বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

সত্যজিৎ রজক এর ২টি কবিতা

সত্যজিৎ রজক এর ২টি কবিতা

সত্যজিৎ রজক এর ২টি কবিতা

১. সীমারেখা
উঠোনের মাঝখানে সীমারেখা বেঁধে দেখো পারাপার করা যায় কি না ! দেখো বৃষ্টি এলে কাকে ভেজাই আর রোদের গন্ধ লাগে কার গায়ে !
আকাশের ছাই মাখা শরীর হয়ে তোমার আহ্বানে জেগে উঠেছিল খয়েরি বাদাম পাহাড় । তুমি তো তাকে চেনো , অসম্ভব ক্ষতগুলির মাঝেও গভীর আকাশের মতো তুমি তাকে চেনো।
ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে যেতে বয়ে যেতে যেতে যে আঁধার চিনেছি, যে বিস্ময় পথ চিনেছি, সেই পথেই আঙুলের ছায়ায় ক্রমে মরে গেছে আমাদের উঠোন আমাদের সীমান্ত সংসার।
আমি এত দিন জানতাম লবন খনির মাঝেও মাটি আছে… আছেও বটে কিন্তু তা মাটি বলে গণ্য হয় না।
মাটি মানে তো একটা জীবন, জীবন মানে একটা আলো।
প্রতিটি সমুদ্রের ঢেউয়ে সেই আলো ভেঙে হয় খানখান, শুধুই পড়ে থাকে নোনা জল অন্ধকার ।
এরকম সব অন্ধকার জানে সম্পর্ক একটা উল্টোনো নৌকার মতো শরীর…

২. স্বপ্ন উড়ান
প্রাগাঢ় নদীর ভেতর এক অন্ধকার ঘুমিয়ে আছে জেনে, একখন্ড পেয়ারা ছেড়েই বাদুড় উড়ে যাচ্ছে একরাশ জঙ্গল নেশাফলের দিকে। তোমাকে নীরবতার কথা শোনাবে বলেছে আমাজন।
পাক্ষিক জ্বরে সাপের খোলস থেকে ক্রমশ বেরিয়ে আসছে এক উদ্বিগ্ন ময়ূর চোখ। ঠোঁটের তীক্ষ্ণতায় এখন নেমে আসে অনেক প্রান্তিক বন।
পাথরের উত্তাপ ছেড়ে বেরোলেই লাল কাঁকড়ার জরায়ু নিধনের ইতিহাস লেখা থাকবে, এক যুগ নীরবতার ক্ষমা প্রবন শোক।
আর তুমি ইতিহাসের পাতা ছিঁড়ে খেলে, তোমাকে আদও ধর্মাবতার বলে গণ্য করা হবে না। ইতিহাস তো একটা বিশাল সমুদ্র ঘুম। যার ঢেউয়ে পৃথিবী সৃষ্টির ধ্বনি শোনা যায়।
আমার জানা নেই , কোন তৃস্নার্ত জিভে প্রজাপতি খেলে ! কোন অন্ধকারে ছড়িয়ে রয়েছে শিবের শুভ্র কন্ঠের মতো নীল জল ! কোন আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছে বেফিকির অবহেলাই শীতল ভোর !
শুধু তোমার ঘুমের ভেতর দেখি অন্ধকার আকাশ । তোমার নাভিমূলে শীতল জল। সমস্ত অবসাদ কেটে গেলে, এবার বাদুড় ঘুমে ফিরে আসবে নীরবতারা । নিয়ে আসবে এক বুক বন বীথির সুখ দুঃখের কথা।
তোমাকে নীরবতার কথা শোনাবে বলেছে যে – তাই তো এখনও কোনো অন্ধকারই নেমে আসেনি উড়ান ডানায়।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge