মায়াজাল
ফজলে রাব্বী
প্রেমিকার সাথে ঝগড়া হয়েছে। এতদিনের রিলেশনে যতবারই ঝগড়া হয়েছে খুবই দক্ষতার সাথে আমাকেই ভুল প্রমাণ করেছে। ওর কুশলী কথার ভাঁজে যে কেউ আটকে যাবে সহজেই। এ কথাটি শুধু শুধু বললাম না।আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা।
শুনো,বাদ দেও।যা হওয়ার হয়েছে, আমি ভুল করেছি।মাফ করে দেও এবারের মতো।
শুনো রাব্বী,এবার তো কোনোভাবেই সম্ভব না। তুমি প্রতিবারই ভুল করবা আর আমি ঠিক করতেই থাকবো তা তো হবে না।আমি মেয়ে হয়েও সবসময় সেক্রিফাইজ করি।আর কত?প্লিজ তুমি এবার ঠিক করতে বলিও না।
যতরকমের পদ্ধতি ছিলো সব প্রয়োগ করার পরেও কোনো উপকার হলো না।সবশেষে রোদেলাকে বললাম-আমি তোমাকে শেষ একটা কথা বলতে চাই,আমার সাথে দেখা করো।
আমাকে পাগলী পাইছো তুমি?তোমার মতো ছেলেদের আমি ভালোভাবেই চিনি। এখন এসিড মারার পরিকল্পনা করছো?বাহ্ রাব্বী!বাহ্!তোমার তুলনা হয় না।তোমার এই রূপটাই শুধু দেখার বাকি ছিলো সেটাও দেখিয়ে দিলে এই বলে ফোন কেটে দিলো।নাম্বার ব্লাক লিষ্টে রেখেছে।তবুও বারবার চেষ্টা করেই যাচ্ছি। খালিদ ভাই এসব শুনে বলল তুই ওকে বিরক্ত করিস না ।ওর এখন মাথা গরম আছে। মাথা ঠান্ডা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।আমিও চুপচাপ থাকলাম।এক সপ্তাহ কেটে গেলো কোনো খোঁজ খবর নেই।দিন যতই যাচ্ছে আমার অস্থিরতা বেড়েই চলছে। একমাস হয়ে গেলো।হঠাৎ এক বন্ধু ফোন করে বলল আজকে রোদেলার বিয়ে।আমি তো শুনেই যেন আকাশ থেকে পড়লাম।কি বলিস এসব!খোঁজ খবর নিয়ে দেখলাম ছেলে বুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার। আর দশটা প্রেমিকের মতো আমার বলা হলো না শেষ কথাটা।বলতে পারলাম না তুমি যখনই ফিরে আসবে আমায় পাবে।যতদিন বেঁচে আছি অপেক্ষা করবো। কথাগুলো ভেবে সারারাত ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদলাম।তিন -চারদিন ঘর থেকেই বের হলাম না।আম্মাকে এসব বুঝতে দেয়া যাবে না, একটা সময় ছিলো যখন আম্মাকে রাজি করানোর জন্য রোদেলার নামে কত্ত প্রশংসা করতাম।তাই আম্মা খাবার দিয়ে গেলে, না খেয়েও খাওয়ার অভিনয় করি।চুপ করে পলিথিনের ব্যাগে রেখে দেই খাবার।এভাবে এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি চিরকুমার থাকবো।রোদেলার বিরহে বাংলা সিনেমার বাপ্পারাজ হবো।কিন্তু সে আশাও আমার পূরন হলো না।জানি না কিভাবে যেন আম্মার কানেও রোদেলার বিয়ের খবরটা পৌঁছে গেছে।এখন উনি তার ছেলেকে বিয়ে দিবে।এলাকার সবচেয়ে সুন্দরী বউ থাকবে তার ঘরে।