প্রিয় রংপুর মেডিকেল কলেজ এবং আমি
অমলিন স্মৃতিগুলো কত মধুময় [২য় ব্যাচ সেশন ১৯৭১-১৯৭২]
-মফিজুল ইসলাম মান্টু
পূর্ব প্রকাশের পর…
৪.
শুরু হলো আরেকটি দিন।সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পর্বের লেখা যা গত ক’দিন থেকে শুরু হয়েছে।
আমাদের অতিত স্মৃতিময়তা থেকে এবং বন্ধুদের অনেকের উতসাহ /সংযোজন /পরামর্শ / সমালোচনায় তা সমৃদ্ধ হবে নিশ্চই। তাই সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা
(প্রসংগ কথা)
প্রিয় পাঠক ও বন্ধু স্বজন আমার এই লেখাটি সরাসরি ফেস বুকে লিখছি তিন যুগ আগে থেকে অর্জিত স্মৃতির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে। আমাদের বন্ধুদের বয়স সবাই ৬৬ বছর বা পেরিয়ে গেছে।স্মৃতিভ্রম হতে পারে।ভুল বর্ণনায় কোন কিছু হলে সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বন্ধু মহলের সহমর্মিতা সহযোগিতা চাই।বয়সের এ প্রান্তে এসে কোন পক্ষপাতিত্ব হবেনা বা কারও প্রতি কোন বৈরিতা নয়।
আমার জন্মকাল থেকে(মাঝের ১১ডিসেম্বর ১৯৮৪ থেকে জুন ১৯৯২ পর্যন্ত প্রবাস জীবনে ইরানে প্রায় সাত বছর এবং জাপানের টকিয়ো ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থানকালীন সময়কাল বাদে) আজ পর্যন্ত প্রায় ছয় দশক এই প্রাণের শহর রংপুরেই আছি।সে কারনে বহুকিছু বহু ঘটনার সাক্ষ্য আমাদের স্মৃতি। আমি সহ আমাদের অনেকের মেডিকেল জীবন শহর থেকেই অতিবাহিত করেছি এবং হোষ্টেলে না থাকার জন্য অনেক ঘটনা বা বিষয়গুলোতে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত বা অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয় নাই।আবার স্মৃতিকথার প্রসংগগুলোর সবখানেই আমাকে থাকতেই হবে এমনটাও হওয়ার সুযোগ নেই।তাই এলেখায় কিছু ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে।বন্ধু মহল /পাঠক নিশ্চয়ই তা বিবেচনায় নেবেন।
আর কোন লেখাকে প্রকাশনা উপযোগী করতে বা সুপাঠ্য করতে গেলে কিছু বিরম্বনা কিছু ডেকোরাম বিবেচনায় নিয়ে এর গতি প্রকৃতি ঠিক রাখতে হয়।
তাছড়াও করোনা সংকটে লেখা টাইপিংয়ে কারো সাহায্য নিতে পারছিনা এবং আমি টাইপে খুব পারংগম নই। সেজন্য আমার লেখাটি এর একটি পর্যায়ে আপাততঃ ইতি টানতে চাই। পরে সময় ও সুযোগে তা আরও পরিমার্জিত পরিবর্ধিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।ধন্যবাদ]
আজ লিখতে চাই ইতোমধ্যে বর্ণিত আন্দোলন ও অন্যান্য অনেক প্রতিবাদ কর্মসুচিতে এবং প্রিয় মেডিকেলের অনেক বিষয়ে ১ম ব্যাচ এর স্রদ্ধেয় সিনিয়রদের কথা (সংক্ষেপে)।
প্রথমেই স্রদ্ধেয় বড় ভাই আপাদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা ভালোবাসা।সদ্যনবীনতায় নানা অচেনায় আপনারা আমাদের প্রথম পথনির্দেশক স্নেহময় প্রচ্ছয়দাতা নিসংশয় অভয়দাতা পরামর্শক। এখনো আমরা আপনাদের স্নেহে ভালোবাসায় সিক্ত আপ্লুত।
আপনারা যত সফল যত মেধাবি যত সাহসী যত প্রতিভাবান তার প্রতিটি স্তর আমাদের এখনো পবিত্র প্রেরনার আধার।
খুব ভালো থাকুন।প্রয়াতদের সবার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি চাই।
