মোশফিকুর রহমান এর দুটি কবিতা
১. বৃষ্টি আসে
মাঝে মাঝেই বৃষ্টি আসে
মেঘে মেঘে হয় ঘর্ষণ,
কাদামক্ত হয়ে পরে রাজপথ,
শ্রাবণ ধারায় ভিজে যায় উন্মুক্ত শরীর
তবুও ভিজেনা কভু চিত্ত!
তবুও মাঝে সাঝে বৃষ্টি আসে
বৃষ্টি নামে শতাব্দীর পর শতাব্দী
মেঘে মেঘে ছেয়ে যায় নিঃসঙ্গ পৃথিবী
অনাবাদি জমিটা ফিরে পায়
জীবনের স্পন্দন!
সজীব হয়ে ওঠে ঝরে ভেঙ্গে যাওয়া
ছোট্ট সেই দেবদারু গাছটা,
অথচ হাজার বছরের জমে থাকা
এ বুকের ক্ষতগুলো আর সেরে ওঠেনা
বন্ধ হয়না হৃদয়ের সে দাবদাহ!
তেরো শত নদী শুকিয়ে যায়
আগ্নেয়গিরি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে
নেমে আসে এ বুকে আবারও কারবালা,
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বৃষ্টি নামে
সে যেনো হাজার রঙের বৃষ্টি
তবুও বন্ধ হয়না হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!
২. বনলতা
জানিনা আজও ভালোবাসো কিনা
এখন আমায় রোজ,
তবুও যে আমি রোজ নিশীদিন
করে চলি তার খোঁজ!
জানিনা এখনো সন্ধ্যা বেলায়
একাকী ছাদের কোনে রোজ বসে,
গোপনে আমার মেসেজ গুলোতে
চোখ রাখ ছলছলে!
জানিনা বনলতা কোথায় আছো
কোন সে অজানা দূরে,
একটি বারেও মনে কী পড়েনি
স্মরণ হয়নি ভুলে?
এখন কী আর মনেই পড়েনা
প্রথম সে কথা বলা,
কতো যে রাত নির্ঘুম কেটেছে
হয়নি কাউকে বলা!
তবুও তো তুমি বড় সুখে আছো
আরো বেশি সুখে থেকো রোজ তুমি,
মন জমিনটা পুড়ে ছারখার
তবুও এ বুকে তুমি!
শত জনমেও থাকবে এখানে
হাজার ঝরের পরে,
সবকিছু ভুলে ভালোবেসে যাই
আছো তুমি আজো এ হৃদয় জুরে!
Leave a Reply