ফেসবুকে ভিডিও দেখতেছিলাম। ঐ যে ক্যাসিনো খেলে দেড় মাস পাগল আছিলাম বলা ভিডিওটা। কিছুদিন ধরে এসব রম্য ভিডিও দেখে মন ভালো রাখার বৃথা চেষ্টা করলেও সন্ধ্যে হলেই টাউন হলে গিয়ে রোদেলাকে উৎসর্গ করে একটা বিড়ি টেনে আসি।যদিও বাপ্পারাজ মদ খেতো,আমি টাকার অভাবে বিড়িই খাই ।নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেই যে,আমি হলাম গরীবের বাপ্পারাজ।তো যাই হোক ভিডিও দেখার সময় আম্মা এসে বলতেছে বাবা শোন,এবার তোর বিয়ে দিবো।ঘরে ছোট বোন আছে তোর।তুই ওর চেয়ে অনেক বড়।তোর বিয়ে না দিয়ে ওর কিভাবে দেই বল?আমি তো এসব কথা শুনেই বুঝে ফেলেছি পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না।কিছু একটা তো করতেই হবে।কানের মধ্যে তখনও ভিডিওর ঐ লোকটার কথা বাজতেছিলো।হঠাৎ করে একটা বুদ্ধি ফুড়ুৎ করে চলে আসলো।ও বাবা গো বলে এক চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করলাম।আম্মা ভালো করেই জানে তার ছেলে কেমন।কিছু না বলে দরজাটা জোরে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো।আমি চোখ বন্ধ করে আরও বুদ্ধি পাকাচ্ছি। ইশরাক ডাকতেছে,ভাইয়া ওঠ।মা তোর জন্য পুলি পিঠা বানিয়েছে।শুনেই তো জিভে জল এসে গেলো।কারন পুলি পিঠা আমার খুবই প্রিয়।কিন্তু কিছু করার নেই। আর যাইহোক রোদেলার ভালোবাসা নষ্ট করা যাবে না।তাই জিভের জলটুকু আস্তে করে গিলে ফেললাম।আমার বোনটাও হইছে ফাজিলের নানি।এই ঠান্ডার দিনে ফ্রিজ থেকে পানি বের করে ঢেলে দিয়েছে গায়ে। আমিও বাবা নাছোরবান্দা,বাপ্পারাজের উত্তরসূরি আমি,অভিনয় কম পারি না।চমকে উঠে স্মৃতিশক্তি হারানোর ভঙ্গিতে বললাম-
আমি এখানে কেন?
কে আপনি?
ইশরাক তো হাসতে শুরু করলো।আচ্ছা থাম, এখনই চিনবি তুই কে।এই বলে আব্বাকে ডেকে আনলো।এই যে দ্যাখো তোমার ছেলে বিয়ের কথা শুনে কিছু চিনতে পারছে না।এটা শুনে আমিও আবুলের মতো আব্বার দিকে তাকালাম।আব্বা আমার লিজেন্ড মানুষ। উপস্থিত বুদ্ধি অনেক।ইশকারকে বলল মা তুই একটা কাজ কর।
হ্যা বাবা, বলো কি কাজ।
খড়ি চিরতে গিয়ে কুঠারের হাতলটা খুলে গেছে,ওটা নিয়ে আয়।
এই যে নেও।
হাতলটা হাতে নিয়ে আব্বা বলতেছে এখন স্মৃতিশক্তি হারালেও কোনো সমস্যা নেই।টিভিতে দেখিস নি মাথায় আঘাত পেলে আবার ঠিক হয়ে যায় বলেই হাতল দিয়ে মাথায় দিলো এক ঘা।ততটাও বিশ্বাস হারাইনি রোদেলা আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর,যতটা বিশ্বাস হারালাম আব্বার মাইর খাওয়ার পর।যাইহোক সহ্য করে চোরের মতো বসে আছি।এদিকে মাথা ফুলে আলু হয়ে গেছে।
মা ইশরাক,এটা দিয়ে হবে না। কুঠারটা লাগাতে হবে, নিয়ে আয় তো।
এবার আর সহ্য করার যাবে না।আরে থামো তো।আমাকে মেরে ফেলবা নাকি?