আমাদের এ প্রিয় প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই ১ম ব্যাচ সোচ্চার ছিলেন সময়ের প্রয়োজনে।তারা অনেকেই এই কলেজের বিভিন্ন ছাত্র সংঠন সহ ছাত্র-সংসদ সেবামুলক সংস্থা সহ বহুবিষয়ের ভিত্তি গড়ে তুলেছেন।এজন্য অভিবাদন।
প্রথম ছাত্রসংসদের সভাপতি সম্মানিত কলেজ অধ্যক্ষ (পদাধিকার বলে) সহ-সভাপতি স্রদ্ধাভাজন শাহ মোঃ ইয়াকুব উল আজাদ অধ্যাপক এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃদিনার আহমেদ কোষাধ্যক্ষ ডাঃ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সালাম স্যার।
এছাড়া বিভিন্ন পদে নির্বাচিতগন ছিলেন -ক্রীড়া – সম্পাদক ডাঃ শফিউল আলম কর্ণেল সদস্য- ডাঃ গোপাল ও ডাঃ ইকবাল অধ্যাপক প্রমোদ- সম্পা ডাঃ মমতাজুল মিন্টু চৌধুরী সদস্য ডাঃ নাজরাতুন বিশ্বাস বিউটি ও ডাঃ ইসমাইল সাহিত্য সম্পা- ডাঃ অশোক ভদ্র সদস্য ডাঃ রোকেয়া সুলতানা সমাজ কল্যাণ সম্পা – ডাঃ নিরঞ্জন সরকার সদস্য ডাঃ রহিমা আফরোজা মুক্তা ও ডাঃ নোমান খেলাধুলা ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান সদস্য ডাঃ নুরল আলম সিদ্দিক ও ডাঃ নজরুল ইসলাম মিলায়তন ডাঃ সাইফুর রশিদ সদস্য ডাঃ হামিদা বেগম ও ডাঃ নাসির উদ্দিন(তথ্য সংগ্রহ – শিকড়”- স্মরনিকা ১ম ব্যাচ পুনর্মিলনী ২০২০)।
এই কলেজে ছাত্র সংগঠনগুলোঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (মুজিববাদী)নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন
ডাঃ শাহ মোঃ ইয়াকুব উল আজাদ
ডাঃ রোকেয়া সুলতানা
ডাঃ শাহ- ই- আলম ব্রিগেডিয়ার
ডাঃ নিরঞ্জন সরকার ডাঃ এনায়েত করিম
ডাঃ মোঃহাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঃ ডাঃ আনিসুল করিম ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর ডাঃ অশোক ভদ্র ডাঃ মমতাজুল ইসলাম চৌধুরী মিন্টু ডাঃ সিতারা মজিদ ডাঃ রত্নদীপ পাল প্রমুখ।
জাসদ ছাত্রলীগের ডাঃ সাইফুর রশিদ ডাঃ কর্ণেল ইসমাইল হোসেন ডাঃ মমতাজ হোসেন অধ্যাপক(২য় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সময়ের) প্রমুখ।
বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নেরঃ ডাঃ দিনার আহমেদ
ডাঃ মতিয়ার রহমান ডাঃ শফিউল আলম
ডাঃ তমসিল আহমেদ প্রমুখ।
১ম ব্যাচের উদ্যোগে প্রথম আরেক উজ্জ্বল সামাজিক সেবামুলক ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে নাম- সেবা সংস্থা।শ্রদ্ধাভাজন ডাঃ এনায়েত করিম ও রত্নদ্বীপ পাল ছিলেন এর প্রধান কান্ডারী। মনে পড়ে তাদের আয়োজনে প্রথমবারের মত বিনামুল্যে চক্ষুশিবির অনুষ্ঠিত হয় অর্ধ-সমাপ্ত এই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই হয়েছিল। শিবির শেষ হলেই এইসেবা সংস্থার এবং শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা ও দাবিতে সেখান থেকেই শুরু হয় বহু প্রতিক্ষিত হাসপাতাল কার্যক্রম। পরে ততকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কিংবদন্তি চিকিতসা শিক্ষাবিদ বারডেম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম স্যার এর আনুষ্ঠানিক উদবোধন করেন(১৯ মার্চ ১৯৭৬)।
এভাবে অসংখ্য স্মৃতিতে সিনিয়র ১ম ব্যাচ এর মেধাবী প্রতিভাবানদের বর্ণনায় অনেকে এতটাই উজ্জ্বল যে তাদের কয়েকজনকে নিয়ে জীবনবৃত্তান্তগুলোই হতে আলাদাভাবে বিশাল ভলুমের গ্রন্থ। এমন অনেকের মধ্যে কার নাম লিখব।?
