ভ্ৰমন পর্ব-১ : সুশান্ত নন্দী
টিলা পাহাড় আর সবুজ বন মহলের মাঝে এখনো ত্রিপুরায় ইতিহাস কথা বলে
গোমতী; উদয়পুর মহকুমা সদরের বুক চিরে ইতিহাস খ্যাত গোমতী নদী পেরিয়ে জগন্নাথ দীঘি এক নিমেষেই যেন সমস্ত ক্লান্তিতে শান্তি এনে দেবে।
রাজআমলের লক্ষী নারায়ণ মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী অসাধারণ। কিছুটা পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়ার টেরাকোটার মন্দিরের ধাঁচে যেন তৈরি। পাশেই রাজবাড়ী। যেন ত্রিপুরা রাজের স্মৃতি মন্থন করে বাতাসের কাছে এসে নীরবে বলে যায় অনেক গোপন কথা। তবে এলাকার বর্ষীয়ান বাসিন্দা স্বপন কুমার রায় জানান রাজা রাধাকিশোর মানিক্যর সময়ে তৈরি হয় এই বাড়িটি। এখানে রাজা স্থায়ীভাবে না থাকলেও তিনি বিচার বিভাগীয় সমস্ত কিছু পরিচালনা করতেন এখানে বসেই। উদয়পুরের মন্দির ও তার স্থাপত্য শৈলী বেশ নজরকাড়া। তাই জায়গাটাকে মন্দির নগরীও বলে থাকেন। ওই মন্দির নগরীর শীর্ষে অবস্থান করছে মাতাবাড়ির ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের। একান্ন পিঠের এক পিঠ। ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মায়ের ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এখানে পড়েছিল বলে কথিত আছে। সেই থেকেই ত্রিপুরার একমাত্র সতিপিঠ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির। মন্দির সংলগ্ন দীঘিতে স্নান সেরে পুজো দেবারও একটা প্রথা রয়েছে এখানে। দীঘির স্বচ্ছ জলে মাছ ও কচ্ছপের জলকেলি পথের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয় এক নিমেষেই। যারা পূজো দেন না তাদের দর্শনের জন্য পৃথক ফটক রয়েছে মূল মন্দিরে।
(পর্ব-২ আগামী শুক্রবার)