্মাই তারপর
কেউ ডাক্তার, কেউ মাস্টার, ইঞ্জিনিয়ার, গায়ক, নেতা
আরো কত কি!
সব বড়ো বড়ো ব্যাপার।
কেউ কেউ তো আবার ইচ্ছে করলেই দশ নম্বরি পা অনায়াসে গলিয়ে দিতে পারে পাঁচ নম্বর জুতোয়।
আমরা ছোটলোক রা ওসব কিছুই হতে পারিনি;
শুধু দুবেলা জল কাদা গায়ে মেখে অবাধ্য শরীর ঢাকতে ঢাকতে অবাক হয়েছি।
কি নাকি সব ডিজিটাল ইন্ডিয়া নাকি সব বলে?
বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও ?
দেশ এগোচ্ছে আলোর চেয়ে জোরে।’ মন কি বাত’ চলছে।
অন্ধকার বস্তিটার জল চুঁইয়ে পড়া টালির ছাদের নীচে আধপেটা ঘুমিয়ে আছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার শুয়োপোকা—-
প্রজাপতি হবার স্বপ্নে বুদ এরা।
সবাই কত কিছু হয়ে যায় এখানে,কত ব্যস্ততা।
আমি ওসব কিছুই হতে পারিনা, আমি শুধু অবাক হই।
চারিদিকে কত হাত, কত গল্প, কত লজেন্স;
এসব হাত গুলোই মাইক্রোফোন ধরে দেশ গড়ার স্বপ্ন বিক্রি করে, আমি শুধুই অবাক হই, আমাদের জন্মই হয়েছে অবাক হওয়ার জন্য।
২. একদিন মুখোমুখি
‘মুখ দেখার নেই প্রয়োজন
তবু কথা হতে পারে, জেনে নেওয়া যাক
কাকে ছুঁলো কতটা বিষাদ…’
এই কথা বলে পাশ কেটে চলে গেল ছায়া
যেহেতু আমার কোনো গন্তব্য নেই
ছায়াকে কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আমি একা একা
রোজ ফিরি এই পথে
এভাবেই একদিন মুখোমুখি দেখা হবে জানি
এখন এসো যে যার কাজে মন দিই।
Leave a Reply