প্রফেসর ডাঃ মমতাজ হোসেন
প্রফেসর ডাঃ তারিক আল নাসির
ডাঃ রোকেয়া সুলতানা
অধ্যাপক ডাঃনওয়াজ্জেশ ফরিদ পাশা
প্রফেসর ডাঃ শাহ ইয়াকুব উল আজাদ
প্রফেসর ডাঃ রওশন আরা
প্রফেসর ডাঃ গুলশান আরা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শাহ- ই-আলম
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ গোলাম মোস্তফা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ ইসমাইল হোসেন
লেঃ কর্ণেল ডাঃরায়হান শরিফ
ডাঃ অশোক ভদ্র
ডাঃ গোপাল চন্দ্র সরকার ও আরও অনেকে।
প্রফেসর ডাঃ মমতাজ হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি বাদে প্রতিটি প্রফেশনাল পরিক্ষায় প্রথম স্থান ও ২/৩টি বিষয় বাদে সব বিষয়ে অনার্স নম্বর পেয়েছিলেন।
ডাঃ রোকেয়া সুলতানা জাতীয় পর্যায়ে পেশাভিত্তিক কর্মকাণ্ডে এবং জাতীয় নানা দুর্যোগে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেছেন।ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ের সন্মানিত সম্পাদক।
স্রদ্ধেয় ডাঃ তারিক-আল-নাসির ভাই এদেশের সুখ্যাত প্যাথলজি বিষয়ের শিক্ষাবিদ এবং এই মেডিকেলের ছাত্রদের মধ্যে পদন্নোতি প্রাপ্ত প্রথম অধ্যাপক।
স্রদ্ধেয় ডাঃ অশোক ভদ্র দাদা রংপুর মেডিকেল কলেজ নিয়ে প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন ব্যাচ ও নানা কর্মকাণ্ডের অনেক তথ্যমুলক লেখা লিখেছেন।বিভিন্ন স্মরনিকা ও পত্র-পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে এবং দাদার সম্মতিতে আমার সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ “স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে রংপুর ” এটি দির্ঘ কলেবরে মুদ্রিত হয়েছে(অমর একুশে বইমেলা- ২০২০)।দাদাকে অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা।
(আজ এ পর্যন্ত লেখার পর এর সীমানা সংক্ষিপ্ত করার স্বার্থে অনেকের নাম লিখলাম না বলে সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী)।
সময় গড়াতে থাকে অনন্ত যাত্রায়।
একসময় এই মেডিকেলের ২য় ৩য় ৪র্থ ৫ম ৬ষষ্ঠ ব্যাচ এলো তারপর ৪৯ তম পর্যন্ত। কলকাকলিতে মুখর এক ঐতিহ্যমন্ডিত শিক্ষায়তন।তারা অত্যন্ত মেধাবী বহুবিধ বিষয়ে প্রতিভাবান এবং ছাত্র জীবন ও পেশাগত জীবনে দেশে-বিদেশে অনেক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ এদেরকে নিয়ে নিশ্চয়ই গর্বিত
আমাদের ব্যাচের সাথে ৬ষষ্ঠ ব্যাচ পর্যন্ত একি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষায়তনের সব কিছুতেই একটা যোগসুত্র বজায় ছিল। এরপর ২য় ব্যাচের অনেকের ইন্টার্ণীকাল শেষ হলো।দেশের নানাপ্রান্তে আমরা ছড়িয়ে পড়লাম।
সুখে দুখে জড়াজড়ি করে সবাই পেশাগত জীবনের তরুন বয়সেই নানা চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ মোকাবেলা।সেও এক প্রসস্থ মঅহাকাব্যিক উপাখ্যান।
৫.
