পাশে আছি’র অনন্য উদ্বোগ
হেলেন আরা সিডনী
রংপুরের স্বত:স্ফূর্ত মানবিক সংস্হা “পাশে আছি।” যখন যে পাশে থাকে সেই “ পাশে আছি “ – র আপন জন।
দেশে না.. দেশেই বা বলবো কেনো সারাবিশ্বে মহামারী আকারে করোনা মৃত্যুদুত হয়ে যেনো অজ্ঞাতে এসে শেষ করে দিচ্ছে মানব জীবন। বাংলাদেশে চলছে সর্তকতার সাথে সচেতন ভাবে পথ চলাচল এবং জীবন – যাপন করা। কেউ মানছে, কেউ উপেক্ষা করছে।
এবার প্রসঙ্গত: চারদিকের অবস্হা।চারদিকে সত্যি সত্যি কিছু অসহায় পরিবার কর্মহীন হয়ে একবেলার খাবার যোগার করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। সরকারী ভাবে করছে, দিচ্ছেও কিন্তু সব ঘরে হয়তো পৌঁছায় না। তাই কিছু সামাজিক সংগঠন আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে পথে নেমে গেছে। সত্যিকার ভাবে কয়েকটি পরিবারের খোঁজ যখন আমার কানে এলো তখন “পাশে আছি “ – তাদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেলো। আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়, কি করা যায়…. দু’ একজনকে বললাম। তাদের একজন ম্যাসেজ করলো – ki plan korchen , idea ki? কেউ জানতে চাইলো – ওহে “ পাশে আছি “ – ভাবছো কি?? আমি সাহস পেলাম একটু হলেও। পাশে আছি যদি ৫ / ৭ টি ঘরেও কিছু খাবার পৌঁছাতে পারে এই মানবিক উদার মনের মানুষগুলোর সাহায্যে, ক্ষতি কি??? ভিক্ষে করে এনেই না হয় ভিক্ষে দিলাম, এটা দান নয়, সহযোগিতা নিয়ে সাহায্য করা…..তাই যারা আজ, “ পাশে আছি “ – স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংস্হাটিতে সহযোগিতার হাত বাড়ালো তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা… কৃতজ্ঞতা… কৃতজ্ঞতা আর মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া। অনেক বেশি করা নয়, একজনের জন্য যদি অন্তর থেকে কিছু করা যায় সেটাই অনেক.. অনেক বেশি। এখনো হাতে আসে নি সব টাকা তাই যতোটুকু সম্ভব হলো। সংকটের মুহুর্তেই যৎসামান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ১২ টি পরিবারকে দেওয়া হলো – ৫ কেজি চাউল, এক কেজি মুশুর ডাল, এক লিটার তেল, হাফ কেজি লবন, ক্ষারযুক্ত দুটো সাবান, স্যালাইন। মৌচাক পরিবারে ২০০০ টাকা এবং বিভাগীয় লেখক পরিষদকে ২০০০ টাকা দিয়ে তাদের কাজে পাশে আছি নির্দ্ধিধায় দাঁড়িয়ে গেছে। মানবতার ডাকে কেউ একক নয়, সকলে আজ আমরা হয়ে গেছি।
শুকরিয়া জানাই মহান করুনাময়ের কাছে। তারাও বৃহৎ আকারে মানবতার মাঠে নেমে গেছে সব ভয়কে জয় করে। হে প্রভু, যারা আজ এই দুর্বিসহ কঠিন কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতা করছে তাদের রক্ষা করো সব বিপদ থেকে। তুমি একমাত্র রক্ষাকারী।
কৃতজ্ঞতা:- ১ / তামজিদুল ইসলাম ফরহাদ (ঢাকা) , ২/ ডা: মাকসুদুল ইসলাম পজু (যিনি এখন সিডনীতে লক্ ডাইন অবস্হায় আছেন) ৩ / শাহিদা বেগম রত্না প্রিয়তা ( ঢাকা ), ৪ / ফৌজিয়া লুনা (ঢাকা) , ৫ / রাশেদা বেগম রাশু (রংপুর) ৬ / হেলেন আরা সিডনী ( রংপুর )। সকল নিয়ম কানুন মেনে সহযোগিতায় “পাশে আছি“র এবারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করলো রুম্মান ও মিলা।
“পাশে আছি“ খুব ছোট্ট পরিবার। একেবারে সীমিত পরিসরে যখন যেমনটি পারে আন্তরিকভাবে সততার সঙ্গে কাজ করে যাবার চেষ্টা করে। সকলের দোয়াই কাম্য।
Leave a Reply