মজনুর রহমানের ৫টি কবিতা
১. সাক্ষাৎ
: কেন এসেছো?
: আপনার মুখ দেখতে।
: আমার মুখতো ঢাকা!
: কী দিয়ে ঢাকা?
: এইতো বাতাস নেবার নল, খাবারের নল, মুখোশ আরও কী কী যেন!
: আমি তবুও আপনাকে পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
: যাহ্, কী করে?
: কারণ আমার চোখ তো ঢাকা।
: কী দিয়ে ঢাকা?
: অসুখ দিয়ে। আমি অন্ধ হয়ে গেছি।
২. আলিপাড়ার বিকেল
সামনে পড়ে আলিপাড়ার মাঠ
ব্যাকগ্রাউন্ডে বেদনা ভরাট,
এর ভিতরেই হেঁটে হেঁটে যাই
টিপা মেরে বাদাম ভেঙে খাই।
বাদাম তো খাই খোসা ফেলে দি
খোসাগুলো থাকলো একাকি,
আরও যেমন একলা পড়ে আছে
আলিপাড়ার মাঠে ঘাটে গাছে
একটা দিনের মিয়ানো বিকেল
তখন এদিক ছিলো নাকো রেল।
রেলের জন্য বাজেনিকো বাঁশি
তবু সেদিন ঝমঝমিয়ে হাসি-
হেসেছিল খালাতো এক বোন
পাড়ায় তখন কলঙ্ক গুঞ্জন-
উঠেছিল একটা হাসিতেই
মেয়েটা এখন আলিপাড়ায় নেই।
৩. খেলা
আসুন খানিক বৃষ্টি বৃষ্টি খেলি
যে জিতবে সে হাসবে
যে হারবে সে সে মরবে।
খেলার নিয়ম হচ্ছে এরকম যে,
আপনি আমাকে বৃষ্টি দিবেন
আমিও আপনাকে বৃষ্টি দেব।
বৃষ্টি খুঁজে না পেলে কান্না দিতে হবে,
কান্না খুঁজে না পেলে রক্ত দিতে হবে।
যে কিছুই দিতে পারবে না সে মরবে
যে কিছুই নিতে পারবে না সেও মরবে।
৪. ঠিকানা
মা আমাকে বাড়ি যেতে বলেছে,
আমি বাড়ি খুঁজে পাচ্ছি না, মাকেও খুঁজে পাচ্ছি না।
বাবা আমাকে থেকে যেতে বলেছে,
আমি থাকা খুঁজে পাচ্ছি না, তাকেও খুঁজে পাচ্ছি না।
৫. বৃষ্টি বদল করে
সকল বৃষ্টি আপনাকে দিয়ে
আমি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম।
এরপর অনেক রোদে হেঁটে হেঁটে
বাড়িতে পৌঁছে দেখি, ভুল করে
আপনার কান্নাগুলো নিয়ে এসেছি।