বন্ধুদের শুভ সকাল।
কত কথা কত গান। এত কোলাহল কত মহিয়ান মানব জীবন। সব কিছুর আদিঅন্ত দিগ-দিগন্তরের নানা আয়োজন।প্রথম ছবিটি প্রিয় সহপাঠী ডাঃ জিন্নাত আরা শেফালী (ওর পাঠানো ছবি সে সৌদি প্রবাসী চশমা চোখে) এবং ডাঃ জেসমিন মিলির(কুষ্টিয়ায় স্থায়ী)
সকল প্রিয় বন্ধুরা যারা লিখছেন এবং মন্তব্য করে যাচ্ছেন সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি এবং অত্যন্ত দৃঢ়ভাবেই জানাচ্ছি- আমি আমার লিখায় খুব স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছি যে, আমাদের সেদিনের সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের মূল নায়ক এবং নায়িকারাই ছিলেন দ্বিতীয় ব্যাচের সেই ১২৫ জন ছাত্রছাত্রী যাদের কারো অবদান ই কোনভাবে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই তাঁর নিজ নিজ অবস্থান থেকে একএক জন একএক ভাবে অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মনে রাখতে হবে একটি দলের সব খেলোয়াড়রা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে ভালো খেলতে না পারেন তবে ক্যাপ্টেন যত দক্ষই হোক কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব নয়। আর এ কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখেনা আমাদের সেদিনকার সকল কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হয়ে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের সকল ছাত্রছাত্রী, সে সময়কার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী, কলেজের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সহ রংপুর শহরের তখনকার সময়ের সকল সাংবাদিক, রাজনৈতিক, ছাত্র, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখানে আরও একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রথম ব্যাচের ৫০ ঊর্ধ্ব ছাত্রছাত্রীদের অনন্য ভুমিকাও ছিল আমাদের জন্য ভীষণ রকমের অনুপ্রেরনার বিষয়। পরীক্ষার কারণে তাঁদের শারীরিক উপস্থিতি সেভাবে না থাকলেও আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁদের মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা ছিল অপরিসীম। কারণ প্রথম ব্যাচের বড় ভাই বোনদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা ছিল ভীষণ রকমের আত্মিক যা আজও আমরা বজায় রেখে চলেছি।
আর আন্দোলনের একটি অংশে এসে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হওয়া, কথোপকথন, স্থান এসব নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। বয়সের কারণে অনেকের ই হয়তো অনেক কিছু কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়। যার যতটুকু মনে আছে ততটুকু নিয়েই যতদিন বেঁচে আছি আমাদের স্মৃতিময় সময়টুকু কাটিয়ে দিতে চাই। তবে এতটুকু অবশ্যই নিঃসন্দেহে বলা যায় সেদিন বন্ধু জীবন একটা ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল পাশাপাশি বন্ধু ইসপাহাকের ভুমিকাও খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। মোদ্দা কথা কোন আন্দোলনের বিজয় ই শুধুমাত্র একদিনের ফসল নয়। দীর্ঘদিন ধাপে ধাপে অনেক কাঠখড় পুরিয়ে যে সফলতা এসেছিল আবার ও বলছি তার নেতৃত্ব বলুন আর কারিগড় ই বলুন তা ছিল আমাদের আপোষহীন এবং একই পতাকার নিচে দাড়িয়ে থাকা সেদিনের দ্বিতীয় ব্যাচের সকল বন্ধুরা যাদের কে জানাই অসীম ভালোবাসা।
