চলতি পথের গপ্পো ৮
সাব্বির হোসেন
এতদিন কাকিনার রাজা মহিমা রঞ্জন রায় এর প্রতিষ্ঠিত রঙপুরের ঐতিহাসিক টাউন হলের মাটি ঘরের দোর পর্যন্ত এসেছে। কিন্তু আজ পুরোই ব্যতিক্রম!
সোজা রসুইঘর ঢুকে হান্ডি পাতিলে চিকচিক চিকচিক করছে। এত সাংঘাতিক হতে পারে ভাবিনি। বাহ্ বা। নিতান্তই আজ পেটেও হানা দেওয়ার মতলব এঁটেছে। না না আর বসে থাকা যায় না। অনেক সহ্য করেছি। এখন আমাকে এর অওকাদ দেখিয়ে দিতে হবে। কোথায়, কোথায় রসুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ আর সয়াবিন তেল। কাজের সময় তো কড়াই টাও পাওয়া যাবেনা। হ্যাঁ, এই পেয়েছি। গিন্নি ও গিন্নি। আরে ও গিন্নি…….
: কি হল কি! চেঁচিয়ে কান ঝালাপালা করে দিলে গো। বছরে এক আঁধ বার রান্নাঘরে ঢুকে এরকম অত্যাচার করার কোন মানে হয় না। সারাদিন মোষের মত শুয়ে বসে ঘুমানো ছাড়া কোন কাজ নেই।
: আরে ও গিন্নি। বলি খুন্তি হাতা কোথায় রেখেছ?
: এই যে মাথার উপরেই তো আছে। কি করবেটা কি শুনি? ওমা। সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে! এসব কি হ্যাঁ। আর কাজ পেলে না।
: হুম। যা দেখছো তাই। লাল শাক। চার আঁটি ত্রিশ টাকা। আমাদের টাউন হল আর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শাক সবজির বাজার বসেছে। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য সবজি বাজার সরিয়ে এখানে আনা হয়েছে। কিন্তু মাথাটা গরম হয়েছে এত ধুলোবালি যে পরিষ্কার করার জন্য তিন বালতি পানি প্রয়োজন।
: দেখেছো কান্ড!!!!
Leave a Reply