১. কবি’র মৃত্যু হলে
কবি’র মৃত্যু হলে
সড়ক পিদিম নিভে না শোকে
শিমুল গাছের ডগায় বসে
পাখি পালন কারে না শোক,
ঘাটে ঘাটে নাও ভিড়ানো হয় না।
অথচ কবি’র কবিতায়
প্রজ্জ্বলিত হয় দীপ, পখি গান গায়,
ভাটিয়ালি সুরের মুচ্ছর্নায়-
ঘাটে নাও ভিড়ায় মাঝি।
কবি’র মৃত্যু হলে শেষ কথার মৃত্যু হয়!২. সময়
নিরেট জগদ্দল পাথর হাঁটছে!
রাজপথ গলিপথ উঁচু-নিচুপথ
জল-পাহাড়-আলপথ ডিঙিয়ে
আষাঢ়ে গল্প নিয়ে।
কঙ্কালের থাপ্পা এখন অমৃত!
ধাপ্পায় ধাপ্পায় দেয়াল টপকানো
মৃতপাথরের স্তুপ- আতর মেখে
নেমে এলো, সময়ের হাত ধরে।৩. অসময়ের দশ ফোঁড়
তপ্ত উনুন, আঁচের কিনারা ঘেঁষে
মফস্বলী পৌষে শিশিরসিক্ত ঘাসের
বাড়ন্ত ডগা সিদ্ধ হতে হতে
এক পাক্ষিক কাতরতায় সন্ধ্যা নামে।
আঁচ ফুরানো উনুনের বেওয়ারিশ-
ধোঁয়া উড়ে উড়ে দুর্দান্ত কুন্ডুলী হয়ে
দুর্ভিক্ষের চিত্রে এসে থামে।৪. প্রণয় বিরহী ক্রোধ
রঙবদলের দুঃখ নিয়ে পড়ে আছে ওড়না,
অঙ্কিত পাথর, শ্লীপার;
বিভৎস খণ্ডিত মস্তকে অমুদিত চোখ-
এখনও ইশারায় ডাকে, হাতছানি দেয়।
প্রত্যাখানের শৈল্পিক প্রতিবাদ ঝুলে আছে
শত প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে।৫. অবসরে এসো
আজ নয়, যদি হয় বেদনার নীলে
মিলেমিশে থাকা অভিনয়ের
সিদ্ধান্ত অবধি অপেক্ষা;
ক্রোধের অনলে পোড়া ক্ষতের
শিল্পীত চিরকুট ফেলে-
অবসরে এসো।
সিঁদূর রাঙা ঠোঁটের কোণে
একরাশ হাসির ঝলক ঝুলে,
ঠিকরে পড়া মেঘের আড়ালে
বিপন্ন হতাশা ঢেকে।।