সবশেষে আর একটি কথা বলে এ লেখনি আর বাড়াতে চাই না। আমাদের এ লিখনিতে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ছোট ভাই ডাঃ তৌহিদ (আমেরিকায় অবস্থানরত) এবং ডাঃ মুজিবুর রহমান মামুনের মন্তব্য পেলাম। ডাঃ তৌহিদ ও মামুন সহ ওদের ব্যাচ কিংবা আগেই বলেছি আজ অবদি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হতে যত ব্যাচ ই বেরিয়েছে আমাদের এই মেডিক্যাল কলেজকে আজকের এই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রত্যেকের ই রয়েছে অনেক গৌরবউজ্জ্বল সোনালি অতীত সেটা লেখাপড়া ই হোক, খেলাধুলা হোক, সাহিত্য-সংস্কৃতিক অঙ্গনেই হোক কিংবা ন্যায্য অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রামে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায়। আসুন দ্বিতীয় ব্যাচের সকল বন্ধু-বান্ধবরা এতটুকু নিয়েই গর্ববোধ করি-যে চারা আমরা বোপন করতে সক্ষম হয়েছিলাম তাকে সবাইমিলে অনেক সযত্নে লালন পালন করে গড়ে তোলা আমাদের আজকের এই প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান।
আসুন-না, আজ অবধি আমাদের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান হতে যারাই চিকিৎসক হয়ে বেরিয়ে এসেছেন এবং এখন ও যারা অধ্যয়ন করছে সবাইকে নিয়ে অন্তত একটি স্বার্থে সকলে মিলে ভাবি আমরা সবাই মিলেই একটি পরিবার। আমাদের এক এক জনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, ব্যথা-বেদনা যেন আর একজন কে বিঘ্নিত কিংবা প্রভাবিত করতে পারে। সবাই মিলে প্রান দিয়ে ভালোবাসি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ নামক প্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।
প্রিয় স্বজন /বন্ধুজন অনেক শুভেচ্ছা।
মনে হয় এইতো সেদিনের কথা আমি/আমরা কত তরুন ছিলাম।কত উচ্ছাস/ কত কসরত /মেডিকেল জীবনের কঠিন অধ্যাবসায় /ক্লাস পরিক্ষা/প্রফেশনাল পরিক্ষা/ ইত্যাদি নানা প্রসংগ।
গতকাল বলছিলাম ইন্টারনীশিপ শেষে আমরা এক একজন দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়লাম।সামনের পথে ছিল নানা আশা স্বপ্ন কত দায়ভার চ্যালেঞ্জ। মাত্র কয়েকজন একি জায়গায় মানে রচিম ক্যাম্পাসেই থেকে গেলো মনে করতে পারিঃ
প্রিয় বন্ধু রশিদ (জুম্মাপাড়া) নুরুল আফসার আজিজুল বারী হাবিবা জেসমিন মিলি কাশেম পশুপতি (মনে হলে/ভুল হলে লেখাটা ঠিক করা যাবে) এরা রংপুরেই থেকে গেলো
এর পর নানাভাবে সময় গড়াতে থাকে পরবর্তীতে প্রায় সবাই বিচ্ছিন্ন হতে থাকলাম।মনের টানে স্বল্পসংখ্যক সহপাঠিদের সংগে চিঠি বা কালেভদ্রে সামনাসামনি দেখা হতো(কারন তখনতো টেলিফোন সুবিধা বা মোবাইলে ছিলই না)।
বন্ধুদের কয়েকজন সামরিক বাহিনীর চিকিৎসা ক্যাডারে গেলো । বিজয় জাহাংগীর রফিক রানী মোখলেস এনামুল সিরাজ কাদের খান সিদ্দিকুর আব্দুল হাকিম।সবাই যে যার মত ব্যাস্ত হয়ে গেলাম।
এর মধ্যে যুগলবন্দী বন্দী সংসার জীবনের/কেউ কেউ নিঃসংগ জীবন/ উচ্চতর শিক্ষা জীবন নিয়ে সময় পাড়ি দিতে থাকলাম।
অতঃপর সেই বিচ্ছিন্নতা থেকে পরস্পর পরস্পরের খবর কে কতটা রাখতে পেরেছি।কার সন্তান-সন্ততি কতজন তারা কে কোথায় আছে কি করে তার পুরো খবর রাখিনি রাখা সম্ভব হয়নি এবং সেটাই সময়ের নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
(যুগল জীবনের কথা পরের পর্বে বর্ণনা যেতে পারে wait pl)
গতকাল অন্যান্য ব্যাচের কথাও শুরু করেছিলাম।
প্রিয় মেডিকেল ক্যাম্পাস নবীন পুরাতন ছাত্র- ছাত্রীদের আগমনে গমগমে পরিবেশ সৃষ্টি হলো।অগনিত মেধাবী প্রতিভাবান বিনয়ী সাহসী দুরন্তপনায় এ ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থান পুর্ণতা পেতে থাকলো।