কি বলে ফেললাম, ধরা পড়েই গেলাম তো।এখন নিজের পশ্চাৎদেশে নিজেরই লাথি মারতে ইচ্ছে করতেছে।
যাইহোক,সে বার হেমন্তই সুন্দরী এক মেয়ের সাথে বিয়ে হলো আমার।বন্ধু মহলে সবচেয়ে সুন্দরী বউ আমার তবুও রোদেলার জন্য মন কাঁদে।জীবনের প্রথম প্রেম বলে কথা।বাসর রাতেই বউকে বলে দিলাম,শুনো-আমি কিন্তু তোমাকে ভালোবাসতে পাবো না।রোদেলাই আমার সব।বউ হেসে বলল রোদেলা কে?আমি সব খুলে বললাম। বউ বলল,আমাকে ভালোবাসতে হবে না বরং নিজেকে ভালোবাসো আগে।দ্যাখো আমাদের জীবনে মানুষের একটা তালিকা থাকে,যে তালিকার মানুষেরা আমাদের গুরুত্ব দেয় এবং আমাদের থেকে গুরুত্ব পায়।হঠাৎ কেউ একজন তোমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তাহলে তোমার তালিকাটি ছোট হয়ে গেলো।তখন তুমি তাকে যতটুকু গুরুত্ব দিতে, সময় দিতে সেটা বন্ধ করে দেও।ঠিক ততটুকু গুরুত্ব, সময় নিজেকে দেও তার হয়ে।দেখবে ভালোলাগবে।
আম্মায় আমারে কার সাথে বিয়ে দিলো!আল্লাহ গো তুমি আমারে বাঁচাও।এর তো দেখছি মাথায় সমস্যা আছে।কি সব আবোলতাবোল কথা বলে এই মেয়েটা।যাও ঘুমাও।
আমি সবসময় বউয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতাম।কিন্তু ও কিছুই মনে করতো না।নীরবে সব অপমান সহ্য করতো।এসব দেখেই ধীরে ধীরে ওর প্রতি আমার দূর্বলতা তৈরি হয়।
আমাদের বিয়ের দু’বছর হয়েছে।এই দু’বছরে শ্বশুর বাড়িও ঠিক মতো যাওয়া হয় নি।এবার হেমন্তে যাচ্ছি। বললাম না?ওর প্রতি আমার একটা দূর্বলতা এসে গেছে।নিজকে ভালোবাসতে গিয়ে কখন যে ওকেই ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতে পারিনি।
মানুষ একদিনে প্রেমে পড়তে পারলেও ভালোবাসা যে ধীরে ধীরে মনের অজান্তেই গড়ে উঠে এটাই বুঝি তার বাস্তব প্রমাণ।
এবার হেমন্তে বউ নাইওর যাচ্ছে সাথে আমিও।ওদের বাসায় নবান্ন উৎসব হয়,বাসার পাশেই পুকুর পার আর ওখানেই গ্রাম্য মেলা বসে।ওর মুখে এত্তসব গল্প শুনে মনে হচ্ছিল রাতটা এখনই শেষ হোক,আমি যাবো।সকাল হতেই আমরা রওনা দিলাম এবং বিকেলে পৌঁছালাম।উফ্ কি অপরুপ দৃশ্য! গ্রামীণ পথ-ঘাট,কৃষকরা সারিবেঁধে নিয়ে যাচ্ছে আমন ধান।লাল টকটকে সূর্যটা ঢলে পড়েছে। গৌধূলীর সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে। একটু একটু করে সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটা এখনও চোখে ভাসে।এসব দেখেই বউকে বললাম, প্রতিবছর হেমন্তেই আমরা আসবো কিন্তু।
হ্যা তোমাকে তো ঠিকই দাওয়াত দেয়।মিথ্যে বাহানা দেখিয়ে আসো না।
এখন থেকে আসবো।
আমার শ্বশুর, এলাকার একজন প্রভাবশালী মানুষ হয়েও ওনার মেয়ের সাথে এত অন্যায় সহ্য করেছে কিভাবে আমি বুঝি না।হয় তো এসব কিছু বাসায় বলেই নি।শ্বশুর বাড়িতে শুয়ে শুয়ে এসব কথা ভাবছি। এদিকে বউয়ের মাথা ব্যথা।ঘুম আসছে না ওরও।বিছানা থেকে নেমে তেল এনে বললাম আসো দিয়ে দেই, মাথা ব্যথা কমে যাবে।বউ তো কাহিনী দেখে টাস্কি খেয়ে গেলো।অবশ্য আমি নিজেও বুঝতে পারছি না কিভাবে এতটা ভালোবেসে ফেললাম।আসার পথে তো মাইনাস করার কথা বলে ওদের গ্রাম্য মেলা থেকে দু’ডজন কাঁচের চুড়িও কিনেছি। কাল সকালে ঘুরতে যাওয়ার আগে পরিয়ে দিবো।যাইহোক,মাথায় তেল দিয়ে আমরা কেউই ঘুমাইনি আর।যেন দু’বছরের জমানো কথা দু’জন দু’জনকে বলছিলাম।ও আমাকে কি যেন একটা বলতে চেয়েও বলল না।কাল সকালে বলবে নাকি।আমিও তেমন জোর করলাম না।না বললাটাও এখন ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।এতদিন আমি ওর কোনো কথাই শুনার আগ্রহ দেখাইনি।ও বলতে আসলেও কেমন এড়িয়ে চলেছি।নিয়মিত এড়িয়ে চলার পর ও নিজেও আর বলার চেষ্টা করেনি।
