মেকাপ এবং করোনা
এস এম সাথী বেগম
সো শেষ, একে একে সবাই বের হয়ে গেলো দর্শক।নুরি মৌসুমকে নিয়ে গ্রিণ রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষা করছে নায়ক রুমান এর সাথে দেখা করেই যাবে।কত কষ্ট করে প্রাইভেটের টাকা জমিয়ে ঢাকা এসেছে প্রিয় মঞ্চ ও টেলিভিসন নায়ক রুমানকে দেখবে বলে। নিম্ন আয়ের পরিবারের মেয়ে নুরি রংপুর বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটিতে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।সাইকেল মেকার বাবা খুব কড়া।
একে একে সবাই বের হয়ে যাচ্ছে।গ্রীণ রুম থেকে। প্রায় দু’ঘন্টা দাড়িয়ে কথা হয়েছে রুমান এর সাথে গ্রীণ রুমের দরজার কাছে থাকবে।ফেসবুক এর মাধ্যমে পরিচয়। তারপর মোবাইলে টুকটাক কথা। এতো বড় অডিটোরিয়াম একবারে ফাঁকা হয়ে গেলো লাইট অফ হয়ে গেলো। একটু একটু ভয়ও লাগছিলো।মৌসুম বিরক্ত হয়ে বলে এতো সময় লাগে মেকাপ উঠাতে? একজন মাঝারি বয়সের লোক এসে বললো এখনও দাড়িয়ে কেনো?
আমরা নায়কের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি। ভিতরে কেউ নাই। নায়ক রুমান সো শেষ করেই চলে গেছে।
না যেতে পারেন না আমার সাথে দেখা করবেন। সো শুরুর সময়ও কথা হয়েছে।
কোথায় থেকে আইছেন?
রংপুর
আপনারা আগের মতই থাকলেন সহজ সরল।রংপুরের মানুষ পাল্টাতে পারলেন না। চইলা যান আমি সব তালা লাগামু।রুমান এর মত জনপ্রিয় নায়ক আপনারে হিসাবেই রাখে না।
করোনা’র এ কয়েকদিন ঘরে বসে সারাদিন ফেইসবুক, আর ইউটিউবে নাটক, গান শুনে সময় পার করছে নুহা। একটি ভিডিওতে ক্লিক করতে দেখে পিপিই পরে নায়ক রুমান অসহায় মানুষদের খাবার বা অন্যকিছুর প্যাকেট বিতরণ করেছে। আচ্ছা এই ভিডিও করে দেশ দশকে জানাতে হবে তিঁনি ভালোকাজ করেন।গরীরের পাশে আছেন।
এখানেও এতো বড় মেকাপ?
Leave a Reply