পরিক্ষায় ভালো ফলাফল ক্রীড়া সাহিত্য -সংস্কৃতি নাটক ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এদের বলিষ্ঠ পদচারনায় মুখর হলো।বেতারে পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন মহলে সাফল্যের নানা খবর এই শহরের এবং বাংলাদেশের বিভিন্নখানে প্রিয় রংপুর মেডিকেলের সুনাম সুকৃতির খবর প্রচারিত হতে থাকল।
বিভিন্ন ব্যাচের প্রিয়ভাজন/স্নেহভাজন কয়েকজন সহযাত্রীদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে চাই।
যাদের অনেকের সাথে আমার এবং আমাদের ব্যাচগুলোর পরস্পরের আত্মার বন্ধন একসংগে পথচলা সুখে-দুখে সামাজিক-রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কর্মসূচি সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্নধরনের কাজে একসংগে হাতে হাতে রেখে পথ পাড়ি দিয়েছি।তাদের অনেকের সাথে আমার এবং আমাদের অনেকের এখনো আন্তরিক যোগাযোগ অব্যহত আছে থাকবে আজীবন।
খুব মনে পড়ে তাদের কথা কত গান নাটক অনুষ্টান সমৃদ্ধ হয়েছে ওদের সাহচর্যে। আহা সেই দিন।
এই পোস্টের সীমাবদ্ধতায় সবার নামগুলো দেয়া যাচ্ছেনা সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখগুলোর কয়েকজনঃ
৩য় ব্যাচ —
অধ্যাপক ডাঃ আতিকা বেগম
অধ্যাপক ডাঃ ফাতেমা পারভিন (বাংলাদেশের টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তির অন্যতম পাইওনিয়ার)
অধ্যাপক ডাঃ হাসিনা আশা
ডাঃ রুখসানা লুসি কর্ণেল
ডাঃ আফরোজা খানম মীনা মেজর
ডাঃ মুজিবুল হাসানচৌধুরী শাহীন
ডাঃ হাসান চৌধুরী
ডাঃ সাঈদ (সৌদি প্রবাসী)
ডাঃ মোঃ আলমগির(সদ্য প্রয়াত) ডাঃ হুদা (চক্ষু বিশেষজ্ঞ) ডাঃ কাজল কুন্ড ডাঃ পবন মাহেশ্বরী
ডাঃ মোঃ হামিদুল(স্টেশন)
ডাঃ শহিদুল ইসলাম খান (চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সংগীতজ্ঞ)
প্রমুখ(অসমাপ্ত তালিকা)
৪র্থ ব্যাচ —
ডাঃ অলোক সিনহা (আমেরিকা প্রবাসী)
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইউসুফ (প্রয়াত)
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ তৈয়বুর
সহোযো অধ্যাপক ডাঃ ফজলুল হক (চক্ষু বিশেষজ্ঞ)
অধ্যাপক ডাঃ রাকিবুল ইসলাম
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম সেলিম
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মাসুদুল হক রুকু
অধ্যাপক ডাঃ শফিকুর রহমান রাজু
ডাঃ আফম হোসনে রব্বানী
ডাঃ ফয়জুল আলম(বেঞ্জু বাজাতো)
অধ্যাপক ডাঃ জিল্লুর ডাঃরেজিনা চৌধুরী জরি
প্রমুখ (অসমাপ্ত)
৫ম ব্যাচ ঃ
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু তালেব
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আকমল হাবিব চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মওলা(এনেস্থেশিয়া)
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ওয়াদুদ মোস্তফা খোকন
ডাঃ রানু(প্রয়াত)
অধাপক ডাঃ জাফিরুল হাসান আনু
ডাঃ কামরুন নাহার লিপি
ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ(অসমাপ্ত)
৬.
(বিঃ দ্রঃ আমার এ পোস্টে যারা নিয়মিত চোখ রাখছেন সবার কাছেই বিণীতভাবে বলি যে এই লেখাটি খসড়া পর্যায়ে আছে এবং প্রয়োজন মত আমি প্রতিটি পর্বই নিয়মিতভাবে আপডেট দিয়ে যাচ্ছি।আমার টাইম লাইনে গেলে এ বিষয়টি স্পষ্ট হবে।ধন্যবাদ সংশ্লিষ্টদের যারা আমাকে নিয়তই টেলিফোনে /ফেসবুকে উতসাহ ও বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন)।
