চিত্তরঞ্জন গিরির দুটি কবিতা
১. ভাতের ফেনা
খাতার পর খাতায় শুধু অংকই করে গেলাম।
একেকটা সময় দেখি এক একটা পর্বত দাঁড়িয়ে
তার এমন ছায়া আমাকে অস্তিত্বহীন করে তুলেছে
যতই তাকে ডিঙোতে চাই মেনিনজেস পর্দাটা প্রায় কুঁকড়ে কুঁকড়ে যায়
তবু আমি দম হারাইনি। খুঁজতে লাগলাম কোথায় খাইবার কোথায় বা গোমাল গিরিপথ!
সম্পদের পারদটা থার্মোমিটারের নিম্ন স্থিরাঙ্কে দাঁড়িয়ে।
ভাতের ফেনে খুঁজতে লাগলাম প্রতিটি কোষের পরাগ।
কোষের প্রতিটিতে কুঠুরিতে, হাতে কুঠার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দূরদর্শনের অজস্র প্রোটোপ্লাজমিও চ্যানেল।
ওরা আমার আত্মাকে টেনে নিয়ে গেল।
ব্রাউন সুগার এর চেয়েও সুস্বাদু এরা।
আত্ম সম্মোহিনীর ঘেরাটোপে পুতুলের মত সরল দোলগতিতে বারবার ঘুরতে লাগলাম।
শস্য যে লাগাম খুলে দিতে পারে এই ভরসায় ডিঙার উপর সারা শরীরটাকে ভাসিয়ে দিলাম।
২. ঘরের মধ্যে ঘর
ঘরের মধ্যে যখন আলোর জেলে ছিলাম তখন সব দরজা জানালা বন্ধ ছিল
আন্টার্টিকায় বরফ গুহার মধ্যে আর আরেক গুহা।
কিন্তু গোপন ও গুমোট । পেঙ্গুইন তা বলে দিল।
এ আলো কোথাও যাবার নয়- একান্ত গোপনীয় আশ্রয়।
সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে এক বিন্দু ।
এক একটা আঙ্গুলের খেলায়- এস্রাজ বা পিয়ানো যা কিছু বলতে পারো। মধুক্ষরা মৌচাকের মধু- যা সিন কাবাব থেকে বয়ে যাওয়া এক-একটা খরস্রোতা সিন্ধু।
চোখের ভীতর মনি গুলোতে বার্ধক্য নেমেছে।
চারদিকে শুধু অপরিচিতের গান।
কনায় কনায় তৈরি হয়েছে এক একটা প্রোতশ্রয় !
এই সুযোগে ফাঁক ফোকর পেয়ে ঢুকে পড়েছে, হরির নাম আর ভোরের আজান।
ঘুণ ধরা হাড় গুলোয় নেমেছে কত মোহ আসক্তি।
ধীরে ধীরে কারা যেন ধেয়ে আসে, পঙ্গপালের মতো বিচ্ছিন্ন সময়- নাকি অভিযোজন হীন অভিব্যক্তি।
Leave a Reply