লহ প্রণাম
রোজী নাথ
কোনো এক সুগন্ধি বেলায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি আলো করে তুমি এসেছিলে।
তোমার জ্যোতির্ময় স্পর্শে এ ভূখন্ডের সাহিত্য সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে নতুন সূর্যোদয়ের বার্তায় আলোকিত হয়েছিল।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঔরষের আর সারদা দেবীর গর্ভের রত্নপ্রভ রবি চিরকালের বিশ্বকবি ।
প্রভাতবেলা থেকেই কাব্যবিলাসী মনের ভাঁজে ভাঁজে সুললিত জোছনার ছটায় বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উঁকিঝুঁকি।
পাঁচিল ঘেরা শৈশব মাভৈ মাভৈ করে সব বেরিকেড পেরিয়ে হয়ে গেল কী মহান ঋষিককাল।
তুমি শুধু তুমিই, অনাদি ছোঁয়া মহাসমুদ্র-মহাদিগন্ত।
অবরুদ্ধ বিদ্যেভ্যাস তোমার এই আলোকিত মনকে চিরন্তন স্রোত থেকে কখনো বিপথগামী করেনি বলেই তো তুমি শুধুই বিশ্বকবি নও, তুমি সনাতন গুরু।
কবিগুরু,
পরাধীনতার গ্লানি থেকে মানবতাকে মুক্ত করতে তোমার এই প্রতিবাদী লেখনীর কাছে আমার যৎসামান্য হৃদয় চির অবনত।
কী নেই তোমার এই টইটুম্বুর মহাসমুদ্রে ?
শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির বহতা নদী তোমারই অতুল স্পর্শে মহীয়সী গরীয়সী জলধি হয়ে গেছে।
আমার এই কিরাত দেশও তোমার চরণধূলিতে হয়ে উঠেছে পূণ্য দেবভূমি।
মাণিক্য রাজার উপাধিতে তুমি হয়ে উঠলে ‘ভারত ভাষ্কর ‘।
কোন অঞ্জলিতে আজ তোমার পূজার আয়োজন করি বলো?
জন্মদিনে আমার বিনম্র হৃদয় তোমার চরণে নতজানু।
লহ প্রণাম , লহ প্রণাম , লহ প্রণাম এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শৈবাল নদীর।
Leave a Reply