আজকের লেখায় আবার একটু পেছনে ফিরছি।আমাদের একাডেমিক জীবনের স্মৃতিগুলোকে উল্লেখ করার জন্য।
আগেও বলেছি এই শহরের অনেকেই শহরের বাসায় থেকেই ক্লাশ করেছি।
আমি রশিদ (জুম্মাপাড়া)ইসপাহাক নজরুল হক খোকন সাহিদ আমিনুল (কলেজ রোড)
শফিউল আলম (এনেস্থেসিয়া) পরে কলেজ ক্যাম্পাস
নুরুল আফসার অধ্যাপক পরে হোস্টেল।
ডাঃ জহুরুল ইসলাম মজনু সহোযোগি অধ্যাপক (ওর চুল অনেক সাদাছিল নাম হলো পেকো মজনু)
হেদায়েতুল হেলাল
সামসুন নাহার রেনু মমতা এবং
উম্মে সালমা লুল (বাসা+হোস্টেল)
ছবি সোহেলী।
লালকুঠি একরামুল হক জায়নুর রহমান জয়েন । আলমগীর ও পিন্নু (বাসা + হোস্টেল) প্রমুখ।
প্রথম দিকে বাই সাইকেল /রিকশা/ দুএকজন মটর সাইকেলে। তবে বাস সার্ভিস হওয়ায় আমরা পরে টাউন সার্ভিসে যাওয়া আসা করতাম।পড়াশুনার চাপ বেড়ে গেলে অথবা পরিক্ষার জন্য অনেক বন্ধুই কলেজ হোষ্টেলে চলে গেল।
তবে আমি ইসপাহাক রশিদ ও আরও কয়েকজন শেষ বর্ষ পর্যন্তই বাসাতেই ছিলাম।
৫ম বর্ষে ওঠার পর বন্ধু ডাঃ ইসপাহাকের মটর সাইকেলে প্রতি সন্ধ্যায় আমি রশিদ সহ তিন বন্ধুই একসংগেই মেডিকেল হাসপাতালের ক্লিনিকাল ক্লাশে যেতাম।
আমি ও রশিদ প্রথম থেকে সকাল ৭ টার মধ্যেই এক সংগে ক্লাসে যেতাম বেলা ২টায় বাসায় ফিরে দুপুরের খাওয়ার পর রশিদের বাসায় যেতাম।ওর ঘরেই আরও যোগ হতো কলেজ রোড থেকে আমিনুল গুপ্তপাড়া থেকে আব্দুস সাহিদ মুনশিপাড়া থেকে ইসপাহাক।মাঝেমধ্যে আসত বন্ধু রেজাউল (রচিমহা পরিচালক)/ শফিউল /মজনু/ নজরুল হক খোকন।
রশিদের বাসায় প্রায় ২/৩ ঘন্টা পড়াশুনা শেষে যে যার মত বাসায় ফিরত। অনেক সময় শহরের মিতালি রেস্টুরেন্টে যেতাম কিছুক্ষন রিলাক্স হতে চা খেতে।
এসব কারনে আবাসিক সুবিধায় থাকা ছাত্রদের চেয়ে আমাদের কষ্টটা কখনোই বেশি বলে মনে হতো না যখন দেখতাম প্রতিটা প্রফ পরিক্ষায় রেগুলার পাশ করছিলাম।
বন্ধু রশিদ বাসায় থেকেও প্রথম প্রফ পরিক্ষায় ৭ম স্থান পেলে আমাদের খুব আনন্দিত করেছিলো।
মেডিকেল জীবনের সেই যে পরিক্ষার এত ধকল তার রেশ ভীতি এখনো কাটিয়ে উঠতেই পারিনি। এখনো মাঝেমধ্যে দুস্বপ্ন দেখি।
মনে পড়ে প্রতি কার্ড /টার্ম /ওয়ার্ড/প্রফ ফাইনালের পরপর বা ঐদিনেই সন্ধ্যায় মাথা খালি করার জন্য দল বেধে সিনেমা দেখতে যেতাম।
পড়াশোনা ধরন হোস্টেলের বন্ধুদেরটা হতো রাত জেগে।বাসায় মা-বাবা তো রাত জাগতে দিতেন না।কিন্তু পড়াশোনা যাই হোক পরিক্ষাতো দিতেই হতো।
আমরা কে নেতাগিরি করে কে ভালো গান গায় কে ভালো কবিতা লেখে নাটক করে পরিক্ষার খাতায় ভাইভার টেবিলে স্যারদের কোন খাতির কেউ পেতোনা। পরিক্ষার নিয়ম কানুন সব হাড্ডাহাড্ডি মেনে চলতে হতো।লিখিত পরিক্ষায় বড় হলে পরিক্ষায় অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ স্যার হলেই প্রাকৃতিক ক্রিয়ার ব্যবস্থা করলেন পর্দা দিয়ে। কেউ ব্যবহারে গেলে ধরধর শব্দ হলের সবাই শুনতাম।মাথা ঘোরাতে দিতেন না।একদিন বন্ধুরা হইচই শুরু করল কয়েকজন স্যার জড়ো হলেন। বন্ধু তিতু (নওগাঁ) দাঁড়িয়ে গেলো বলছিল স্যার এখনো অস্ত্র জমা দেই নাই। তারপর আরও কত কাহিনী সব।
ফলাফলেও যথেষ্টই কড়াকড়ি কোন খাতির নাই।সহপাঠি অনেক বন্ধুকে তুচ্ছ কারনেই একি ক্লাসে বছর বছর ফেল করানোর ইতিহাস।সবাই ছিলাম অসহায়।
তার পরেও ভালো ফল করেছিলো ২য় ব্যাচের ১ম প্রফেশনালে গুরুদাস শিকদার ২য় রশিদ জুম্মাপাড়া ৭ম আজিজুল বারী ৯ম এভাবে বিভিন্ন প্রফের পর ফাইনালের ফলাফলে মেডিসিনে শুরুদাস কে আটকে দেয়া হলো। মনে আছে সেবার বন্ধু জাহাঙ্গীর ৩য় নুরুল আমিন ২০ তম হলো।আরও কেকে স্ট্যান্ড করেছিল মনে করতে পারছি না(ক্ষমা চাই)
