শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন

সৈয়দ খিজির হায়াত এর ১০টি গান

সৈয়দ খিজির হায়াত এর ১০টি গান


আকাশ জুডে. সাঁজের খেলা মেঘে গুরু গুরু
বইসা আছি দাওয়ায়রে ভাই কখন হবে শুরু ।
পুবের সুরুজ পশ্চিমে যায়
ঘুম আসে না অমানিশায়
বিজুলী ঠিকরিয়া পরে হৃদয় দুরু দুরু।
ভাংগা গড়ার এই কি খেলা
হিংস্র দাঁতের শুকর কালা
করল কি আজ শুরু ।
ঝড় আসিয়া ভাংগিয়া যাক
সাম্য মৈত্রী প্রতিষ্ঠা পাক
কামান গোলা নাইবা থাকুক হাতে নে আগুন জ্বালার দাঁড়ু ।


দেখিতে দেখিতে অধরা হইলে তুমি
পারি নাই বাধিয়া রাখিতে তোমারে
বলে তো গেলে না আডি.
তবু মনে হয় মনে হয় আছ যে আমার
হৃদয়ও গভীরে হার হয়ে সাত নড়ী
যত বার ভাবি স্মরনে তোমারি দেখিতে না পাই
খুঁজিয়া বেড়াই
রেখেছ দুটো চোখ তৃষিত আমারও বুক
স্মৃতি দিয়ে করে ভারী
পারি নাই বাধিয়া রাখিতে তোমারে
বলে তো গেলে না আডি.

শুকনো ফুল বুকে ধরে কাঁদে ফুলেরও ডালা
কি করে গাঁথি যে মালা মরমে কি বিষম জ্বালা
তৃষিত হৃদয় শীতল নাহি হয় করে শুধু আহাজারী
পারি নাই বাধিয়া রাখিতে তোমারে
বলে তো গেলে না আঁড়ি।


এ কোন ফাগুন এল ডাকে না কোকিল আর মনটা দুরু দুরু উদাসীন
আগের মত দেখিনা কেন আজ হলুদ শাড়ীর সাঁজ চারিদিক কৃষ্ণ চূডা পলাশে রঙ্গিন ।
মুখ খানা ভার করে তাকিয়ে আকাশ
দেখছে চেয়ে চেয়ে ধংস বিনাশ
জনপদ ব্যথাতুর উঠছে না গানের সুর সমাজ সভ্যতা যেন বিবর্ন মলিন।
কষ্টটা আজ আমার সংগ্রামী হয়ে যেতে চায়

কন্টক পথে দি্বধাহীন পা বাড়ায়
প্রান যদি যায় যাক সভ্যতা ফিরে পাক রেখে যাব বুকের রক্তে মোর রক্তঋণ !


শ্বাসে জীবন শ্বাসে মরন
শ্বাসে বাঁচা বাচি
না জানি কয় দিন চলে
আল্লাহ থাকলে রাজি
হায়রে আল্লাহ থাকলে রাজী ।
আঁড়াই বড়াই যতই কর
সরল বাকা যে পথ ধর
বৈটা হাতে বিদায় নিবে মাঝি ।
সময় থাকতে ধরিয়া পথ
চালাও তোমার দেহেরই রথ
রোজ হাশরে আল্লাহ হইবেন কাজী ।
জবানেতে আল্লাহ বলো
কলবে নামের তুফান তুলো
আল্লাহ ছাড়া নাইরে বাঁচা বাঁচি ।


তুমি ভাঙ্গলে যে ঘর /সে ঘর ছিল না ছিললক্ষ কোটির ঠিকানা
পাপে তোমার ঘর ভাঙ্গিবো কোরআন হাদিসে (আছে ) জানা ।
আরশে থাকিয়া আল্লাহ দেখলো চাইয়া চাইয়া
উল্লাসে ভাঙ্গিলে যখন বোল ড্রেজার দিয়া
তোমারে ভাঙ্গিলে খোদা কে বাঁচাইবো মনা ।
ভাবিয়া করিলে কাজ
আল্লাহ তালা হয় না নারাজ
আসলে গজব ইনকিলাবে কাজ তো রে ভাই হবে না ।

 


মানুষে বুঝে না মানুষ
ফুলে বুঝে মন
রঙ দিয়া ভুলাইয়া রাখে তোমায় সারাক্ষন।
না আছে তার চাওয়া পাওয়া
স্বার্থের টানা টানি
নিজেরে বিলাইয়া দিয়া
সাজায়রে ফুলদানি
না ভাবেরে শত্রু মিত্র কেবা তার দুর্জন।
সময় থাকতে ভাবরে ভাই
যাবে কেন জীবন বৃথাই
ওরে মানুষ হইতে কর অন্বেষণ
ও মন মানুষ হইতে কর অন্বেষণ ।


ভিতরে আগুন জ্বলছে
বাইরে এসি ফ্যানের বাঁও
চোখের ঘুম কাইডা. নিছে
আল্লাহ তুমি ফেরত দাও।
কথায় কথায় লাশ ফালাই দেয়
মসজিদ মন্দির পুডাইয়া দেয়
তোমার কাছে চাই গো খোদা
শান্তি থইয়া গজব দাও।
শান্ত শৃঙ্খল দেশটারে যারা
ধংস কইরা বানাইছে শ্বশান
বিচার তাদের চাই গো মালিক
হাজার ফাঁসির রশি দাও ।

 


তারে দেখি দেখি হয়না দেখা
দেখার আঁশ তো মিটে না
আমার মন যে চায় গো তারে
তার কি হইছে জানা ।
নাম লিখিছলাম আমার বুকে
সে ছাড়া কয় কেউ না দেখে
আমার দেখা আমি দেখি
সে কি দেখে না
আমার মন যে চায় গো তারে
তার কি হইছে জানা ।
রাইতে দিনে তুফান উঠে
নিরালা হৃদয়ও তটে
হাল ধরিয়া চালায় তরী
কুল জানে সে ভিড.ায় না
আমার মন যে চায় গো তারে
তার কি হইছে জানা ।


ও মন কাল ঘুমে পইরাছো তুমি হায়রে জাগবায় কোন সে ভোরে
তোমার বসত বাডী. লুট কইরা নেয় পাগলা মাতাল ঝড়ে
তুমি জাগবায় কোন সে ভোরে ।
পুব থাইকা পশ্চিমে যায়
ঝাপটা মারে দক্ষিনা বায়
চঙ্গল মাইরা ধরছে মাটি শকুন মীরজাফরে ।
এই ভোরে ঘুম না ভাঙ্গিলে
লুইটা নিবে ডাকাত দলে
জাগার সময় না জাগিলে কান্দবায় জারে জারে ।

১০
হিম্মতে বান্ধিয়ারে কইলজা হেইয়্যা মার তুই বারে বার
ভয় করিস না হাঙ্গর তিমি হায়রে সাগরের জোয়ার।
তীরের লাগাল পাইতে হইলে শক্ত হাতে বৈঠা বাঁও
আল্লাহ রাসুল রাখলে মনে ভিড.বে পাড়ে তোমার নাও
দমে দমে বলরে ও ভাই আল্লাহু আকবার।
সুরমা নদী পাড়ি দিছলা জায়নামাজ বিছাইয়া
খান্দানে রাসুল আল্লাহর ওলী শাহ জালাল আউলিয়া
থাকলে পথে রইবেন সাথে আল্লাহ পাক পরোয়ার ।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge