লেখার মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব-এএসএম হাবীবুর রহমান
পাতা প্রকাশ : কেমন আছেন? বসন্ত কেমন কাটছে?
এএসএম হাবীবুর রহমান : ভালোই আছি।বসন্তের আনন্দমুখর দিনগুলো খুব সুন্দর লাগে। মন ফিরে শৈশবের দিকে। হারানো বসন্ত আকুল সুরে ডাকে। এবারের বসন্তের ভিন্ন রুপ। সংশয় নিয়ে দিন কাটছে।
পাতা প্রকাশ : আপনার লেখালেখির শুরুর গল্পটা শুনতে চাই…
এএসএম হাবীবুর রহমান : লেখা লেখির গল্পটায় বেশ চমক। চাকরি কালীন সময়ে লেখালেখি করা বেশ কঠিন, সময় পাওয়া যেত না। একটু অবসর পেলে পত্রিকাকার সাহিত্যের পাতাগুলো নজর দিয়ে দেখতাম। দেখতে দেখতে সেখান থেকে একটু করে লেখার সখ হলো। কোন এক মূহূর্তে নিজের একমাত্র কন্যাটি আমাকে ছেড়ে কেঁদেকেটে শ্বশুর বাড়ি চলে গেল। সেখান থেকেও একটা বেদনা হাহাকার করে উঠলো। বেদনা ভুলে থাকার জন্য একটু করে লেখার চেষ্টা করতে লাগলাম তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। স্মৃতি আরও জড়ো হতে লাগলো। আর সমাজটা কিরকম মনে হতে লাগলো। মনের কিনারে চাপা ক্ষোভ, অনুভুতি সবকিছুকেই আড়াল করতে লেখা শুরু হলো।
পাতা প্রকাশ : ছোটোবেলায় জীবনের লক্ষ্য কী ছিলো?
এএসএম হাবীবুর রহমান : যা ভাবা যায় তা কি আর পাওয়া যায়, আবার অনেক সময় পাওয়া যায়। একটা কথা আছে না, চাইলে কি পাওয়া যায়। তবে হাঁ কিছুটা হলেও তো পেরেছি। এইতো বেশ ভালো আছি।
পাতা প্রকাশ : আপনি নিজেকে কি কবি ভাবেন? নাকি অন্যকিছু?
এএসএম হাবীবুর রহমান : নিজকে নিয়ে কবি ভাবার সময় কই। একটু আধটু লিখে কি কবি হওয়া যায়? আমি সাদামাটা একজন সাধারণ মানুষ। অন্য দশজনার মত।
পাতা প্রকাশ : নিজের বই নিয়ে উপলব্ধি কী?
এএসএম হাবীবুর রহমান : বই লিখছি বেশ ভালো লাগছে। তৃপ্তি পাচ্ছি। লেখা তো সহজ কথা নয়।
পাতা প্রকাশ : আপনার কাছে কবিতা কী?
এএসএম হাবীবুর রহমান : কবিতা মনের খোরাক। ফুল খুব সুন্দর। কবিতাও তেমনি। মানুষ কিংবা সমাজকে শুদ্ধতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
পাতা প্রকাশ : আপনি কার লেখা বেশি পড়েন? বিশেষ কারও লেখা কি আপনাকে প্রভাবিত করে?
এএসএম হাবীবুর রহমান : মোটামুটি সবার কবিতা পড়ি। এর মধ্যে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুন আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ আরও অনেকেরই।
পাতা প্রকাশ : সবশেষে, লেখক হিসেবে চূড়ান্ত লক্ষ্য কী?
এএসএম হাবীবুর রহমান : লিখতে হবে আরও বেশি করে। লেখার মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।