এর আগের পোস্টে ছাত্র সংঠনের প্রসংগ এনেছিলাম। রংপুর মেডিকেল কলেজ এর ২য় ব্যাচ সেখানে অনেকে পড়াশুনার পাশপাশি সক্রিয় ছিলো। ১ম ব্যাচ এই সংগঠন গুলোর সাথে ২য় ব্যাচ শক্তি যোগ হলো।
আমাদের বন্ধুদের সামনের কাতারে অনেকে চলে এলো জাতীয় পর্যায়ে পেশাভিত্তিক /+জাতীয় রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করলো।
এসব কারনে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ সব সময় সরব থেকেছে এবং এখনো আছে।
মুজিববাদি ছাত্রলীগে থেকে
১ ম ব্যাচের ডাঃ রোকেয়া সুলতানা আপা সহ ঐ ব্যাচের কয়েকজন।
পাশাপাশি ২য় ব্যাচ এর ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকার তিনবার নির্বাচিত সাংসদ তার আগে বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক হয়েছিলো।
এ ছাড়া এই মুজিববাদী ছাত্রলীগের থেকে উঠে আসা বন্ধুদের অনেকে বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন সংগ্রামে এবং পেশাজীবি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেউ কেউ জাতীয় পর্যায়েও ভুমিকায় অবদান রেখেছেন / এখনো সক্রিয় আছেন ।
যেমনঃ
ডাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন /অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রউফ /ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান (প্রথম স্বাস্থ্য পরিচালক রংপুর বিভাগ)/ডাঃ নজরুল ইসলাম (গাইবান্ধা) /ডাঃ মোঃআব্দুল জলিল প্রমুখ।(অসমাপ্ত)
ছাত্রলীগ (জাসদ)ঃ
২য় ব্যাচ থেকে একদল তেজি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকে সক্রিয় ছিল।অন্যায়/অধিকারের প্রশ্নে পেশাভিত্তিক কর্মকাণ্ডের /নিজেদের কলেজের সমস্যায় /জাতীয় রাজনৈতিক ইসুগুলোতে বলিষ্ঠ ভুমিকা নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশে জেলজুলুম সহ নানা হয়রানি নির্যাতন মৃত্যু হুমকি সহ নানা ঝড়ঝাপটা মোকাবেলা করে অতঃপর নিজেরা আজকের অবস্থানে এসে তাদের অনেকেই এখনো সামাজিক/রাজনৈতিক /সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থেকেছেন কেউ এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।কেউ কেউ আবার ৮০ সালের পর মতামত পরিবর্তন করে অন্য দলভুক্ত হয়েছেন।
এমন অবস্থাতেও নির্লোভ অবস্থান নিয়ে অনেকে মুলধারার কর্মকাণ্ড নিয়ে আছেন/কেউ নিস্ক্রিয় হয়েছেন।
এমন কয়েকজন বন্ধুর নামঃ
ডাঃ মোঃ ইকরামুল হোসেন স্বপন
ডাঃ মোঃ নুরুল আমিন(অকাল প্রয়াত)
ডাঃ মাহমুদুল বারী দোহা
ডাঃ রশিদ আকন্দ
অধ্যাপক ডাঃ আকতার আহমেদ (আমেরিকা প্রবাসী)
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নুরুল আফসার
ডাঃ নঈম উদ্দিন আকন্দ
ডাঃ সমশের
ডাঃ মেজর(অবঃ)রফিকুল ইসলাম
ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম বাবালা(সহযোগী অধ্যাপক)
ডাঃ মোঃ আখতার হোসেন তিতু
ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ
ছাত্র ইউনিয়ন থেকে কয়েকজন এর নামঃ
অধ্যাপক ডাঃ বিজয় কুমার সরকার (মেজর জেনারেল অবঃ)
ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান লেঃ কর্ণেল(অব)
ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ
বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন থেকে কয়েকজন এর নামঃ
ডাঃ এটিএম মোজাম্মেল হক বকুল
Leave a Reply