রুদ্র মাহমুদ এর ৪টি কবিতা
১. বন্ধুদের বলা কথা…
পরিচয় দিয়েই তো ফ্রেন্ডশিপ হয়
বয়স দেখে নয়।
ফ্রেন্ডশিপ মানে চিনিনা
এটা কিন্তু হয়না।
বন্ধু মানে চিনি এবং জানি
বন্ধু মানে আমি এক পরিচিত আমি।
২. কেমন করে জানবে
তোমাকে কখনো বলিনি তাই
কেমন করে জানবে?
আমার বুকের অগ্নিকুণ্ড
ভালোবাসাই জালবে?
কখনো তুমি বাসোনি ভালো
কেমন করে মানবে,
একটা জীবন আমার শুধু
কেবলি বিনাশ হানবে?
জীবের কোষ এ জীবন থাকে
পারে কি সেও জানতে,
বিবর্তনে কি হবে আর
আলোক বর্ষ প্রান্তে?
৩. শেষ খবরের পর
শুনেছি, আমার কোনো খবর রাখনা তুমি
তাই বলে একেবারেই কোনো খবর
কখনো পাবেনা, তা কি সম্ভব?
অন্তত আমার শেষ খবরটি যে কোনোভাবেই হোক
ঠিক পৌঁছে যাবে তোমার কাছে।
তুচ্ছ খবর।
পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ এর খবর যেমন হয়
নিতান্তই একটা খবর, আর কিছু নয়।
কোনও পত্রিকায় ছাপা হবেনা খবরটি
ছবি সহ তো নয়ই;
“শোক সংবাদ” শিরোনামে প্রকাশিত
দু তিনটি খবরের নিচেও যায়গা হবেনা,
ওই খবরের।
পরদিনের পত্রিকায় “শোক প্রকাশ “
কিংবা “শোক সভা” ইত্যাদি,
শিরোনামের নিচেও থাকবেনা খবরটি।
তবুও ঠিক জেনে যাবে তুমি।
তখন দেখবে আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘগুলো
কেমন যেন একটু বেশি কালো,
তারপর হাওয়ার তোড়ে
ফিনফিনে বৃস্টি নেমে এলে
তোমার মনে পড়ে যাবে “নীরব অশ্রুপাত” কথাটি।
এভাবেই আমার শেষ খবর পাওয়ার পর
তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে জানালার কাছে
যতক্ষণ ওই বৃস্টি না থামে।
৪. যদি
যদি কোনোদিন না ছুতে চোখের পাতা
চোখ কি জানতো কতো দেখবার আছে!
টলতো না নদি বলতো না পাখি কথা
পুরুষ পাহাড়ে ফুটতো না বনভূমি।
যদি কোনোদিন না দিতে তুচ্ছ খুদ
জানতো কী এই কার্পণ্যএর মুঠি
দিতে পারা কতো ফিরিয়ে যে দেয় দান
মুক্ত করেছি অঘ্রানে গোলাবাড়ি।
যদি কোনোদিন ডাকতে না কালো রাতে
বসাতে না দাত ক্ষতের চিন্ন আকা
কান্না আমার বাকী থেকে যেতো ঠিক
ব্যথার কী সুখ বলে দিতো কোন সুখী!
Leave a Reply