আজকে আমার নিজেকে অনেক সুখী মনে হচ্ছে। ওর এমন হাস্যজ্জল চেহারা গত দু’বছর ধরে দেখলেও আজকের হাসিটার মধ্যে একটা বিশাল পার্থক্য ধরা পড়েছে আমার চোখে।
হাসি জিনিসটা আসলেই খুব অদ্ভুত। কেউ সুখে হাসে,কেউ কষ্টে হাসে,কেউ ঠাট্টা করে হাসে। কারনে-অকারনে কত্ত রকমের হাসি। এসব ভাবতে ভাবতে ফজরের আজান দিয়ে দিলো।ও ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুমালে ওকে আরও বেশি সুন্দর লাগে।ভালো না বাসলে এই দৃশ্যটাও দেখা হতো না।
কি অদ্ভুত বিষয়টা!আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি তখন তার সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ বিষয়গুলোও কত নিখুঁতভাবে খেয়াল করি।এসব ভেবেই কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারি নি।
সকালের ঘুমটা ভাঙল একটা ভয়ংকর চিৎকার শুনে, যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আমার কল্পনারও বাইরে ছিলো। মা নাকি নিষেধও করেছিলো।তবুও একা গিয়েছিলো আমার জন্য পুলি পিঠা বানাতে। দেশলাই জ্বালানোর সাথে সাথেই একটা বিস্ফোরণ। ব্যস!সবকিছু এলোমেলো। আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যীত হয়েছিলাম খবরের কাগজে এটা পড়ে যে,রংপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক অন্তসত্বা মহিলা নিহত।এটা দেখে আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।হয় তো রাতে, আমাকে এ খবরটাই দিতে চেয়েছিলো ও।সেদিন চাইলেও চিৎকার করে কাঁদতে পারি নি।চোখের জল নীরবেই গাল বেয়ে পড়েছিলো।
আমার জীবনে সুখ নামক বস্তুটা প্রতিবারই খুব কাছে আসলেও ধরার আগেই অধরা হয়ে যায় এভাবে।আমি এখন বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখে গেছি। হাসিমুখেও কাঁদতে জানি।রোদেলার সেই পুরোনো রাব্বীটা নেই এখন।অনেকখানি বদলে গেছে।
বউ মারা যাওয়ার একবছরের মাথায় খবর পেয়ে প্রাক্তনও ফিরে এসেছিলো। ওর বর ওকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমেরিকার এক মেয়েকে বিয়ে করে ওখানকার স্হায়ী বাসিন্দাও হয়ে গেছে।
তুমি আমাকে শেষ কি যেন বলতে চেয়েছিলে? আমি শুনতে চাই। তোমার একাকীত্ব দূর করে জীবনসঙ্গী হতে চাই।আমার আম্মাও রোদেলাকে বউ বানাতে সম্মতি জানিয়েছে যদিও আমাকে সরাসরি কিছু বলতে পারে নি।
আমি রোদেলাকে দ্বিধাহীন বলে দিলাম-
দ্যাখো রোদ,তুমি তো মানুষ না।
কথাটা শুনেই ওর মুখের ভঙ্গিটা বিশ্রী হয়ে গেলো।মনে হচ্ছিল আমাকে মনে মনে গালি দিচ্ছে।
সবকিছু ঠিক করতে এসেছে তাই কিছু বলল না।নিরহ চোখে আমার দিকে তাকালো।
তুমি সত্যিই মানুষ না।তুমি তো দেবী।
এটা শুনে ও হেসেই ফেলল।ওর চোখে মুখে স্বস্তির একটা ভাব আসলো।
আমাদের রিলেশনে তুমি তাই ভু্ল করো নি কখনও। সত্যিই তো,দেবীরা কখনও ভুল করে না।ওরা শুধুই দয়া করে , মায়া করে, করে সেক্রিফাইজ।আমি মানুষ, বারবার ক্ষমা পেয়েও ভুল করি।তুমিই বলো?মানুষ আর দেবীর মধ্যে সংসার হয়েছিলো কোনোকালে?এসব কথা শুনে রোদেলা তার ফ্যাকাসে মুখ নিয়ে চলে গিয়েছিলো আর ফিরে নি।অবশ্য তা নিয়ে আমার আফসোস হয় নি।আফসোস হয় শুধু ঐ হেমন্তকে নিয়ে।যে হেমন্ত আমায় দিয়েছিলো সর্বোচ্চ সুখ এবং বেদনা।
জ্বী আন্টি,এ কারণেই আমি বিয়ে করিনি এবং করবোও না।
সবই তো শুনলেন,আমার বোনকে আপনার পুত্রবধূ বানাতে সমস্যা হবে এখনও?