স্বার্থপর
বাদশা হাবীব
তুমি শুধু তোমারটাই ভাবছো
যদি মহামারির জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়,
তাই চাল, ডাল, ঔষধ, পানি সব কিনছো ।
পরে যদি ফুরিয়ে যায়
যদি অনাহারে থাকতে হয়?
যদি আবার কিনতে গিয়ে জীবনের আলো নিভে যায় ।
ভয় তো লাগবেই,না হলে কি সব বন্ধ হয় ।
সবার বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ হয় ।
কিন্তু আমি ভাবছি ঐ ঝালমুড়ি ওয়ালার কথা
যে আমাদের আশায় স্কুলের সামনে বসত
ঐ অটোচালকের কথা
যে আমাদের আশায় স্কুলের সামনে আসত।
ঐ বুড়ি ভিক্ষুকটা ,যে কাঁপতে কাঁপতে হাত বাড়াত।
ফুল বিক্রি করা ছোট্ট মেয়েটা ,যে ছেঁড়া জামা গায়ে ফুল বিক্রি করতো ।
ওদের কি হবে?যারা দিন আনে দিন খায় ।
ওদের জীবন কি মূল্যহীন ?ওরা কি মানুষ নয়?
কি হবে ওদের জরুরি অবস্থায়?
কিন্তু বাইরে যাওয়া তো ঠিক নয়।
আর তুমি জমানো খাবার খাবে
আর ওরা অসহায় অনাহারে থাকবে ।
বাচ্চাদের অনাহারি মুখ দেখে,বড়রা লজ্জায় অন্য দিকে তাকাবে।
যদি বাইরে যায় তো মৃত্যুর ভয়
যদি না যায় তো অনাহারে মরতে হয়।
আর তুমি সব জমানো খাবার খাবে
আর ওদের কজন মরলো তার খবর শুনবে ।
যদি তুমি ঐ অসহায় পিতা হতে
তবে এতো স্বার্থপর হতে?
কিন্তু ভাবিও
আল্লাহ্ ওদেরও ।
আর মৃত্যু তোমারো আছে।
তাই ওদের কথাও ভাবো,মানুষ হয়েই মরো।
না হলে কি জবাব দিবে আল্লাহর কাছে।