পাতা প্রকাশ : কেমন আছেন? বসন্ত কেমন কাটছে?
সুশান্ত নন্দী : এই বেশ ভাল আছি বসন্ত ঋতু রাজে,
ভালো থেকো তুমিও,খোঁজ রেখো মাঝে মাঝে।।
পাতা প্রকাশ : আপনার লেখালেখির শুরুর গল্পটা শুনতে চাই…
সুশান্ত নন্দী : প্রথম লেখার হাতে খড়ি স্কুলের ম্যাগাজিনে। তারপর সালটা ১৯৯৮। একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সাংস্কৃতিক সাংবাদিক হিসেবে প্রবেশ। সেই শুরু লেখালেখি এবং সেই বছরই ছাত্র-যুব উৎসবে একটি কবিতা লিখে প্রথম স্থান অধিকার করায় মনোবল বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠলো। তারপর আর থেমে থাকিনি।
পাতা প্রকাশ : ছোটোবেলায় জীবনের লক্ষ্য কী ছিলো?
তা কি হতে পেরেছেন?
সুশান্ত নন্দী : ছোটবেলায় জীবনের লক্ষ্য ছিল একজন শিক্ষক হওয়ার। আর সেইসঙ্গে সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্নও দুচোখে আঁকতাম। অবশ্যই দুটোই হতে পেরেছি একসঙ্গে।
পাতা প্রকাশ : আপনি নিজেকে কি কবি ভাবেন? নাকি অন্যকিছু?
সুশান্ত নন্দী : নিজেকে কবি হিসেবে ভাবতে এখনো পর্যন্ত পেরে উঠেনি বরং একজন শব্দ শিল্পী কিংবা লেখক হিসেবে ভাবতেই নিজেকে ভালো লাগে।
পাতা প্রকাশ : নিজের বই নিয়ে উপলব্ধি কী?
সুশান্ত নন্দী : কবি লেখক-সাহিত্যিকদের বই হচ্ছে সবচাইতে প্রিয় বন্ধু। আর নিজের বই হলে তো কোন কথাই নেই। কারণ একই মলাটের ভাঁজে প্রিয় লেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজানো রয়েছে ।অন্তত লেখনশৈলী এক জায়গায় গ্রন্থিত হয়ে থাকার যে একটা বিষয় তা কিন্তু একটা দারুন উপলব্ধির সঞ্চার করে।
পাতা প্রকাশ : আপনার কাছে কবিতা কী?
সুশান্ত নন্দী : নিজের ভেতর আন্দোলিত হয় যে ভাষা, তা বাক্য বিন্যাসে নির্মাণের পর একটা চিত্রকল্প তৈরি করে, গড়ে ওঠে একটি অর্তবহ প্রেক্ষাপট এবং যা কাব্যিক অনুভূতির সঞ্চার করে। তাইতো কবিতা। আর এই কবিতার ভেতরেই কোথাও বুঝি আলগোছে লেখা রয়েছে একটি শব্দ। যা হল নির্মাণ। কবি তার কল্পনার সেই নির্মাণ তুলে রাখেন ভাষা লিপিতে।
পাতা প্রকাশ : আপনার মাথায় লেখার ইমেজ কীভাবে আসে?
সুশান্ত নন্দী : কখনো কবিতা পড়তে পড়তেই যখন এক অন্য অনুভবের শব্দ জগতে মন হারিয়ে যায় তখন যেন শব্দ ভ্রুণ হয়ে জন্ম নেয় কবিতা। আবার কখনো এই পৃথিবীর জনারণ্যে নানান বিষয়ের ঘটনাবলী দেখতে দেখতেই কবিতার চিত্রকল্প তৈরি হয়ে যায় মনের ক্যানভাসে।
পাতা প্রকাশ : আপনি কার লেখা বেশি পড়েন? বিশেষ কারও লেখা কি আপনাকে প্রভাবিত করে?
সুশান্ত নন্দী : আমি সবচাইতে বেশি পড়ি প্রিয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। তার লেখা সবচাইতে বেশি আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এমনকি প্রভাবিত করে। তবে আধুনিক কিছু অনামী লেখক এর লেখাও ভালো লেগে যায়। অনুপ্রাণিত হই তাতেও।
পাতা প্রকাশ : আপনার সমকালীন লেখকদের কবিতা সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী? কার লেখা বেশি ভালো লাগে?
সুশান্ত নন্দী : সমকালীন লেখকদের অনেকেই কবিতা নিয়ে পড়াশোনা কম করেন। শুধুমাত্র মনের ভেতর ভাবনার খোরাক দিয়েই কবিতার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় না। প্রয়োজন শুধু কবিতাকে জানা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান আহরণ।
এই সময়ের লেখক শ্রীজাত এবং যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতা আমার ভীষণ ভালো লাগে।
পাতা প্রকাশ : সবশেষে, লেখক হিসেবে চূড়ান্ত লক্ষ্য কী?
সুশান্ত নন্দী : জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সর্বজনের কাছে একজন লেখক হিসেবে মান্যতা পাওয়াটাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। যারা আমার কবিতা পড়বে এবং আমার কবিতা আবৃত্তি করবে।
Leave a Reply