এইভাবে বেঁচে থাকা…
জসিম মল্লিক
যার সাথেই কথা বলি সেই বলে ভাল নাই। আমরা কেউ ভাল নাই। ভাল থাকার কথাও না। আমরা কেউ কাউকে ভাল রাখতে পারছি না। সবার এক ও অভিন্ন সমস্যা। যদিও সবাইকে বলি ভাল থাক, সাবধান মতো থাক। আসলে আমি নিজেই কি ভাল আছি! এখনও যে বেঁচে আছি এটাই আসলে ভাল থাকা। এটাই আর্শীবাদ, এটাই বোনাস লাইফ। কারো সাথে কারো দেখা হয় না, স্পর্শ হয় না। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না, বের হলেও দূরত্ব বাজায় রাখতে হয়, মুখে মাস্ক, হাতে গ্লভস। বিরাট ঝক্কি। বাইরে বের হওয়ার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ঘরে অর্হনিশি বসে থাকাও যন্ত্রণাদায়ক। পথ চলতে মানুষ দেখলে দ্বিধাভরে দূরত্ব রচনা করি। গ্রোসারি করতে যাওয়া যেনো এক আতংক! যতই সোশ্যাল ডিসটান্সিং থাক কাছাকাছি হতেই হয়। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি পরস্পরের কাছে থাকতে, সান্নিধ্যে পেতে, আলিঙ্গনাবদ্ধ হতে। এভাবে কি মানুষ বেশিদিন বাঁচবে! একঘরে থেকেও পরস্পরের কাছ থেকে দূরত্ব রচিত হয়। আত্মীয়, বন্ধু এমনকি সন্তানরা পর্যন্ত কাছে আসতে পারে না, পাশে থাকতে পারে না।
কিন্তু তারপরও জীবন থেমে নেই। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, হাজারো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে কিন্তু মানুষের লড়াই থেমে নেই। লড়াই করছে বিজ্ঞানীরা একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য। মানবতাকে বাঁচানোর জন্য লড়াই। দেশে দেশে সরকারগুলো তার জনগনকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নানা ভাবে সাহায্য করছে, প্রণোদনা দিচ্ছে। লড়াই করে বাঁচার নামই জীবন, এটাই সভ্যতা। দেশে দেশে লকডাউন উঠে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাঁচতে হবে। অভ্যস্ত হতে হবে এই জীবনে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল করতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি থাকলেও পথে নামতেই হচ্ছে মানুষকে। অনেকেই এসবের মধ্যেও কাজ চালিয়ে গেছেন। পৃথিবী জুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা শ্রদ্ধার আসনে জায়গা করে নিয়েছেন।
টরন্টো ১ জুন ২০২০
Leave a Reply