কবি সুলক্ষণা-র দুটি কবিতা
১. কোহিনূর
বৃষ্টি পড়ে সকাল দুপুর
মনের ঘরে টান
তোমার সাথে দেখা হলে
ঘুচতো অভিমান
অভিমান জমে জমে
বরফ দিন হয়
বরফ হলে ঠান্ডা হতো
তবু ঠান্ডা সে তো নয়
ভীষণ আগুন বুকের মাঝে
ছাই চাপা যে ফাঁকে
দরজা জানলা বন্ধ ঘরে
ভেপসে মরে থাকে
তোমার ছিল গল্প আরও
শোনাও অন্য কোথা
বিশ্বাস যে ভাঙে রোজ
এটাই নাকি প্রথা!
তবুও আমরা ভেবে চলি
অন্য মানুষ সে
যার হাতের তালু জুড়ে
স্বপ্নেরা বাঁচবে
ভুলের ঘরে বাঁচতে থাকা
রোজ অসন্তোষ
বুকের মাঝে পেরেক ঠোকা
স্রেফ আফসোস
কফিন নাকি চিতা হবে
ভেবেই মরে যাই
তবু পাওয়ার ছবি কেন
মনে যে পায় ঠাঁই
আমার ঘরের লোকের যদি
অন্য ঘরে বাসা
মিথ্যে সব চাওয়া পাওয়া
মিথ্যে ভালোবাসা
ভালোবাসা নেই তবুও
খুঁজে মরি কাকে
মন তো হয় কোহিনূর
যখন হারিয়ে ফেলি তাকে
২. কাচের দেওয়াল
কাচের এপারে আমি
আর ওপারে তুমি
হাত নাড়ি,হাসি,কাঁদি
তোমার মায়া হয়-
হাত বাড়িয়ে মুছতে আসো দুঃখ
দেখ,
রুমালটা শুধু আরো পরিষ্কার করছে কাচ
হাত রাখি দুজনে শক্ত ওই দেওয়ালে
ঠিক হাতে হাত রাখা যেন
তবু রেখারা মেলে না
আবেগরা একা থাকতে থাকতে
কখন লুকিয়েছে দেয়ালের পিছনে
বুঝি,
কাছে থাকা আর সাথে থাকা এক নয়,
ঠিক তখনই,
কান্নারা পবিত্র হেম হয়ে ঝরে!
আসলে আনারকলি মনগুলো,
চিরকাল…দম আটকে মরেছে
কোথাও দূরে বিউগেল বাজে
সানাই না বিউগেল-
আমার গুলিয়ে যায়…
Leave a Reply