দুটি কবিতা- কমল কুজুর
১. বৈপরীত্য
কী এক অদ্ভুত ভাল লাগায়
জড়িয়ে পড়েছি বলতো
আষ্টেপৃষ্ঠে;
যতক্ষণ পাশেপাশে থাক
মনে হয়
বসন্ত বাতাস বয়ে চলে,
কোকিল গান গায় অবিরাম
মধু গন্ধে ভরে ওঠে ভূবন।
অথচ পরমুহূর্তেই মনে বেজে ওঠে
বিরহের সুর;
যদি চলে যাও!
যদি হারাই তোমায় !
যদি ব্যথা দাও, এই হৃদয় টাকে
ভেঙে টুকরোটুকরো করো
আবার !
দূরে থাক যখন
কষ্টের তক্ষকেরা ভিড় জমায় চারপাশ,
হাজারো সংগীত পারে না
দূরে সরাতে তাদের; বেদনার ঢেউগুলো
ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোথায়
আমায় !
তবু পাশে যাই,
গান গাই
ভাল লাগায় মোহিত হই,
সব কষ্ট ভুলে হাত বাড়াই
সুখের আশায় !
এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য আমার !!
২. যে কথা হয়নি বলা
তোমাকে বলিনি কখনো
কতটা ভালবাসি তোমায়
তাই বলে তোমার ভালবাসা
কমেনি কখনো,
বেড়েছে বারংবার।
যতবার পড়েছি খাদে,
হয়েছি জর্জরিত শত আঘাতে-
কিংবা অথৈ জলে খেয়েছি হাবুডুবু
তুমিই তুলেছ টেনে;
জীবনের রূঢ় বাস্তবতায় যখন ভগ্ন মনোরথ
পথ ভুলে গেছি হারিয়ে,
তুমিই ফিরিয়ে এনেছ তখন
আদরে তোমার,
সব বেদনা গেছি ভুলে।
বিপদ-দুঃখ-যাতনায় সর্বদাই ছিলে পাশে
বরং আমিই পারিনি
এবং পারিনা থাকতে তোমার কাছে-
যখন তুমি অসুস্থ, ব্যাথায় কাতর
কেঁদেছ অবিরাম;
হয়তো আমি আনন্দে মেতেছি তখন
অন্য কোথাও, বন্ধুদের সাথে।
জানি ক্ষমার্হ আমি নই
যত পার বকা দিও,
তবুও আজ বলি শোন,
“মা, ভালবাসি তোমায়।”
Leave a Reply