মোস্তারী মিতার গল্প বন্ধু
অভি আর খেয়া ছোটবেলার বন্ধু,সেই সময় থেকে যখন ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ করা হয়না।সুখে-দুখে-ভালোবাসায় বেড়ে উঠা তাদের।নিজের অজান্তেই বন্ধুত্ব কখন যে ভালোবাসায় রূপ নেয় জানে না তারা।ভালোবাসার প্রকাশ করার সাহস হয়না কারও,বাধ সাধে তাদের যুবকবয়সের আত্নসম্মানবোধ।
দিন কেটে যায়,জীবনের শীত পেরিয়ে আগমন ঘটে বসন্তের।কিন্তুু অভি-খেয়ার জীবনে যেন এখনও খরা।সেই খরায় জলযোগ করতেই যেন তাদের ভার্সিটি জীবনে আগমন ঘটে বর্ষা আর বর্ষণের।বর্ষা যেমন ভীষণ ভালোবাসে অভিকে,তেমনি বর্ষণও খেয়ার প্রেমমুগ্ধ।কিন্তুু তারা কিছুতেই যেন মন জয় করতে পারেনা অভি-খেয়ার।এদিকে অভি-খেয়াও নাছোড়বান্দা, কেউ কাউকে ভালোবাসার কথাটি আগে বলবেনা।
বছর ঘুরে যায়,খেয়ার পরিবার ওর বিয়ে ঠিক করে বর্ষণের সাথে।খেয়া অভিকে জানায় তার বিয়ের কথা।তাকিয়ে থাকে অভির দিকে,অভি এবার তো কিছু বলবে।অভি অনড়,সে বেঁচে থাকে তার দাম্ভিক আভিজাত্য নিয়ে।বিয়ে হয়ে যায় বর্ষণ-খেয়ার।
খেয়া এখন দু সন্তানের জননী।অভির সাথে তার যোগাযোগ নেই বিশটি বছর।
আর অভি জীবনের তাগিদে অবশেষে বর্ষাকে বিয়ে করে হয়েছে দেশান্তরী। এখনও প্রায়শই বর্ষাকে খেয়া বলে ডেকে উঠে অভি।
ভালোবাসা হার মানলেও হার মানেনি বন্ধুত্ব।মাঝরাতে সবার অজ্ঞাতে যার জন্য বুকের ভিতরের হাহাকারটা হু হু করে কেঁদে যায়,সে যে বাল্যবন্ধুর।
Leave a Reply