সিঁদুর
সুমন ঘোষ
বিয়ের দশবছর পার, কিন্তু আজও পরনে শাড়ি,চোখে কাজল,মুখভরা মেক্ আপ সব মিলিয়ে আজও অপ্সরা লাগে রুমিকে।
অভিক অফিস সেরে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরল আজ তো পার্টি আছে, ঘোষবাবুর মেয়ের বিয়ে। কাজে ডুবে ভুলেই গিয়েছিল সব, মনে মনে ভাবল রুমি বোধহয় এতক্ষণে রেডি হয়ে গেছে, আর আমি কিনা-
গাড়িটা গ্যারাজে রেখেই রুমে ঢুকে, ঠিক রুমি যখন সিঁদুর কৌটো থেকে সিঁদুরটা পড়তে যাবে, বেশ একটু অক্ষুন্ন হয়েই বলল―
“কতবার বলেছি, পড়বে না,দরকার নেই ওইসবের।বিবাহের চিহ্ন কি শুধু মেয়েরাই বহন করবে, শাঁখা হোক কিংবা সিঁদুর এগুলি লোকমাত্র বিধি।’
ব্যারিস্টার বিজন বাবু বড়ো গাড়ি করে সবেমাত্র ফিরেছেন, বাড়িতে ছেলের চিৎকারে কর্ণপাত করেই গর্জে উঠলেন- ‘দরকার কি ছিল বিয়ে করার, সিঁদুর টাই যদি শিঁথিতে না থাকে, প্রাশ্চাত্যের হাওয়া লেগেছে সব। মর্ডান হয়েছে মর্ডান।