খলিল ইমতিয়াজ- এর অণুগল্প
তিলোত্তমা কে নিয়ে
সন্ধ্যাটা বড় বেশি বেমানান এই এলাকায়। যদিও রাস্তায় সোডিয়াম বাতিগুলো জ্বলছে নিশ্চিন্তে। মরা মানুষের চামড়ার রঙ চারদিকে। তারচেয়েও বিভৎস হয়ে আছে শহরের অলিগলি গুলো। রাতের দৃশ্যে যখন শীতের রাতে একা একা হাঁটি তখন দু’চোখে ভেসে ওঠে চেনা পরিচিত মুখ।
যখন প্রথম ভাবলাম তিলোত্তমাকে ভালবাসার কথাগুলো গোপন করা আর ঠিক হবে না।
প্রতিদিন ধুলি ওড়ে পথে। গাছের পাকা পাতা ঝরে পড়ে। মনের সাজানো কথাগুলো প্রতিদিন চুপসে যায় আবার জেগে ওঠে।
২.
-আচ্ছা তোমাকে তিলোত্তমা বলবো নাকি তমা বলবো?
-কেন? হঠাৎ আমার নামকে কেটে ছেটে ছোট করার মতলব!
-হলো বৈকি। যাকে স্বপ্নাতুর মনেহয় তাকে না হয় বাস্তবে রূপ দিলাম!
-তাই নাকি! ভাড়ারে কুলাবে তো?
-খোদা যদি প্রচ্ছন্ন পৃথিবীকে ভাগ্যে লিখে থাকে তবে আর ভাবনা কি।
-তাই!
তারপর অযুত শব্দে হাসি চলতে থাকে।
অন্তরের গহীনে যাকে ঠাঁই দেবো তার মন তো আর শুশুকের কলজে নয় যে
কথা শুনেই তিন লাফ দেবে।
আমি রবীন্দ্রনাথের অমিত নই আর হুমায়ুন আহমেদের হিমুও নই। আমি আমার একান্ত নিজের। তবে আমি এই মুহূর্তে কবি কিটস্। What is love? Where is it?
ভালবাসার জন্য অনেকে কবি হয়েছে। কেউ বা দেবদাস, কেউ বা নেশায় চূড়।
আমি নাহয় প্রথমটাই বেছে নিলাম।
৩.
তিলোত্তমাকে একদিন হেসে হেসেই প্রশ্ন করলাম- আচ্ছা তুমি যে আমায় ভালবাসো মানি, প্রাণও দিতে পারো সেও মানি। ভেবে নেওয়ার জন্য তোমাকে সময় দেওয়া হলো পনের সেকেন্ড। ভালবাসার প্রমাণ দাওতো দেখি।
তিলোত্তমা তর্জনী উঁচিয়ে তার গালে টোকা দিয়ে মৃদু হাসতে থাকলো। বিব্রতভাব আমার ভেতরে কাজ করে। চোখ দুটো নিচে নেমে আসে। টের পেলাম যখন
ও আমার গালে চিহ্ন এঁকে দিয়ে বুঝিয়ে দিলো-
এইবার ভালবাসায় ভরে দাওতো দেখি বুক
যেন সারাজীবন মনে থাকে!
Leave a Reply