পর্ব
উদয়ার্ণব
দিনুর কোম্পানির বস্ দের ঘেরাও করার দিন আমরা সকলেই উপস্থিত ছিলাম। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর ম্যানেজমেন্টের লোকেরা আমাদের দাবি শোনার পরিবর্তে পুলিশে ফোন করে। দিনু অনেকটা ঘাবড়ে যায়, ঘাবড়ে যায় পরাজিত সৈন্যের মত। সেদিনের পর থেকে আমরা দিনুকে আর পাইনি। পেয়েছি দিনু মত অবিকল দেখতে এক ছেলেকে। যে তার সর্বস্ব বেচে দিয়ে চাকরিটা টিকিয়ে রাখতে চাইছিল।
রমেশদা আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা বলছিলেন।”চিন্তা করিস না দিনু ইউনিয়ন তোর পাশে আছে। রাজ্য কমিটিকে সুপারিশ জানিয়ে স্টাগল ফান্ডের টাকা প্রতি মাসে তোর হাতে তুলে দেব। তুই শুধু দাঁড়িয়ে লড়াই টা চালিয়ে যা, দেখবি মালিক পক্ষ সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
পরিবারটা দাঁড়িয়ে আছে একটা সূক্ষ্ম সুতোর উপর। সামান্য বাতাস যদিও বা বয় তিনটে জীবন ভীষণ ভাবে কেঁপে ওঠে। দিনু রাত করে বাড়ি ফেরে, যাতে সবাই ভাবে এ যাত্রায় চাকরিটা যায়নি।
বাইরের অন্ধকার আর তেমন ভাবে জাঁকিয়ে নেই, যেমনটা দিনুর চারপাশে। রাতের খাবার শেষ হলে দিনু নিজের ঘরে চলে আসে। বিছানার চাদর বদলাতে গিয়ে কানে আসে”তোর বাবার প্রেসারের বড়ি শেষ রে খোকা-একটু মনে করে নিয়ে আসবি “? দিনু সাড়া দেয়। মানিব্যাগটা হাতরে কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করে কিন্তু কয়েকটা সিকি ছাড়া কিছুই খুঁজে পায়না।
Leave a Reply